বার আউলিয়ার মাজার


কিভাবে যাওয়া যায়:

ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা মুন্সীগঞ্জ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালী ইউনিয়নের কেওয়ার গ্রামে বার আউলিয়ার মাজারটি অবস্থিত সড়কপথে ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জের দূরুত্ব মাত্র ২৩ কিলোমিটার তবে এই মাজারে আসার জন্য আরো ০৯ (প্রায়) কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে আসতে হবে ঢাকা হতে সকালে এসে মাজার জিয়ারত করে বিকেলেই ঢাকায় ফিরে আসা যাবে সড়কপথে যেতে কষ্ট হবে না তবে নৌপথে গেলে সময়ও বাচঁবে এবং যানজট এড়িয়ে নদী পথের সৌন্দর্য অবগাহন করে স্বাচ্ছন্দের সাথে পৌছানো যাবে সদর ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চে ঘন্টার মধ্যেই পৌছে যাওয়া যাবে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ ঘাটে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা হইতে রিক্সায় মহাখালী ইউনিয়নের কেওয়ার গ্রামে বার আউলিয়ার মাজার অবস্থিত ভাড়া ৩৫-৪০ টাকা

কিছু কথা:

বার আউলিয়ার মাজার মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর উপজেলাধীন মহাকালী ইউনিয়নের কেওয়ার গ্রামের অন্তর্গত তেতুল তলায় পবিত্র বার আউলিয়াদের মাজার শরীফ অবস্থিত প্রায় ১০০০ বছর পূর্বে হিজরী ৪২১ সনে ৯৭৪ খ্রিঃ সুদূর আরব দেশ হতে পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর আনসার মুজাহিদ হিসেবে আওলিয়াগণ বাংলাদেশের এই স্থানে আগমন করেন পূর্বে এই স্থানটি কালীদাস সাগর ছিল পরবর্তীতে জঙ্গলাপূর্ন পতিত ভূমিতে পরিনত হলে ১২ জন আউলিয়া এই স্থানটিকে দ্বীন ইসলাম প্রচারের কেন্দ্র হিসাবে ইমারত, দীঘি এবাদতখানা প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এখানে তারা ওফাৎ গ্রহণ করেন




বার আউলিয়ার মাজারঃ

বার আউলিয়া মাজারটি পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বার আউলিয়া মৌজার প্রায় ৪৭.৭৩ একর জমিতে অবস্থিত উক্ত স্থানে ০১টি মাদরাসা ১টি এতিম খানা আছে ০২টি প্রতিষ্ঠান চলে মাজারের জমি হতে উৎপাদিত ফসলের আয় হতে জানা যায় মধ্যপ্রাচ্য হতে ১২ জন আউলিয়া

*হেমায়েত আলী শাহ (রঃ)

*নিয়ামত উল্লাহ শাহ (রঃ)

*কেরামত আলী শাহ (রঃ)

*আজহার আলী শাহ (রঃ)

