চলুন জেনে নেই ইফতারের ছোলার রেসিপি
ছোলার রেসিপি:
এবার আসুন ছোলার
কিছু রেসিপি নিয়ে ।ছোলা আমরা সব
সময় ভাজি করেই খাই
কিন্তু মাঝে মাঝে এই
রেসিপি গুলো রান্না করেও
আলাদা স্বাদ দিতে পারি
ছোলা
ভাজি (আলু, টমেটো যোগে)
উপকরনঃ
Ø 
ছোলার
ডাল (দুই কাপ)
Ø 
কিছু
আলু কুচি (ব্রিক স্টাইল)
Ø 
একটা
টমেটো কুচি
Ø 
পেঁয়াজ
কুচি (হাফ কাপের কম)
Ø 
আদা
বাটা, এক চা চামচ
Ø 
রসুন
বাটা, এক চা চামচ
Ø 
মরিচ
গুড়া, সামান্য ঝাল বুঝে
Ø 
হলুদ
গুড়া, সামান্য
Ø 
কাঁচা
মরিচ/ শুকনা মরিচ (ভাঁজা)
Ø 
ধনিয়া
পাতা কুচি, এক টেবিল
চামচ
Ø 
লবন,
পরিমান মত
Ø 
তেল,
হাফ কাপ (আমি অবশ্য
তেল কম দিয়েই শুরু
করেছিলাম)
প্রনালীঃ
কড়াইতে তেল গরম
করে তাতে পেঁয়াজ কুচি
ভাল করে ভাঁজুন এবং
এর পর  আদা,
রসুন বাটা দিন।
কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিতে
পারেন। একটু
ভাঁজা হয়ে গেলে এবার
মরিচ গুড়া এবং হলুদ
গুড়া দিন এবং সামান্য
পানি দিয়ে ঝোল বানিয়ে
নিন।
একটা টমেটোর কুচি
(টমেটো ফ্রীজে ছিল বলে
ঠিক মত কুচি হয়
নাই) দিন, ভাল করে
ভেঁজে তেল উঠিয়ে নিন।
এবার সিদ্ব করে
রাখা ছোলা ও আলু
দিন।
ভাল করে মিনিট
তিনেক ভাঁজুন।
এবার এক কাপ
পানি দিন।
পানি দিয়ে কিছুক্ষনের জন্য
মাধ্যম আঁচে ঢেকে রাখুন।
পানি শুকিয়ে এমন
একটা অবস্থায় এসে যাবে।
কয়েকটা শুকনা মরিচ ভেঙ্গে
দিতে পারেন। ধনিয়া
পাতার কুচি দিন এবং
ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে
দিন। না
লাগলে ওকে বলুন (রোজাতে
লবন দেখা মুস্কিল, ছোট
কাউকে দিয়ে দেখিয়ে নিতে
পারেন)
ব্যস পরিবেশনের জন্য
প্রস্তুত।
লেবু কেটে সাজগোজ
বাড়িয়ে নিতে পারেন।
বিশ্বাস করুন, চরম স্বাদ। আমাদের
আদি মুরুবীদের ধন্যবাদ দিতেই হয়, এই
ভেবে যে, এমন একটা
খাবার তারা ইফতারের জন্য
সিলেক্ট করেছিল, সেই বহুদিন আগে
থেকেই।
দই ছোলা: 
উপকরণ: 
Ø 
ছোলা
১ কাপ,
Ø 
টকদই
আধা কেজি,
Ø 
ভুজিয়া
আধা কাপ, 
Ø 
চাট
মসলা ২ চা-চামচ,
Ø 
শুকনা
মরিচ টালাগুঁড়া ১ চা-চামচ,
Ø 
বিট
লবণ ১ চা-চামচ,
Ø 
চিনি
২ চা-চামচ বা
পরিমাণমতো, 
Ø 
পুদিনাপাতা
৪ টেবিল-চামচ, 
Ø 
পেঁয়াজকুচি
৪ টেবিল-চামচ, 
Ø 
কাঁচা
মরিচ কুচি ১ চা-চামচ, 
Ø 
লবণ
স্বাদমতো, 
Ø 
তেল
২ টেবিল-চামচ, 
Ø 
শসাকুচি
পৌনে এক কাপ, 
Ø 
টমেটোকুচি
পৌনে এক কাপ।
প্রণালি: 
ছোলা ৫-৬
ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ডুবো
পানিতে হলুদ ও লবণ
দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে
হবে। তেল
গরম করে পেঁয়াজ ও
কাঁচা মরিচ দিয়ে ভেজে
ছোলা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ
ভেজে ১ চা-চামচ
চাট মসলা দিয়ে দিতে
হবে। পরিবেশন
পাত্রে এটি ঢেলে ঠান্ডা
করতে হবে। দইয়ের
সঙ্গে বাকি চাট মসলা,
