কিভাবে যাওয়া যায়:
মুন্সীগঞ্জ নগর/কার্যালয় এর কাছেই রয়েছে পুরাতন কোর্ট অফিস এবং তার উপর পাশেই রয়েছে ইদ্রাকপুর কেল্লাটি ।
ঢাকার গুলিস্তান বা ফুলবাড়িয়া থেকে “ঢাকা ট্রান্সপোর্ট”
বা “দিঘীরপাড় ট্রান্সপোর্ট” বা অন্যান্য এই রোডে আসা বাসে চড়ে মুক্তারপুর
আসতে হবে। মুক্তারপুর
থেকে রিক্সা যোগে ২০-২৫ টাকায় বা অটো রিক্সায় ১০
টাকা (জন প্রতি) ইদ্রাকপুরের কেল্লায় যেতে পারবেন ।
সংক্ষিপ্ত :
ইদ্রাকপুর কেল্লাটি রয়েছে মুন্সীগঞ্জশহরের প্রান কেন্দ্রস্থলে। সুবেদার মীর জুমলা এবং মোঘল সম্রাটআওরঙ্গজেবের আমলে সেনাপতি ও বাংলার কর্তৃক ১৬৬০ সালেবিক্রমপুরের এই অঞ্চলে একটি দুর্গ নির্মিত হয় যার নাম দেয়া হয় ইদ্রাকপুর কেল্লা । সে সময় এই দূর্গটি নির্মিত হয় মুলত মগ জলদস্যু ও পর্তুগীজদের আক্রমন হতে এলাকাকে রক্ষা করার জন্য । এমন শুনা যায় যে এ দূর্গের সাথে ঢাকার লালবাগের দূর্গের সুড়ঙ্গপথে যোগাযোগ ছিল। শত্রুদের উদ্দেশ্যে গোলা নিক্ষেপের জন্য রয়েছে দূর্গটির দেয়ালে অসংখ্য ছিদ্র । প্রাচীন যুগের এই দুর্গটির চারকোণায় একটি করে গোলাকার বেস্টনী রয়েছে । এই দূর্গটি পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষিত হয় ১৯০৯ সালে এলাকায় এস.ডি.ও কুঠি হিসাবে পরিচিত বহু উচ্চ প্রাচীর বেষ্টিত এই গোলাকার দূর্গটি ।
সংক্ষিপ্ত :
ইদ্রাকপুর কেল্লাটি রয়েছে মুন্সীগঞ্জশহরের প্রান কেন্দ্রস্থলে। সুবেদার মীর জুমলা এবং মোঘল সম্রাটআওরঙ্গজেবের আমলে সেনাপতি ও বাংলার কর্তৃক ১৬৬০ সালেবিক্রমপুরের এই অঞ্চলে একটি দুর্গ নির্মিত হয় যার নাম দেয়া হয় ইদ্রাকপুর কেল্লা । সে সময় এই দূর্গটি নির্মিত হয় মুলত মগ জলদস্যু ও পর্তুগীজদের আক্রমন হতে এলাকাকে রক্ষা করার জন্য । এমন শুনা যায় যে এ দূর্গের সাথে ঢাকার লালবাগের দূর্গের সুড়ঙ্গপথে যোগাযোগ ছিল। শত্রুদের উদ্দেশ্যে গোলা নিক্ষেপের জন্য রয়েছে দূর্গটির দেয়ালে অসংখ্য ছিদ্র । প্রাচীন যুগের এই দুর্গটির চারকোণায় একটি করে গোলাকার বেস্টনী রয়েছে । এই দূর্গটি পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষিত হয় ১৯০৯ সালে এলাকায় এস.ডি.ও কুঠি হিসাবে পরিচিত বহু উচ্চ প্রাচীর বেষ্টিত এই গোলাকার দূর্গটি ।
বিস্তারিত : ইদ্রাকপুর কেল্লা
বিক্রমপুরের মুন্সীগঞ্জ জেলার অতিতের ইতিহাসের সাক্ষীর অনেক ইমারতের
মধ্যে একটি হলো ইদ্রাকপুর কেল্লা। মুঘল
শাসনামলে বিখ্যাত বারোভূঁইয়ারা বাংলারবিভিন্ন অঞ্চলে স্বাধীনভাবে দেশ
শাসন করতেন। চাঁদ রায়, কেদার রায় বারো ছিলেন ভূঁইয়াদের মধ্যে অন্যতম আর তারা ছিলেন বিক্রমপুরের
। আর এদের চাঁদ
রায়-কেদার রায়দের শায়েস্তা
করার লক্ষ্যেই মুলত মুন্সীগঞ্জের ইদ্রাকপুর নামক স্থানে একটি কেল্লা নির্মাণ করা হয় ।আর এটি করেন মুঘল
ফৌজদার । ১৬১১খ্রি. ধলেশ্বরী-ইছামতির সংযোগ এ চাঁদ রায় ডাকচেরা ও যাত্রাপুর দূর্গ
হারিয়ে পরাজিত হন। আর এই সময় সমগ্র বিক্রমপুর মুঘলদের
শাসনে চলে আসে।