*হাকিম আলী শাহ (রঃ)
*মনছুর আলী শাহ (রঃ)
*মমিনুল শাহ (রঃ)
*শেখ গরীবুল্লাহ (রঃ)
*আমজাদ আলী মোল্লা (রঃ)
*ফরিজ উদ্দিন আখতার (রঃ)
* শাহ মোক্তার আলী (রঃ)
*শাহ অলিউল্লাহ (রঃ)
ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য উক্ত স্থানে এসে বসবাস শুরু করেন তাঁরা ইন্তেকাল করলে উক্ত স্থানে তাঁদের সমাহিত করা হয় ১২ জন আউলিয়াকে সমাহিত করায় এবং তাঁদের মাজার থাকায় এই স্থানের নাম হয় বার আউলিয়া পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পঞ্চগড় জেলা পরিষদের পৃষ্ঠপোষকতায়বার আউলিয়া মাজারটি পাকা করা হয়
মাজার প্রাঙ্গণে জেলা পরিষদ কর্তৃক নির্মিত একটি ডাক বাংলো রয়েছে প্রতি বৈশাখমাসের শেষ বৃহস্পতিবার এখানে ওরস মোবারক অনুষ্ঠিত হয় দেশের বিভিন্ন স্থান হতে অগনিত ভক্তের পদচারণায় মুখরিত থাকে ওরস মোবারকের দিনটি
বার আউলিয়া মাজার শরীফের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
উপজেলা সদর হতে কিঃমিঃ উত্তর-পূর্বে মির্জাপুর ইউনিয়নের বার আউলিয়া গ্রামের বিস্তীর্ণ ভূমিতে অবস্থিত বার আউলিয়া মাজার শরীফ বার আউলিয়া ওলীদের আগমনের ইতিহাস বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেলেও ওলীদের ইতিহাস রহস্যাবৃত এঁদের লিখিত কোন ইতিহাস আজও পাওয়া যায়নি বার জন ওলী সূফী-সাধক চট্রগ্রামের শহর প্রান্তে প্রথমে এসে আস্তানা স্থাপন করেন সেই জায়গাটি আজও বার আউলিয়া নামে প্রসিদ্ধ জানাগেছে, বার জন ওলী খাজা বাবার নির্দেশে চট্রগ্রাম সহ পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে আস্তানা গড়ে তুলে ইসলাম প্রচার শুরু করেন পরে স্থল পথে রওয়ানা হয়ে ইসলাম প্রচার করতে করতে উত্তরবঙ্গের শেষ প্রান্ত এসে পৌছান এবং পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বার আউলিয়ায় আস্তানা গড়ে তুলে ইসলাম প্রচার শুরু করেন আটোয়ারীর মাটিকে পুণ্য ভূমিতে পরিণত করে সময়ের বিবর্তনে ওলীদের এখানেই সমাহিত করা হয় গড়ে ওঠে বার আউলিয়া মাজার শরীফ তৎকালীন সময়ে স্থানীয় কিছু মানুষ খাদেমগণ বৈশাখ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার খুব স্বল্প পরিসরে ওরস পালন করতেন বর্তমান সময়ের মতো লক্ষ লক্ষ লোকের সমাগম হতো না বার আউলিয়া মাজার সম্প্রসারণের বিষয়ে বাস্তব ইতিহাস রয়েছে ইতিহাসটি হলো- ১৯৯০ সালের দিকে পঞ্চগড় জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবুল বাশার আহাম্মদ একদিন জীপ গাড়ীতে বার আউলিয়া মাজার রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন হঠাৎ তার জীপ বন্ধ হয়ে যায় অনেক চেষ্টার পরও জীপের ইঞ্জিন চালু না হওয়ায় স্থানীয় লোকজন মাজার শরীফ দেখিয়ে দেন তিনি তাৎক্ষণিক ওযু করে মাজার জিয়ারত করেন প্রার্থনা শেষে, গাড়ীতে বসলে বিনা ধাক্কায় গাড়ীর ইঞ্জিন চালু হয় ঐদিন রাতেই তিনি ওলীদের দ্বারা স্বপ্নে বার আউলিয়া মাজার উন্নয়নের নির্দেশনা পান এবং পরের দিন সকালে আবার মাজার জিয়ারত করতে আসেন সে সঙ্গে তার অসুস্থ দুই পুত্রের জন্য মানত করে মাজার উন্নয়নে এগিয়ে আসেন তাঁর আহবানে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগে এবং প্রথমে তিনি একত্রে পাশাপাশি অবস্থিত দুজন ওলীর কবরের উপর একটি পাঁকা দালান নির্মাণ করেন এরপর উপজেলার নলপুখুরী গ্রামের মোঃ খলিলুর রহমান অবশিষ্ট দশ জন ওলীর কবরের প্রতিটির চার পার্শ্বে দেওয়াল নির্মাণ করেন তৎকালীন স্পীকার, আইন বিচার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী মরহুম মির্জা গোলাম হাফিজ এর প্রচেষ্টায় প্রায় ৪৭ একর জমিতে মাজার কমপেক্স, মাজার, গোরস্তান, পুকুর, মসজিদ, মাদ্রসা ডাকবাংলা নির্মিত হয়
তারপর থেকে ক্রমান্বয়ে ওরস বিস্তৃতি লাভ করে ১৯৯৪ সাল থেকে জেলা প্রশাসকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাৎসরিক ওরশ, মাজার ব্যবস্থাপনা, মাজার উন্নয়নসহ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে
 

