জেনে নিন
মজাদার ঝটপট ইফতার রেসিপি
চলে এসেছে মাহে
রমজান।পবিত্র
এ মাস জুড়ে মুসলমানগণ
সারাদিন রোজা রাখেন ।
সারাদিন রোজা রাখার পর
পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইফতার
করা যেমন আনন্দের ব্যাপার
তেমনি এর ধর্মীয় গুরুত্বও
অনেক। সারাদিন
রোজা রাখার পর আমরা
যেই ইফতার খাচ্ছি, সেটি
অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত হওয়া উচিত।
ইফতারে আমাদের সাথে থাকেন
পরিবারের বয়স্ক মানুষজন থেকে
ছোট বাচ্চারা। সবার
কথা মাথায় রেখে ইফতার
হওয়া উচিত যেমন সুস্বাদু
তেমনি স্বাস্থ্যকর। তাই
আমাদের সবারই কিছু ঝটপট
ইফতার রেসিপি জানা থাকা
দরকার।
এমনই ঝটপট কিছু
স্বাস্থ্যকর, মজাদার ও ঝটপট
ইফতার রেসিপি নিয়ে এসেছি
আপনাদের জন্য।
 মালটার জুস
উপকরনঃ
মালটা ২টি, বিট
লবণ স্বাদ অনুযায়ী, চিনি
সামান্য, পুদিনা পাতা ২-৩টি এবং পানি
প্রয়োজন মতো, বরফের টুকরা
আধা কাপ।
প্রস্তুত প্রনালীঃ
প্রথমে মালটার খোসা
ছাড়িয়ে নিন। শুধু
ভেতরের অংশ নিন বীচি
ফেলে দিয়ে তার সঙ্গে
অন্যসব উপকরণ নিয়ে একসঙ্গে
ব্লেন্ড করে গ্লাসে ঢেলে
পরিবেশন করুন।
পনির
পিয়াজু
উপকরনঃ
পনির গ্রেট করা
১০০ গ্রাম, 
মসুর ডাল – ১
কাপ
পেঁয়াজ কুচি- ২
টা মাঝারি আকারের
কাঁচামরিচ কুচি – ৬-৭
টা বা স্বাদমত
চালের গুঁড়া – ১
ও ১/২ টেবিল
চামচ
জিরা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
আদা বাটা – ১/২ চা চামচ
রসুন বাটা – ১/২ চা চামচ
ধনিয়া পাতা কুচি
– ২ টেবিল চামচ
লবণ – ৩/৪
চা চামচ বা স্বাদমত
তেল – ডুবো তেলে
ভাজার জন্য যতটুকু লাগে
পানি পরিমাণ মতো।
প্রস্তুত প্রনালীঃ
প্রথমে মসুর ডাল
ভাল করে ধুয়ে ২-৩ ঘণ্টা কুসুম
গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সবচেয়ে
ভালো হয় যদি আগের
রাতে ভিজিয়ে রাখেন, পুরো
রাত্রি ভিজিয়ে রাখেন।
তারপর পানি ফেলে দিয়ে
ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
খুব মিহি করে ব্লেন্ড
করার দরকার নেই।
একটু দানাদার থাকতে নিয়ে নিন। আর
পারলে ব্লেন্ডারের জায়গায় শিল-পাটা
দিয়েও ডাল বাটতে পারেন। ব্লেন্ড
করা বা বাটা ডাল
একটি বাটিতে নিয়ে তেল
ছাড়া সব উপকরণ দিয়ে
ভাল করে মিশিয়ে নিন। শেষে
গ্রেট করা পনির মাখিয়ে
নিন।
এবার প্যানে তেল গরম করে
১ টেবিল চামচ মত
ডালের মিশ্রণ নিয়ে গোল
করে তেলে ছাড়ুন।
প্যানে জায়গা অনুযায়ী আরও
পিঁয়াজু তেলে দিন এবং
মাঝারি আঁচে উভয় পাশ
হাল্কা বাদামী করে ভেজে
নিন।
ভাজা হয়ে গেলে
