রান্না
সম্পর্কিত এই টুকটাক টিপস
জানা থাকলে রান্না যেমন
ভাল হয় তেমনি বাঁচবে
সময়।
1.
ভাত
রান্না করতে গিয়ে দেখছেন ভাতগুলো ঝরঝরে হচ্ছেনা? চিন্তার কোন কারন নেই চাল ধোয়ার পর ১০
মিনিট রেখে দিয়ে তারপর
রান্না করুন অথবা রান্নার
সময় ১ চা চামচ
রান্নার তেল দিয়ে দিন,
দেখবেন
ভাত সুন্দর ঝরঝরে হয়েছে।
2.
মাংস
রান্নার শুরুতেই লবণ না দিয়ে
রান্নার মাঝামাঝি সময়ে লবণ দিয়ে
ভালভাবে নাড়ুন। এরপর
দেখে নিন পরিমান ঠিক
হল কিনা।
3.
তরকারির
ঝোল ঘন করতে চাইলে
কিছু কর্ণ ফ্লাওয়ার পানিতে
গুলিয়ে নিয়ে ঢেলে
দিন। লক্ষ্য
রাখুন যেন কর্ণ ফ্লাওয়ারের
মিশ্রণটি ভালমত তরকারির সাথে
মিশে যায়।
4.
যথা
সম্ভব পাতিলে ঢাকানা দিয়ে
রান্না করুন, এতে খাবারের
পুষ্টিমান ঠিক থাকে।
5.
স্বাস্থ
সম্মত মুরগীর তরকারি খেতে চাইলে চর্বি এড়িয়ে নিন আর এটি করার জন্য মুরগির চামড়া ছাড়িয়ে মুরগি
রান্না করুন। কারন
মুরগির চামড়াতেই বেশিরভাগ চর্বি থাকে।
6.
সবুজ
সবজি রান্নার সময় সবুজ রং
ঠিক রাখতে চাইলে এক
চিমটি চিনি দিন।
দেখবেন সবজির সবুজ রং
অনেকটাই বজায় থাকবে ।
7.
রান্না
করার জন্য একদিন আগেই
মাংস সেদ্ধ এবং ঠান্ডা
করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে
রাখতে পারেন ।
8.
রান্নার
সময় গরম পানি ব্যবহার
করুন।
9.
ফ্রিজের
মধ্যে আঁশটে গন্ধ দূর
করতে ফ্রিজে এক টুকরো
কাঠ কয়লা রেখে দিন। এতে
আশটে গন্ধ থাকবেনা ।
10.
মাংস
তাড়াতাড়ি সেদ্ধ করতে চাইলে
খোসাসহ এক টুকরো কাঁচা
পেঁপে তরকারীতে দিন। এতে
মাংস অনেক দ্রুত সেদ্ধ
হবে।
11.
মাছ,
মাংস বা ডিমের ঝোলে
অনেক সময় লবণ অনেক বেশি
হয়ে যায়। যা খাওয়ার মত থাকে না এখন
আর চিন্তা নেই ওই তরকারিতে কয়েকটি সিদ্ধ আলু
ভেঙে দিন। লবন কমে
যাবে স্বাদ ও নষ্ট হবেনা ।
12.
মুরগির
মাংস বা কলিজা রান্নায়
১ টেবিল চামচ সিরকা
দিন। এতে
মাংসের গন্ধ থাকবে না
আবার তাড়াতাড়ি সিদ্ধও হবে।
13. মাছ ভাজার সময়
তেল ছিটা বন্ধ করতে
হলে তাতে একটু লবণ ছড়িয়ে দিন। তেল
আর ছিটবেনা।
14.
বেরেস্তা
করার সময় পেঁয়াজ ভেজে
নামানোর আগে সামান্য পানি
ছিটিয়ে দিন এতে পেঁয়াজ
তাড়াতাড়ি লালচে হবে।
15.
কাঁচা
মাছ বা মাংস ছুরি-চপিং বোর্ডে কাটতে
চাইলে বেশ কিছুক্ষণ আগে
থেকেই পানিতে ভিজিয়ে নরমাল
করে নিন।
16.