বিশাল বিক্রমপুরকে মুঘলদের কাছে রাখতে এবং ইংরেজ সৈন্যদের হাত থেকে বাংলার রাজধানী ঢাকাকে
রক্ষা করার জন্য মুন্সীগঞ্জের ইদ্রাকপুর
নামকস্থানে ১৬৬০ খ্রি. একটি দূর্গ বা কেল্লা নির্মাণ করেন মুঘল সুবেদার মীর
জুলমা। এই কেল্লাটি
লালবাগের চেয়ে ছোট কিন্তু এর গুরুত্ব ছিল অনেক বেশি। ১৬৬০
সালে ইদ্রাকপুর এলাকাটি ইছামতি-ধলেশ্বরী, ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা ও শীতলক্ষ্যার একত্র হওয়ার যায়গা ছিল। কিন্তু এখন এই নদি গুলো মেঘনা-ব্রহ্মপুত্র, ইছামতি ও ধলেশ্বরীর
গতি পরিবর্তনের ফলে এখন মুন্সীগঞ্জ
শহরের কেন্দ্রস্থল মাকহাটী-কাচারী সড়কের পশ্চিম
পাশে কোর্টগাঁও এলাকায় অবস্থিত।
চতুর্দিকে প্রাচীর দ্বারা আবৃত দূর্গের
মাঝে মূল দূর্গ ড্রামের
মধ্যে। দূর্গের
প্রাচীর শাপলা পাপড়ির মতো। প্রতিটি
পাপড়িতে ছিদ্র রয়েছে।
ছিদ্র দিয়ে কাঁসার ব্যবহার
করা হতো। দূর্গের
উত্তর দিকে বিশালাকার প্রবেশদ্বার
রয়েছে। সিঁড়ি
দিয়ে মূল দূর্গের চূড়ায়
উঠা যায়। মূল
ভূমি হতে ২০ ফুট
উঁচু। দেয়ালের
বর্তমান উচ্চতা প্রায় ৪/৫ ফুট।
প্রাচীরের দেয়াল ২-৩
ফুট পুরো। দূর্গে
প্রবেশদ্বারের উত্তর পাশে একটি
গুপ্ত পথ রয়েছে।
কথিত আছে, এ গুপ্ত
পথ দিয়ে লালবাগ কেল্লায়
যাওয়া যেত। এর
সত্যতা পাওয়া যায়নি।
তবে গুপ্ত পথ দিয়ে
লালবাগ কেল্লায় নয়, অন্য কোথাও
পালানো যেত। ২১০
দৈর্ঘ্য ২৪০ ফুট আয়তনের
এ দূর্গখানি এখনও অক্ষত অবস্থায়
দাঁড়িয়ে আছে। ইদ্রাকপুর
কেল্লা খুব সম্ভবত ১৬৫৮
সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়
এবং ১৬৬০ সালে তা
শেষ হয়। কেল্লাটি
দুই ভাবে বিভক্ত- পশ্চিমাংশ
ও পূর্বাংশ। একটি ৫
ফুট উচ্চতার দেয়াল রয়েছে ড্রামের
মধ্যখানের বরাবর ।
কামান বসানোর জন্য মোট তিনটি
মঞ্চ রয়েছে প্রাচীরের উত্তরপাশে। তবে দক্ষিণ
পাশেও থাকার কথা ছিল তিনটি
কিন্তু সেখানে রয়েছে ২টি। উত্তর পাশে রয়েছে দূর্গে প্রবেশের মূল পথটি। আবদুল্লাপুরে মঙ্গত রায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল এই দূর্গটি হতে । এই যুদ্বে মীর জুমলার সেনাপতি সদলি খান ও মগ রাজা মঙ্গত রায় উভয়েই মারা যান। শাহ সুজার সেনাপতি ছিলেন মঙ্গত রায় বলে অনেকে ধারণা করেন। আবুল হোসেন নামের একজন সেনাধ্যক্ষ ইদ্রাকপুর কেল্লায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকতেন। কিনি ছিলেন নৌ বাহিনীর প্রধান। তার নিয়ন্ত্রণে পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী ও ইছামতির তীরে প্রায় ২০০ নৌযান প্রস্তুত থাকত। যে সব নৌযান থাকত তা হলো কোষা, জলবা, গুরব, পারিন্দা, বজরা, তাহেলা, সলব, অলিল, খাটগিরি ও মালগিরি ইদ্রাকপুর কেল্লার নিয়ন্ত্রণে থাকত । সদলি খান ছিলেন ইদ্রাকপুর কেল্লার নিয়ন্ত্রণে যে সব পদাতিক বাহিনী ছিল তার প্রধান । এক সময় ইদ্রাকপুর দূর্গে মহকুমা প্রশাসনের বাস ভবন (১৮৪৫-১৯৮৪)ছিল। পরবর্তীতে এটা সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের পুরাতত্ত্ব বিভাগের আওতাভুক্ত হয়।
see the nex |
0 Comments