কিচেন টিস্যুতে তুলে নিন।
এভাবে সব পিঁয়াজু ভেজে
গরম গরম পরিবেশন করুন
আপনার ইফতারির টেবিলে।পরিবেশন
করুন বিভিন্ন ধরনের সস বা
চাটনির সঙ্গে।
মচমচে
পিঁয়াজু
উপকরণ :
মসুর ডাল – ১
কাপ
পেঁয়াজ কুচি- ২
টা মাঝারি আকারের
কাঁচামরিচ কুচি – ৬-৭
টা বা স্বাদমত
চালের গুঁড়া – ১
ও ১/২ টেবিল
চামচ
জিরা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
আদা বাটা – ১/২ চা চামচ
রসুন বাটা – ১/২ চা চামচ
ধনিয়া পাতা কুচি
– ২ টেবিল চামচ
লবণ – ৩/৪
চা চামচ বা স্বাদমত
তেল – ডুবো তেলে
ভাজার জন্য যতটুকু লাগে
পানি পরিমাণ মতো।
প্রস্তত প্রণালী :
প্রথমে মসুর ডাল
ভাল করে ধুয়ে ২-৩ ঘণ্টা কুসুম
গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সবচেয়ে
ভালো হয় যদি আগের
রাতে ভিজিয়ে রাখেন, পুরো
রাত্রি ভিজিয়ে রাখেন।
তারপর পানি ফেলে দিয়ে
ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
খুব মিহি করে ব্লেন্ড
করার দরকার নেই।
একটু দানাদার থাকতে নিয়ে নিন। আর
পারলে ব্লেন্ডারের জায়গায় শিল-পাটা
দিয়েও ডাল বাটতে পারেন। ব্লেন্ড
করা বা বাটা ডাল
একটি বাটিতে নিয়ে তেল
ছাড়া সব উপকরণ দিয়ে
ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার
প্যানে তেল গরম করে
১ টেবিল চামচ মত
ডালের মিশ্রণ নিয়ে গোল
করে তেলে ছাড়ুন।
প্যানে জায়গা অনুযায়ী আরও
পিঁয়াজু তেলে দিন এবং
মাঝারি আঁচে উভয় পাশ
হাল্কা বাদামী করে ভেজে
নিন।
ভাজা হয়ে গেলে
কিচেন টিস্যুতে তুলে নিন।
এভাবে সব পিঁয়াজু ভেজে
গরম গরম পরিবেশন করুন
আপনার ইফতারির টেবিলে। পরিবেশন
করুন বিভিন্ন ধরনের সস বা
চাটনির সঙ্গে।
সবজি
হালিম
উপকরনঃ
যেসব উপাদান লাগবে:
পোলাওয়ের চাল ১০০ গ্রাম,
মসুর ডাল ১০০ গ্রাম,
মাষকলাইয়ের ডাল ৫০ গ্রাম,
মুগডাল ১০০ গ্রাম, বুটের
ডাল ৫০ গ্রাম, গমের
গুঁড়া ১ টেবিল চামচ,
পেঁয়াজ কিউব করে কাটা
১ কাপ, মিহি করে
পেঁয়াজ কাটা ২ টেবিল
চামচ, আস্ত কাঁচামরিচ ১০-১২টি, ধনেপাতা কুচি
২ টেবিল চামচ, আদা
কুচি মিহি করে কাটা
১ চা চামচ, লেবু
টুকরো করা, হলুদ গুঁড়া
১ টেবিল চামচ, মরিচ
গুঁড়া ১ টেবিল চামচ,
আদা বাটা আদা টেবিল
চামচ, রসুন বাটা ১
টেবিল চামচ, ঘি ১
টেবিল চামচ, তেল পরিমাণমতো,
পানি পরিমাণ মতো, তেঁতুলের
ঘন পানি আধা কাপ,
গাজর, টমেটো, ফুলকপি ছোট
ছোট টুকরো করা, শুকনো
মরিচ ৫-৬টি।
হাড়সহ ছোট ছোট টুকরো
গরুর মাংস ৫০০ গ্রাম,
হালিমের মশলা ২ টেবিল
চামচ।
প্রস্তুত প্রনালীঃ
প্রথমে মাংস ভালো
করে ধুয়ে রাখুন।