আলু
ও ডিম একই পাত্রে
একসঙ্গে সিদ্ধ করুন, আলাদা
কাজে ব্যবহার করলেও তাড়াতাড়ি সিদ্ধ
হবে। এতে
যেমন একদিকে গ্যাস বাচবে,
অন্যদিকে আপনার সময়ও বাচবে
পরিশ্রমও কম হবে ।
17. অনেক সময় স্যুপ দ্রুত রান্না
করতে গিয়ে তা পাতলা
হয়ে যায় তখন দুটি সিদ্ধ আলু ম্যাশ
করে স্যুপে মিশিয়ে ফুটিয়ে
নিন। স্যুপ
ঘন হবে।
18.
ডাল
তাড়াতাড়ি রান্না করতে আগের
রাতেই ভিজিয়ে রাখুন।
19.
সহজে
মসলাপাতি খুঁজে পেতে কৌটার
গায়ে নাম লিখে রাখুন।
20.
পরেরদিন
দিন
কী রান্না করবেন তার
প্রস্তুতি রাতেই নিনতাহলে সময়
বেঁচে যাবে।
21.
রান্না
করার আগেই মাছ ও
সবজির কম্বিনেশনের ব্যাপারে লক্ষ রাখুন ।
22.
মাছ
রান্না করে কাঁচা ধনিয়া
পাতা থাকলে তা কুচি
করে কেটে বিছিয়ে দিন,
স্বাদ অনেকগুণ গুন বেড়ে যাবে।
23.
ডালে
বাগার দিতে রসুন কুচি
তেলে ভেজে ডালে দিয়ে
দিন।
24.
মাংশ
জাতীয় রান্না করে শেষে
বেরেস্তা (পেঁয়াজ কুচি ভাজি)
ছড়িয়ে দিন এতে স্বাদ
বেড়ে যাবে।
25.
ডিম
সিদ্ব করতে পানিতে সামান্য
লবন দিয়ে নিন এতে
ডিম খেতে সুস্বাদু হবে। আর
ঠান্ডা করে ডিম ছিলুন
তাহলে খোসায় লেগে ডিম
নষ্ট হবে না।
26.
চুলায়
গরম হাড়ি পাতিলে ঢাকনা
থাকলে তা খালি হাতে
ধরবেন না। কারন
পাতিলের তাপে ঢাকনাও গরম
হয়ে থাকে ।
27.
ভর্তা
বানাতে মরিচ খালি হাতে
ঢলবেন না এতে হাতে
জ্বলুনি হবে।
28. মাছ ভাঁজতে কড়াই
হতে নিদিষ্ট দূরে থাকুন।
মাছে পানি থাকলে কিংবা
ফুটে আপনার গায়ে বা
চোখে তৈল পড়তে পারে। দূর
থেকে নাড়ুন।
29. শুকনা মরিচ ভাজার
সময় মরিচ পোড়ার ঝাঁঝে
হাঁচি-কাশি হয়ে অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যায়। এটি
রোধ করার জন্য রান্নাঘরের দরজা জানালা ভাল
করে খুলে দিন। প্রয়োজনে এডজাষ্টার ফ্যান থাকলে তা চালিয়ে
দিন।
30.
ভাজিতে
তেল বেশী পড়ে গেলে
ভাজিগুলো কড়াই বা প্যানের
এক দিকে সরিয়ে কড়াই
কাত করে কিছুক্ষণ রেখে
দিন। তেল
ভাজি থেকে ঝরে গেলে
সংরক্ষন করে অন্য রান্নায়
ব্যবহার করতে পারবেন।
মাংসের তরকারীতে যদি তেল বেশী
হয়ে পরে তবে উপর
থেকে চামচ দিয়ে তেল
উঠিয়ে ভাজিতে ব্যবহার করলে
ভালোই সুস্বাদু লাগে।
31. এলাচ সম্পুর্ণ গুড়ো
করে ব্যবহার করা ভাল এতে
এলাচ কামড়ে পড়ে খাওয়ার
মজা নষ্ট হবে না। আবার
রান্নাতেও সুগন্ধ হবে। তা না হলে দু দিকেই বিপদ হবে।
32.