২ টেবিল-চামচ পুদিনাপাতা,
বিট লবণ, চিনি, লবণ,
মরিচগুঁড়া দিয়ে ভালো করে
ফেটিয়ে ছোলার ওপর ঢেলে
দিতে হবে। তার
ওপর শসাকুচি, টমেটোকুচি, পুদিনাপাতা, কাঁচা মরিচকুচি ও
ভুজিয়া পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পরিবেশন করতে
হবে।
ছোলার বিরিয়ানি-
উপকরণ : 
Ø 
পোলাউ
চালঃ ২ কাপ আর
আরও অর্ধেক
Ø 
ছোলাঃ
১ কাপ
Ø 
পেঁয়াজ
কুচি – হাফ কাপ
Ø 
আদা
বাটা-রসুন বাটা -৩
টেবিল চামচ
Ø 
তেল
-(হাফ কাপের কম)
Ø 
কয়েকটা
কাঁচা মরিচ,গরম মসলা
এবং লবন পরিমান মতো
Ø 
পানি
– ৪ কাপ
প্রণালি: 
বিরয়ানী মসলা -২ টেবিল
চামচ (রাধুনি ,সান ,মেহরান ,আহমাদ
যে কোন বিরিয়ানি মসলা
ব্যবহার করতে পারেন)
প্রনালীঃ লবন দিয়ে ছোলা
ভাল করে সিদ্ব করে
নিন। তার
পর ভাল করে ধুয়ে
পানি ঝরিয়ে রাখুন।
পোলাউ চাল ধুয়ে পানি
ঝরিয়ে নিন।এবার
কড়াইতে তেল গরম করে
পেঁয়াজ ভাঁজুন। তার
পর আদা, রসুন এবং
বিরিয়ানি মসলা দিন ,সাথে
গরম মসলা দিন ।
কয়েকটা কাঁচা মরিচ চিরে
দিতে পারেন।ভাল
করে কষিয়ে নিয়ে ছোলা
দিয়ে দিন এবং আবার
ভালো করে কষিয়ে নিন
।তেল বের
হলে পানি দিন ,লবন্
আন্দাজ করে দিয়ে দিন,
পানি ফুটে উঠলে চাল
দিয়ে দিন। চাল
বলক এলে একটু সময়
ফুটতে দিন যখন পানি
কমে আসবে তখন চুলা
একেবারে দিম আঁচে ১৬
মিনিটের জন্য ঢেকে দিন
,মাঝে ৭/৮ মিনিত
পর একবার উপরে নিচে
করে দিবেন তখন কাঁচা
মরিচ আস্ত কয়েকটা পোলাওতে
গুজে দিন ,কয়েকটা পুদিনা
পাতা ও দিতে পারেন
।এরপর আরও
৭/৮ মিনিট পর
চুলা নিভিয়ে দিন।
আরও ২০/১৫ মিনিট
পরে ঢাকনা খুলে পরিবেশন
করুন অন্যরকম স্বাদের ছোলার বিরিয়ানি ।
ছোলা চাট 
উপকরণ : 
Ø 
কাবুলি
ছোলা -আধা কেজি
Ø 
আলু
-৩টা বড়
Ø 
পেয়াজ
কুচি -১ টা,
Ø 
কাচা
মরিচ কুচি ,
Ø 
ধনে
পাতা কুচি পরিমান মতো
,
Ø 
তেতুলের
ক্বাথ ২ টেবিল চামচ,
Ø 
(চাট
মসলা-শুকনো মরিচ-১২টা
,
Ø 
জিরা
১ টেবিল চামচ ,
Ø 
ধনে
১ টেবিল চামচ ,
Ø 
গোল
মরিচ ২০ টি , 
Ø 
রাঁধুনি
১ চা চামচ ,
Ø 
মৌরি
১ চা চামচ ,
Ø 
মেথি
১ চা চামচ ,
Ø 
কালি
জিরা আধা চা চামচ
,
Ø 
লবঙ্গ
৫ টি ,
Ø 
পাঁচফোড়ন
১ চা চামচ,
Ø 
বীট
লবন গুড়া ১ চা
চামচ, 
প্রণালি: 
মসলাগুলো আলাদা আলাদা হাল্কা
টেলে ঠাণ্ডা করে গুড়া
করে দিতে হবে )
ছোলা সারা রাত
ভিজিয়ে রেখে সিদ্ধ করে
নিতে হবে , আলু সিদ্ধ
করে ছোট ছোট টুকরো
করে নিতে হবে , কিছু
কিছু আলু একটু ভেঙ্গে
দিতে হবে এবার পেয়ায,
কাচা মরিচ কুছি, ধনে
পাতা কুচি লবন দিয়ে
মাখিয়ে সাথে ছোলা, আলু
দিতে মাখাতে হবে ,তারপর
এতে যোগ করুন চাট
মসলা ও তেঁতুলের কাথ
২/৩ চামচ (এটা
আপনার রুচি অনুযায়ী )।সাথে দিতে পারেন
ভাঙ্গা মুচ মুচে নিমকি
ভাজা । হয়ে
গেল মজার ছোলা চাট
।খুব সহজেই
যা তৈরি করতে পারবেন
।
চটপটি:
-২ কাপ সিদ্ধ
কাবুলি ছোলা , ২/৩
টা সিদ্ধ আলু , ডিম