এরপর পাতিলে তেল গরম
করে এতে পেঁয়াজ এবং
আস্ত গরম মশলা দিয়ে
ভাজুন। বাটা
ও গুঁড়া মশলা স্বাদ
অনুযায়ী লবণ এবং পরিমাণ
মতো পানি দিয়ে মশলা
কষিয়ে নিন। এরপর
এতে মাংস দিন।
ভালো করে কষিয়ে পরিমাণ
মতো পানি দিয়ে ঢেকে
রান্না করুন। মাংস
হয়ে এলে এতে হালিমের
মশলা ও কাঁচা মরিচ
দিয়ে নেড়ে নামিয়ে রাখুন। হালিমের
শস্য আলাদা আলাদা পানিতে
ভিজিয়ে রাখুন। প্রায়
৪-৫ ঘণ্টা।
এরপর সব শস্য একসঙ্গে
মিশিয়ে ধুয়ে নিন।
কিছুক্ষণ গরম পানিতে ভিজিয়ে
রেখে সিদ্ধ করুন।
এরপর রান্না করা
মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে জ্বাল
দিতে থাকুন। খেয়াল
রাখুন নিচে যাতে লেগে
না যায়। সব
সবজি ধুয়ে নিন।
হালিম প্রায় সিদ্ধ হয়ে
এলে এতে আরও হালিমের
মশলা এবং সবজিগুলো দিয়ে
নাড়তে থাকুন। হালিম
ঘন হলে নামিয়ে নিন। এরপর
গরম গরম হালিমের সঙ্গে
আদা কুচি, পেঁয়াজ বেরেস্তা,
ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ কুচি,
তেঁতুল পানি বা লেবুর
রস দিয়ে পরিবেশন করুন।
ডিম বেসন
বড়া
উপকরনঃ
সিদ্ধ ডিম ২টি,
বেসন ১ কাপ, হলুদ
গুঁড়া আধা চা চামচ,
মরিচ গুঁড়া সামান্য, লবণ
স্বাদ অনুযায়ী, রসুন বাটা আধা
চা চামচ, ভাজার জন্য
তেল পরিমাণ মতো, পানি
পরিমাণ মতো এবং খাওয়ার
সোডা সামান্য।
প্রস্তুত প্রনালীঃ
সিদ্ধ ডিমের খোসা
ছাড়িয়ে নিন। গোল
গোল করে কাটুন।
বেসনের সঙ্গে অন্যান্য উপকরণ
একসঙ্গে মাখিয়ে একটি ঘন
মিশ্রণ তৈরি করুন।
তেল গরম করুন, টুকরো
করা সিদ্ধ ডিম বেসনে
ডুবিয়ে গরম গরম তেলে
ভেজে তুলুন। পরিবেশন
করুন যে কোনো সস
বা চাটনির সঙ্গে।
চিড়ার
চপ
উপকরণ :
চিড়া – ১কাপ
পিয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
কাচা মরিচ কুচি
– পছন্দ মতন
গোল মরিচ গুড়া
– পছন্দ মতন
লবণ – স্বাদ মতন
চালের গুড়া – ১
টেবিল চামচ (মচমচে করার
জন্য, যদি আপনি চান)
ডিম – ১ টা
ধনে পাতা কুচি
– প্রয়োজনমত
তেল – চপ ভাজার
জন্য পরিমাণমত
প্রস্তত প্রণালী :
চিড়া ভাল করে
ধুয়ে, পানিতে ৫ মিনিটের
মতন ভিজিয়ে রাখতে হবে। ৫
মিনিট পর ভাল করে
পানি ঝরিয়ে চিড়াগুলিকে একটি
বাটিতে নিতে হবে।
লক্ষ্য রাখতে হবে চিড়াতে
যেন পানি না থাকে। এরপর
এক এক করে সব
উপকরণ মিশাতে হবে।
এইবার এই মিশ্রণ দিয়ে
ছোট ছোট বল বানিয়ে,
চপ এর মতন সাইজ
করে একটা প্লেটে রাখতে
হবে। এখন
ফ্রাই প্যানে অল্প তেল
দিয়ে চপগুলি ভাজতে হবে। যখন
চপ গুলি বাদামি রঙ
হবে তখন প্লেটে তুলে
রাখুন। তৈরি
হয়ে গেল মজাদার চিড়ার
চপ!