সবজীর
রং ঠিক রাখতে পাতিল
ঢেকে রান্না না করাই
ভাল। আর
কিছু সবজিকে সামান্য সিদ্ব
করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে
ধুয়ে ফেললে কিংবা বরফ
কুঁচিতে রাখলে রান্নার পরও
রং ঠিক থাকে।
33.
কিছু
ভাজতে নিলে কড়াইতে তেল
গরম হলে যা দেবেন
তার সাথে সামান্য লবণ
দিয়ে দিন, তেল ছিটকে
উঠবে না।
34.
ডালের
মজা বৃদ্ধির জন্য বেশি সময়
ধরে রান্না করুন, স্বাদ
বেড়ে যাবে ।
35.
তেলাপিয়া
মাছের গন্ধ দূর করতে
তেলাপিয়া মাছ হলুদ ও
ভিনিগার/লেবুর রস মাখিয়ে
১৫ মিনিট রেখে রান্না
করুন।
36.
লাল
সর্ষের ঝাঁঝ ও তিতা বেশী
হয়। হলুদ
সর্ষে ব্যাবহার করলে তিতা হয়না। সর্ষে
বাটার সময় লবন আর
কাচামরিচ এক সাথে বাটলে
তিতা হয়না।
37. বর্ষাকালে লবণ গলে যায়
তাই এক মুঠো পরিষ্কার
চাল পুটলি করে বেঁধে
লবণের পাত্রে রেখে দিন লবন
গলবেনা।
38.
কাঁচের
গ্লাসে গরম কিছু নিতে
গেলে অনেক সময় ফেটে
যায় তাই গরম কিছু
ঢালবার আগে গ্লাসে একটি
ধাতু নির্মিত চামচ রেখে ঢাললে
গ্লাস ফাটবে না।
39.
আলু
এবং আদা বালির মধ্যে
ঢুকিয়ে রাখলে অনেক দিন
পর্যন্ত টাটকা থাকে।
40.
যে
কোনো খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখলে
ঢাকনা দিয়ে রাখা ভালো,
তাতে এক
খাবারের গন্ধ আরেক খাবারে
যায় না এবং রেফ্রিজারেটও
গন্ধ হয় না।
41.
শিশি
বা কৌটোর মধ্যে বিস্কুট
রাখার আগে সামান্য চিনি
বা মোটা কাগজের ঠুকরো
রেখে দিলে বিস্কুট অনেকদিন
মচমচে থাকে।
42.
আঙ্গুর,
টমেটো প্রভৃতি ফল ফুটন্ত পানিতে
দু’মিনিট রেখে সঙ্গে
সঙ্গে ঠান্ডা পানিতে রেখে
সহজেই খোসা ছড়ানো যায়।
43.
চাল
ও ডালের কৌটায় কয়েকটি
শুকনো নিমপাতা বা শুকনো মরিচ
রাখলে সহজে পোকা ধরবে
না।
44.
কাঁচকলা
ও লেবু প্রতিদিন অন্ততঃ
এক ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে
রাখলে বেশিদিন টাটকা থাকে।
45.
কাঁচামরিচের
বোঁটা ফেলে পানি শুকিয়ে
কাপড়ের বা কাগজের প্যাকেটে
সংরক্ষণ করলে বেশি দিন
ভালো থাকে।
46.
চিকেন
ফ্রাই, চিকেন রোল—এসব
খাবার অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে রাখলে
সহজে নষ্ট হয় না।
47.
সিরকা
ও সোডিয়াম বেনজোয়েট দিলে আচার দীর্ঘদিন
ভালো থাকে।
48.
আচার
বয়াম থেকে নেওয়ার সময়
পরিষ্কার চামচ ব্যবহার করলে
আচারে ফাঙ্গাস পড়ে না।
49.
