সূর্যমুখী ফুলের
সাথে: সুনামগন্জের পাশেই এক অপূর্ব জগৎ
#সূর্যমুখীর-বাগান/সুনামগন্জ
সুনামগঞ্জের
এক মনমাতানো যায়গাটি শিমুলবাগানের মতো
পযর্টকদের জন্য আকর্ষণ হয়ে
উঠেছে আরেকটি যায়গা সূর্যমুখী বাগান। হলুদ ফুলের
সমারোহের মধ্যে হারিয়ে যেতে পর্যটকরা
ভিড় জমাচ্ছেন সূর্যমুখী বাগানে। সূর্যের
দিকে মুখ করে ফুটে
থাকা অগণিত ফুলের সমারোহ
সৌন্দর্যপ্রেমী মানুষদের টেনে আনছে সুনামগঞ্জের
জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে।
সূর্যমুখী
ফুলের বাগানটি তৈরি করেছেন মো. তাজ
উদ্দিন নামের কৃষক । প্রায়
১৫ একর জমিতে
গড়ে উঠেছে এই বাগানটি। এটি রয়েছে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে ।
এটি দেখতে প্রতিদিনই সেখানে
আসছেন অসংখ্য মানুষ।
তাজ উদ্দিন এ বছর
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার ও বীজ
নিয়ে এ বাগান করেছেন।
রামপুর গ্রামটিও আজ প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে বাগানটির কারণে
। আর এটি হয়েছে এ বছর
হঠাৎ করে । সারা
দিনই সেখানে ভিড় জমান
সব বয়সী মানুষ। বাগানে
সূর্যমুখীর সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি ছবি ও সেলফি
তুলছেন পর্যটকরা।
তাজ উদ্দিন বলেন, বাগানে
২৫ হাজার চারা লাগিয়েছি।
এতে ব্যয় হয়েছে প্রায়
৯৬ হাজার টাকা। সব
খরচ বাদ দিয়ে লাভ
হবে প্রায় ১ লাখ
টাকা।
তিনি আরও জানান, ১৫ মার্চের মধ্যে
ফুলগুলো বীজ সংগ্রহের উপযোগী
হবে। তখন গাছ কেটে
বীজ সংগ্রহ করা হবে।
সূর্যমুখী
ফুলের বাগান দেখতে আসা
পর্যটকরা বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
উপভোগ করা মানুষের স্বভাবগত
বৈশিষ্ট্য। বাগানটি খুবই
সুন্দর। ভালো লেগেছে আমাদের।
এত বড় সূর্যমুখীর বাগান
দেশের আর কোথাও নেই।
এটা দেখে মনে হয়,
হলুদের রাজ্য।
জামালগঞ্জ
উপজেলা কৃষি অফিসার সিরাজুল
হক বলেন, হাওর অঞ্চলে
উঁচু জমিতে সূর্যমুখী ফুল
চাষের অপার সম্ভাবনা আছে।
জামালগঞ্জ
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল বলেন, জামালগঞ্জে
সূর্যমুখীর প্রদর্শনী প্লটে বাম্পার ফলন
হয়েছে। সূর্যমুখী চাষ করে তাজ
উদ্দিন অনেক লাভবান হবেন
বলে আমি আশাবাদী।
জেলা কৃষি সস্প্রাসারণ অধিদপ্তরের
উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সফর উদ্দিন বলেন,
কৃষি খাতে সূর্যমুখী চাষে
বিপ্লব ঘটবে।
সুনামগঞ্জের
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন,
হাওরাঞ্চলের সাধারণ কৃষকগণ সূর্যমুখী
চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। যতটুকু
সম্ভব সরকারিভাবে কৃষকদের সহযোগিতা করা হবে।
0 Comments