স্পেশাল
আলুর চপ
উপকরণ :
আলু ৫০০ গ্রাম,
ডিম ১টি সিদ্ধ
করে ভর্তা করতে হবে,
কাঁচামরিচ কুচি ১ চা
চামচ,
ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল
চামচ,
পেয়াজ বেরেস্তা করা
২ টেবিল চামচ,
গরম মশলা গুঁড়ো
১ চা চামচ,
ডিম ১টি ফেটানো,
বিস্কুটের গুঁড়ো পরিমাণমতো,
তেল ভাজার জন্য
পরিমাণমতো,
লবণ স্বাদ অনুযায়ী।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে আলু সিদ্ধ
করে লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ
মেখে রাখতে হবে।
একটি কড়াইয়ে তেল গরম
করে একে একে তাতে
আলু ভর্তা, ডিমের ভর্তা,
কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি,
গরম মশলা গুড়ো, স্বাদ
অনুযায়ী লবণ এবং পেয়াজ
বেরেস্তা দিয়ে ভালোভাবে ভাজা
ভাজা করে আবার মেখে
নিতে হবে। হাল্কা
হাতে চ্যাপটা আকারের চপগুলো প্রায়
১০-১২টি করে ফ্রিজে
প্রায় ৫ মিনিট রেখে
দিতে হবে। এরপর
ডিমের গোলায় ডুবিয়ে বিস্কুটের
গুঁড়ো মিশিয়ে গরম ডুবন্ত
তেলে ভেজে টিস্যু পেপারে
তুলে রাখতে হবে।
ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো
মজাদার আলুর চপ।
ব্যাস! আমরা শিখে ফেললাম
সুন্দর একটি ঝটপট ইফতার
রেসিপি ।
বেগুনিঃ
উপকরণঃ
ছোলার ডালের বেসন
দেড় কাপ
চালের গুঁড়া আধা
কাপ
লম্বা বেগুন ১-২টি
মরিচ গুঁড়া আধা
চা-চামচ
হলুদ গুঁড়া আধা
চা-চামচ
বেকিং পাউডার এক
চা-চামচ
পেঁয়াজ বাটা এক
চা-চামচ
রসুন বাটা এক
চা-চামচ
আদা বাটা এক
চা-চামচ
লবণ পরিমাণমত
তেল (ভাজার জন্য)
পরিমাণমত
প্রস্তত প্রণালী :
বেগুন ও তেল
বাদে বাকি সব উপকরণ
একসঙ্গে পানি দিয়ে মিশিয়ে
থকথকে গোলার মত করে
ফেলুন। এরপর
কিছু সময় ঢেকে রাখুন। বেগুন
পাতলা টুকরা করে কেটে
সামান্য লবণ ও হলুদ
মাখিয়ে রাখুন। এরপর
কড়াইয়ে তেল গরম করে
বেগুন বেসনের গোলায় ডুবিয়ে
ডুবো তেলে ভাজতে শুরু
করুন আস্তে আস্তে।
খেয়াল রাখবেন যেন মচমচে
বাদামি রঙ করে ভাজা
হয়। এরপর
তেল থেকে উঠিয়ে কিচেন
টাওয়েল অথবা কাগজের ওপর
রাখতে হবে যাতে অতিরিক্ত
তেল শুষে নেয়।
তৈরি হয়ে গেল গরমাগরম
মজাদার বেগুনি!
ছোলা
বুটঃ
উপকরণ:
১ কাপ ছোলা
১/৪ কাপ
পেঁয়াজ কুচি
২ টি টমেটো
কিউব করে কাটা
২ টি কাঁচামরিচ
কুচি
৩ টেবিল চামচ
তেল
২ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো
১ চা চামচ
জিরা গুঁড়ো
আধা চা চামচ
মরিচ গুঁড়ো
আধা চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো
দেড় চা চামচ
লেবুর রস
১ চা চামচ
আদা-রসুন বাটা
আধা চা চামচ
গরম মসলা গুঁড়ো
লবণ স্বাদমতো
১ চিমটি বিট
লবণ
ধনে পাতা কুচি
ইচ্ছে
প্রস্তত প্রণালী:
প্রথমে ছোলা বুট
পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। এরপর
সামান্য লবণ ও হলুদ
গুঁড়ো দিয়ে ছোলা বুট
সেদ্ধ করে নিন ।
চুলায় প্যানে তেল দিয়ে
গরম করে আদা-রসুন
বাটা দিন । একটু
লালচে হয়ে এলে এতে
পেঁয়াজ কুচি দিন।
পেঁয়াজ কুচি নরম হয়ে
এলে বাকি সকল মসলা
একের পর একে প্যানে
দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে মসলা
কষাতে থাকুন। মসলা
কষে আসার পর টমেটো
কুচি দিয়ে ভালো করে
নেড়ে ছোলা বুট ঢেলে
দিন। ভালোমতো
নাড়াতে থাকুন মসলা মাখা
মাখা হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। এরপর
লেবুর রস দিয়ে ভালো
করে নেড়ে উপরে ধনে
পাতা কুচি ছিটিয়ে নামিয়ে
নিন। ব্যাস,
তৈরি মজাদার ছোলা বুট।
তাহলে আমরা শিখে
নিলাম কিছু ঝটপট ইফতার
রেসিপি । 
সবাইকে শুভেচ্ছা।
রান্না একটা ভালবাসা, একদিন
রান্না করেই ফেলুন না!
দেখুন কেমন ভালবাসা পান!
অভিজ্ঞতা আপনাকে আরো অনেক
উপরে নিয়ে যাবে।
সুস্থ থাকুন ।

 
 
 
 
0 Comments