চিনির
পাত্রের মধ্যে দু-চারটি
লবঙ্গ দিয়ে রাখলে পিঁপড়ে
ঢুকবে না।
50.
খাবার
পুড়ে পাত্রের তলায় আটকে থাকলে
পাত্রটিকে নুনপানিতে ভর্তি করে পানি
ফুটালে পোড়া অংশ দ্রুত
আলাগা হয়ে উঠে যায়।
51.
রান্নার
সময় ঢাকনা দিয়ে ঢেকে
রান্না করলে একদিকে যেমন
পুষ্টিমান বজায় থাকে, অপরদিকে
সময় বাচে এবং গ্যাসের
প্রবাহ কমিয়ে দিলেও পাতিলের
ভিতরে বেশি তাপ বজায়
থাকে ফলে গ্যাসও কম
খরচ হয় ।
52. নুডলস সেদ্ধ করার
সময় পানিতে অল্প একটু
তেল দিলে নুডলস বেশি
ঝরঝরে থাকে ।
53. নুডলস সেদ্ধ হওয়ার সাথে সাথে ঠান্ডা পানি
দিয়ে ধয়ে নিন তাতে নুডলুস ঝরঝরা থাকবে।
54. সেদ্ধ ডিম তেলে
ভাজতে চাইলে ডিমের দুই
তিন জায়গায় একটু কেটে
দিন । তাহলে
সহজে ডিম ফুটবে না
।
55. ভাত সিদ্ধ হওয়ার আগে পানিতে কয়েক ফোটা লেবুর
রস দিলে ভাত ঝরঝরা থাকে।
56.
সবজি
বা শাক কাটার আগেই
ধুয়ে নিন । কাটার
পর সবজি বা শাক
না ধোয়াই ভালো ।
এতে পুষ্টি বজায় থাকে
।
57.
ফল
খাওয়ার অন্তত ২০-২৫
মিনিট আগে থেকে পানিতে
ভিজিয়ে রাখুন । এতে
করে ফলের উপরিভাগে কোন
ক্যেমিকেল স্প্রে করা হয়ে
থাকলে তা অনেকাংশে চলে
যাবে ।
58.
এলাচ,
দারুচিনি, লবঙ্গ, পিয়াজ, আদা,
রসুন ইত্যাদি মসলা বেটে তারপর
রান্নায় ব্যবহার করলে খাবারের সাথে
ভালোভাবে মিশে যায় এবং
খাবারের স্বাদও অনেক বেড়ে
যায় ।
59.
ফ্রিজে
ডিম রাখার সময় ডিমের
সরু দিক উপরে এবং
মোটা অংশ নিচের দিকে
দিয়ে রাখবেন । এতে
ডিম ভালো থাকবে ।
60.
রান্নাতে
যদি কোনো কিছু সিদ্ধ
করার সময় পানি কম
হয়ে যায় তাহলে আগুনের
আচ কিছুটা কমিয়ে দিয়ে
রান্না করুন । এতে
করে পানি দ্রুত বাষ্প
হবেনা বিধায় আপনি খাবার
সিদ্ধ হতে কিছুটা বেশি
সময় পাবেন ।
61.
উপরের
টিপসটির বিপরীত পরিস্থিতে অর্থ্যাৎ
কিছু রান্নার সময় যদি পানি
বেশি হয়ে যায় তাহলে
আগুনের আচ কিছুটা বাড়িয়ে
দিয়ে ঢাকনা সরিয়ে রাখুন
। এতে করে
পানি দ্রুত বাষ্প হয়ে
বাড়তি পানি কমে যাবে
।
62. পেয়াজ বেশিদিন ভালো
রাখতে চাইলে একটু খোলামেলা
ভাবে বাতাস চলাচল করে
এমন স্থানে রাখুন ।
বদ্ধ ও গরম স্থানে
পেয়াজ দ্রুত নষ্ট হয়ে
যায় যায় ।
63. পেঁয়াজ এবং আলু একসাথে একই পাত্রে রাখলে
তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই আলাদা রাখুন।
64. ভারী বেগুণের তুলনায় হালকা বেগুন ভালো কারণ
ভারী বেগুনে বিচি বেশি থাকে।
65. আচারে তেল কম হলে তেল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে
ঢেলে দিন এতে কাচা তেলের গন্ধ হবেনা।
66. রান্না করা খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখার আগে
বাতাসে ঠান্ডা করে নিতে হবে। গরম খাবার রাখলে ফ্রিজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
67. চিনির পাত্রে দু-চারটি লবঙ্গ দিয়ে নিলে
পিঁপড়ে ঢুকবেনা।
68. পিঁয়াজ কাটার আগে দুফালি করে কিছুক্ষন পানিতে
ভিজিয়ে রেখে কাটলে চোখে পানি আসেনা।
69. আটার ভুষি দিয়ে বাসন মাজলে পরিষ্কার ও ঝকঝকে
হয়।
70.