কিভাবে যাওয়া যায়:
পোস্তাগোলা থেকে সেবা পরিবহনের বাসে বালাসুর বাস স্ট্যান্ড এখান থেকে রিক্সা বা অটোতে এতিমখানা রোড ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ী
কিছু কথা:
ভাগ্যকূল জমিদার বাড়ী "বিলের ধারে প্যারিস নগর"- অধ্যাপক হূমায়ুন আজাদ এভাবে বর্ণ্না করেছিলেন বিক্রমপুরের শেষ জমিদার যদুনাথ রায়ের বাড়ী কে এই জমিদার বাড়ীর পাশেই আড়িয়াল বিল আর এই বিলের ধারের প্রাসাদে থাকতেন যদুনাথ রায় শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকূল গ্রামে তৎকালীন প্রভাবশালী জমিদার যদুনাথ রায় বাড়ীটি নির্মান করেন প্রায় ৫০০ শতাংশ জায়গার উপর বাড়অটি নির্মিত মূল সড়ক থেকে এক কিমি যাওয়ার পথে চোখে পড়ে এই বিশাল বাড়িটি জমিদার শ্রীনাথ রায়ের পুত্র যদুনাথ রায় ভাগ্যকুলে দ্বিতল বিশিস্ট দুইটি ভবন নির্মান করেন শ্রীনাথের রায়ের মূল জমিদার পদ্মার বুকে বিলীন হয়ে গেলেও টিকে আছে যদুনাথের বাড়ী স্থানীয় মানুষদের কাছে এটি বাবু বাড়ী নামে পরিচিত এই কমপ্লেক্সে জমিদার বাড়ী ছাড়াও আছে একটি বড় দিঘী আর দূর্গা মন্দির লক্ষী নারায়ন মন্দির বর্তমানে এই কমপ্লেক্সে তৈরি করা হয়েছে বিক্রমপুর জাদুঘর
ভাগ্যকুলের জমিদাররা ব্রিটিশ আমলে উপমহাদেশে প্রসিদ্ধ ছিলেন জমিদারদের মধ্যে হরলাল রায়, রাজা শ্রীনাথ রায় প্রিয়নাথ রায়ের নাম উল্লেখযোগ্য ব্রিটিশের তাঁবেদারি করায় তাঁরা রাজা উপাধি পেয়েছিলেন তাঁদের মতো ধনী বাঙালি পরিবার সে সময়ে কমই ছিল জমিদারদের প্রায় সবাই উচ্চ শিক্ষিত ছিলেন ঢাকা, কলকাতা এবং ইংল্যান্ডে তাঁরা পড়াশোনা করেছেন জমিদারদের কীর্তির বেশির ভাগই পদ্মা কেড়ে নিয়েছে জমিদার যদুনাথ রায়ের বাড়িটিই যা টিকে আছে
যা যা দেখবেনঃ
এই জমিদার বাড়ীর - কি.মি দূরেই আছে জগদীস চন্দ্র বসুর বসত ভিটা ছাড়া খুব কাছেই আছে মাওয়া রিসোর্ট এই ছাড়া ঘুরে আসতে পারেন পাশের শ্যাম সিদ্ধির গ্রামেও দেখে আসতে পারেন আড়িয়াল বিল আর শ্যাম সিদ্ধির মঠ নবাবগঞ্জ দিয়ে আসলে দেখে আসতে পারেন ভাগ্যকূলের অন্য জমিদার বাড়ী গুলো কোকিলপ্যারী জমিদার বাড়ী, তেলিবাড়ী, উকিল বাড়ী এই সবই ভাগ্যকূল জমিদারদের ছিল

0 Comments