যদি
কাজুবাদামের খোসা ছাড়াতে কষ্ট
হয়, তাহলে বাদামগুলোকে গরম
পানিতে অন্তত ১৫-২০
মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।
খোসা নরম হয়ে সহজেই
উঠে আসবে।
71.
আপনার
চিনির বয়ামে খুব বেশী
পিঁপড়ার আক্রমণ হচ্ছে? বয়াম
এর মুখ খুলে চিনির
উপর ৩-৪ টি
লবঙ্গ রেখে দিন।
পিঁপড়ে বাপ বাপ করে
পালিয়ে যাবে।
72.
আপনি
যদি বিস্কুটের বয়ামের নিচে এক
টুকরো ব্লটিং পেপার রাখেন,
তাহলে সেই বয়ামে রাখা
বিস্কুট সহজে নষ্ট হবে
না। বরং
সেগুলো শুষ্ক ও মচমচে
রাখতে পারবেন অনেক দিন
ধরে।
73.
বাজারের
সাধারণ মাখন ব্যবহার যত
কম করবেন ততই ভালো। বাজারে
লো স্যাচুরেটেড ফ্যাট বহনকারী আলাদা
মাখন পাওয়া যায়।
সেগুলো ব্যবহারের চেষ্টা করুন।
এতে শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ার
ঝুঁকি একেবারেই কম।
74.
কাটা
আপেলের উপর হালকা করে
লেবুর রস লাগিয়ে দিন। আপেল
লালচে হবে না।
বরং ফ্রেশ দেখাবে অনেক
দিন ধরে!
75.
যদি
চামড়ায় কোথাও পুড়ে যায়,
ঠান্ডা পানি ঢেলে দিন। এরপর
পাকা কলা চ্যাপ্টা করে
নিয়ে পোড়া স্থানে লাগিয়ে
দিন। জ্বলুনি
একদম কমে যাবে।
76.
রান্নাঘরে
পোকা কামড় দিতেই পারে। যদি
হুলের যন্ত্রণা বেশি হয় তাহলে
চুইংগাম চিবিয়ে তার সাথে
১ ড্রপ পানি মিশিয়ে
হুল ফোটা স্থানে চেপে
ধরুন।কয়েক
মিনিটেই ব্যথা মিলিয়ে যাবে।
77.
করলা
মাঝখানে কেটে নিয়ে তার
ভেতরে লবণ, ময়দা এবং
দই এর মিশ্রণ ঢুকিয়ে
আধা ঘন্টা রেখে দিন। এরপর
কেটে রান্না করুন, স্বাদ
বেড়ে যাবে দ্বিগুণ!
78.
জিরা
ফ্রেশ রাখতে চাইলে কী
করবেন? খুবই সহজ।জিরাগুলোকে এলুমিনিয়াম ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে
নিশ্চিন্তে ফ্রিজের এক কোণায় রেখে
দিন। এরপর
ভুলে যান।যখন
প্রয়োজন হবে, ফ্রেশ ফ্রেশ
জিরা পাবেন।
79.
পাতিলে
যদি খাবারের পোড়া দাগ লেগে
যায়, অনেক সময় ঘষেও
তোলা যায় না।এই ক্ষেত্রে কী
করবেন? রান্নাঘরে গিয়ে অল্প কিছু
পেঁয়াজ কেটে নিন।এরপর খাবার পোড়া
পাতিলে গরম পানি ঢেলে
তাতে পেঁয়াজ কুচি রেখে
৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।তারপর
পরিষ্কার করুন। দেখবেন
পোড়া দাগ উঠে গেছে।
80.
সবজি
কাটার জন্য কাঠের চপিং
বোর্ড ব্যবহার করুন।প্লাস্টিকের
গুলো ব্যবহার না করাই শ্রেয়। কারণ
প্লাস্টিকের কুচি সবজির সাথে
খাবারে চলে যেতে পারে।
81.
যদি
তাজা ধনে পাতা কিংবা
পুদিনা পাতা না পাওয়া
যায়, আপনি বাজারে এর
রেডিমেড গুঁড়ো কিনতে পাবেন।আর
এই গুঁড়োকে তাজা এবং ফ্রেশ
রাখতে চাইলে মসলিন কাপড়ে
মুড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। অনেক
দিন ফ্রেশ থাকবে।
82.
রান্নাঘরে
খুব তেলাপোকার উপদ্রপ? রান্না ঘরের সিংকের
নিচে এবং কোণাগুলোতে বোরিক
পাউডার ছড়িয়ে দিন।
তেলাপোকা রান্নাঘর তো বটেই, বাড়ি
ছেড়ে পালাবে।
83.
যদি
পাকা নারকেলের শাঁস তুলতে কষ্ট
হয়, তাহলে আধ ঘন্টা
পানিতে চুবিয়ে রাখুন।এরপর দেখবেন সহজেই
উঠে আসছে।
84. খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধটা ফেটে যায়। দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশাবেন। ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দুধ ফাটবে না।
85. চিনেবাদাম ও কাজুবাদাম তেলে ভেজে পরে রান্নায় ব্যবহার করুন। খাবারের স্বাদ বাড়বে।
86. সেমাই বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে অনেকে বাদাম ব্যবহার করেন। বাদামে যদি তেল মেখে পরে তাওয়ায় ভাজেন তাহলে তেল কম লাগবে। নয়তো শুকনো ভাজতে গেলে তেল বেশি লাগবে।
87. ওল, কচু অথবা কচুশাক রান্না করলে তাতে কিছুটা তেঁতুলের রস বা লেবুর রস দিয়ে দিন। তাহলে খাওয়ার সময় গলা চুলকানোর ভয় থাকবে না।
88.
কেক বানাতে যদি ডিমের পরিমাণ কম হয়, তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কর্নফ্লাওয়ার।
89.
খোসা
ছাড়ানো আলু রেখে দিলে
কালো হয়ে যায় অনেক
সময়। এক্ষেত্রে
খোসা ছাড়ানো আলু রান্নার আগ
পর্যন্ত ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে
রাখুন। এটা
ফ্রিজেও রাখা যায়।
রান্নার আগে আলু টুকরো
করে কেটে নেবেন।
90.
ডিম
ভাঙতে গিয়ে জোরে চাপ
পড়ে ডিমের খোসা ভেঙে
গুঁড়া হয়ে যাওয়াটা বিচিত্র
নয়। এ
অবস্থায় আস্ত ডিমটা ফেলে
না দিয়ে ভাঙা খোসার
একটা বড়ো টুকরো হাতে
নিন। এবার
এই টুকরোটার সাহায্য নিয়ে খোসার ছোট
ছোট ভাঙা অংশগুলো তুলে
ফেলুন ডিমের গোলা থেকে।
91.
কলা/
আম কিনে এনে দেখলেন
যে সেগুলো আধপাকা।
এ অবস্থায় বড়োসড়ো কাগজের ঠোঙায় ফলগুলো
মুড়ে রেখে দিন।
তাড়াতাড়ি পেকে যাবে।
92.
জন্মদিনের
কেক থেকে গেছে? ফ্রিজে
রাখার আগে কেকটা যেখান
থেকে কেটেছেন, সেই খোলা দিকটায়
টুথপিক দিয়ে পাউরুটির স্লাইস
আটকে দিন। এই
পাউরুটিই কেকটাকে শুকনো হতে দেবে
না।
93.
রান্নার
পরে হাত থেকে আদা-রসুন বা মাছের
গন্ধ যাচ্ছে না? লেবু
বা বেকিং সোডা হাতের
আঙুলে মাখিয়ে ঘষে ধুয়ে
নিন। তাতেও
গন্ধ থাকলে হাতটা একটা
স্টেনলেস স্টিলের বাসনের গায়ে খানিকক্ষণ
ঘষুন-– হাতের গন্ধ বাসনটি
টেনে নেবে!
94.
ছুরির
ধার কমে যাচ্ছে? কাঁটা-চামচ ইত্যাদি কাটলারির
সঙ্গে ছুরি রাখার কারণেও
তা হতে পারে।
ছুরি সব সময় নির্দিষ্ট
স্ট্যান্ডে রাখা উচিত, ধারালো
দিকটা যেন নিচের দিকে
থাকে।
95.
কৌটা
বা জারের মুখ এমনভাবে
আটকে গিয়েছে যে কিছুতেই
খুলতে পারছেন না? রবার
ব্যান্ড আটকে নিন ঢাকনাটিতে,
তারপর আবার চেষ্টা করুন। এতেও
না খুললে রবার ব্যান্ড
আটকানো ঢাকনার উপর একটি
শুকনো রুমাল জড়িয়ে চেষ্টা
করতে পারেন, ঢাকনা খুলতে
বাধ্য।
96.
টমেটো
কাটতে... : একটা একটা করে
টমেটো অর্ধেক করে কাটার
কাজটা সময় খেয়ে নেয়। তার
চেয়ে অন্য বুদ্ধি করুন। একটি
প্লাস্টিকের পাত্রে অনেকগুলো টমেটো
একসঙ্গে নিন। এগুলো
পাত্রের ঢাকনা দিয়ে চেপে
ধরে মাঝখান দিয়ে একবারে
ছুরি চালান। সবগুলো
একবারে অর্ধেক হয়ে যাবে।
97.
শাক
ধুয়ে শুকাতে... : পাত্রের মধ্যে শাকপাতা নিয়ে
বার বার না ধুয়ে
সালাদ স্পিনার ব্যবহার করুন। পানি
ঝরার পর স্পিনারটি ঘুরিয়ে
শাক শুকিয়ে নিন।
98.
মুরগীর মাংস পাতলা
করে কাটতে... : এ কাজটি বেশ
কঠিন। কিন্তু
একটা বুদ্ধি করলে অনায়াসে
নিখুঁত ও পাতলা করে
মুরগীর মাংস কাটতে পারবেন। এগুলো
কাটার আগে ১৫ মিনিটের
জন্য রেফ্রিজারেটরে রেখে দিন।
এবার কেটে দেখুন।
99.
কিচেন সিয়ার্সের কাজ
: অনেক সময় বাঁচিয়ে দেবে
এক জোড়া কিচেন সিয়ার্স। সবজি
কাটা থেকে শুরু করে
আস্ত মুরগীর রোস্ট বা
গ্রিল কাটতে এর তুলনাই
চলে না। ব্যবহার
করে দেখুন।
100.
পাস্তার
পানির ব্যবহার : পাস্তা রান্নার সময়
তা সেদ্ধ করার পর
পানি ফেলে দিতে হয়। এটি
ফেলে দেবেন না।
যদি বাড়িতেই সস বানিয়ে থাকেন,
তবে পাস্তার সেই পানি সসে
মিশিয়ে নিন। এতে
সসের স্বাদ ও চেহারা
বদলে যাবে।
101.
ময়দার
তাল ফ্রিজে : কুকি বানাতে ময়দার
তাল তৈরি করতে হয়। পুরোটুকু
দিয়ে একবারে কুকি না
বানিয়ে বাকিটুকু ফ্রিজে রেখে দিন। এতে
করে বার বার ময়দার
তাল বানাতে হবে না। আবার
কুকির আকৃতি দিয়ে যদি
তা ফ্রিজে রাখেন, তবে
পরবর্তিতে ফ্রিজ থেকে সরাসরি
ওভেনে দিতে পারবেন।
102.
কাটিং
বোর্ডকে স্থির রাখতে... : কাটিং
বোর্ডটি বেশ পিচ্ছিল হয়। একে
স্থির রাখতে নিচে একটি
কর্কশ তোয়ালে বা কিচেন
টিস্যু ভিজিয়ে দিয়ে রাখুন। দেখবেন
যতই কাটাকাটি করুন, বোর্ডটি নড়াচড়া
করবে না।
103.
কাটিং
বোর্ডের আবর্জনা ফেলতে... : কাটিং বোর্ডের একপাশে
একটি পলিথিন বা কাগজ
দিয়ে রাখুন। সবজি
কাটার সময় বাড়তি অংশগুলো
সহজেই ওই কাগজ বা
পলিথিনে ফেলে দিন।
স্রেফ হাত দিয়ে বা
যে চাকু দিয়ে কাটছেন
তার ব্যবহারেই কাজটি করা যাবে। কাজ
শেষে পলিথিন বা কাগজটি
ভাঁজ করে ফেলে দিন। এতে
ময়লা ছড়াবে না।
104.
দ্রুত
বাদাম ভাজতে... : অনেক খাবার তৈরিতে
বাদাম দারকার হয়।
বাদাম ভেজে নেওয়াটা বেশ
কঠিন কাজ। কিন্তু
অতি সহজেই সম্ভব।
বাদাম বা শীম ও
মিষ্টি কুমড়ার বিচি ভেজে
নিতে মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করুন। আধা
কাপ কাঁচা বাদাম নিয়ে
ওভেন পুরো তাপমাত্রায় গরম
রাখুন ২ মিনিট।
বাদামী হয়ে উঠলে বের
করে একটি পেপার তোয়ালেতে
ছড়িয়ে দিন।
105.
সহজে
আদা-রসুন বাঁটা : একটি
মাইক্রোপ্লেন রাস্পের মাধ্যে আদা-রসুন
একেবারে বেঁটে নেওয়া যায়। এদের
মাইক্রোপ্লেনে গ্রেট করুন।
আলাদাভাবে মিশিয়েও নিতে হবে না। যেকোনো
তরকারি বা সসে ব্যবহারের
জন্য আদর্শ জিনিস মিলবে।
106.
আঠালো
তরল সামলাতে... : কোনো আঠালো তরল
মাপা ও ব্যবহারের সময়
তা পাত্রে লেগে থাকে। যে
পাত্রে নিচ্ছেন তাতে তেল স্প্রে
করে দিন। দেখবেন
এক ফোঁটা তরলও লেগে
নেই।
107.
প্যান থেকে ব্রেড
বা ব্রাউনি তুলতে... : এ কাজে জাদু
দেখাবে স্লিং। প্যান
থেকে ব্রেড, ব্রাউনি ও
ব্লন্ডি তুলতে গেলে প্রায়ই
ভেঙে যায়। এগুলো
পাত্রে দেওয়ার আগেই অ্যালুমিনিয়াম
ফয়েল পেপার বা পার্চমেন্ট
কাগজ দিয়ে প্যানের মাঝখানে
দুইটি বা তিনটি ফিতা
তৈরি করুন। এদের
দুইপাশ যেন একটু বড়
থাকে। প্যানের
ওপর দিয়ে এগুল বেরিয়ে
আসবে হ্যান্ডেলের মতো। রান্নার
পর ঠাণ্ডা হয়ে আসলে
ফয়েল পেপার ধরে তুলে
আনুন। একটুও
প্যানে লেগে যাবে না।
আশা করি এই টিপস
গুলো রান্নাঘরের মানুষদের কাজে লাগবে।
সবাই ভালো থাকবেন।
0 Comments