সিদ্ধ ২ টা , ধনিয়া
হাল্কা টেলে আধা ভাঙ্গার
চেয়ে একটু বেশি গুড়া
করবেন। শুকনো
মরিচ টেলে গুড়া করবেন। তবে
বেশি গুড়া করবেন না
যেন আধা ভাঙ্গার চেয়ে
কিছুটা বেশি ।তেতুল
ভিজিয়ে রেখে এর মাড়টা
বের করবেন ।
সিদ্ধ কাবুলি ছোলা
ও সিদ্ধ আলু টুকরো
একসাথে জ্বাল দিন ২
কাপ পানি দিয়ে , আলু
গুলি একটু ভেঙ্গে ভেঙ্গে
দিবেন। কিছুটা
পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে
রাখুন। এবার
সার্ভিং পাত্রে ছোলা আলুর
মিশ্রণ ধালুন। আর
ওপরে
ছোলা
ও ফলের সালাদ:
 উপকরণ: 
কাবলি ছোলা ১
কাপ, পছন্দমতো ফলের কুচি ২
কাপ (আম, আপেল, আমড়া,
পেয়ারা, আঙুর, আনারস, আনার
ইত্যাদি) পানি ঝরিয়ে টকদই
২ কাপ, তেঁতুলের মাড়
২ টেবিল-চামচ বা
ইচ্ছেমতো, লেবুর রস ২
টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো,
চিনি ১ টেবিল-চামচ,
বিটলবণ ১ চা-চামচ,
সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ
কুচি ১ চা-চামচ
বা ইচ্ছেমতো, আলু বড় ১টি,
গাজর মাঝারি ১টি, পেঁয়াজ
মোটাকুচি আধা কাপ, পুদিনাপাতা
বা ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল-চামচ, সরিষার তেল
১ টেবিল-চামচ, শসা
কুচি সিকি কাপ, ক্যাপসিকাম
কুচি সিকি কাপ, চাট
মসলা ২ টেবিল চামচ,
বেসনের চিকন ঝুরি ভাজা
আধা কাপ, টমেটো কুচি
আধা কাপ।
প্রণালি: 
ছোলা পাঁচ-ছয়
ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সিকি
কাপ ছোলা রেখে বাকি
ছোলা ডুবোপানিতে লবণ দিয়ে সিদ্ধ
করে নিতে হবে।
আলু ও গাজর আলাদা
সেদ্ধ করে ছোট কিউব
করে কেটে নিতে হবে। ফুটন্ত
গরম পানিতে পেঁয়াজ এক
মিনিট রেখে পানি ঝরিয়ে
নিন। এবার
গভীর বাটিতে বেসনে ঝুরি
ভাজা বাদে বাকি সব
উপকরণ পর্যায়ক্রমে দিয়ে হালকা হাতে
মাখিয়ে রেফ্রিজারেটরে কিছুক্ষণ রাখতে হবে।
ফ্রিজ থেকে বের করে
সার্ভিং ডিশে ঢেলে ওপরে
ঝুরি ভাজা ছিটিয়ে দিয়ে
মজাদার কাবলি ছোলা ও
ফলের সালাদ পরিবেশন করতে
হবে।
হালিম
উপকরণ:
ইফতারিতে খেতে পারেন হালিম। বাজারে
কিনতে পাওয়া যায় হালিমের
প্যাকেট। কিনেও
করতে পারেন আবার নিজে
ঘরে চাল ডালের মিশ্রণে
তৈরি করতে পারেন।
নিজেরা ঘরে তৈরি করতে
হালিমের ডাল রান্নার জন্য
যা যা লাগবে : মসুরের
ডাল ৫০ গ্রাম, মটর
ডাল ৫০ গ্রাম, মুগ
ডাল ৫০ গ্রাম, মাষকলাইয়ের
ডাল ১০০ গ্রাম, চাল
৫০ গ্রাম, গম ৫০
গ্রাম, ধনে গুঁড়া ১
চা-চামচ, আদা বাটা
২ চা-চামচ, রসুন
বাটা ২ চা-চামচ,
মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদ আধা
চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো
,গরম মসলা । মাংস
-৫০০ গ্রাম তবে মাংস
আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী ,বেশিও
করেও দিতে পারেন কমও
দিতে পারেন ,সে অনুপাতে
মসলা ব্যবহার করে রান্না করবেন
।
প্রস্তুত প্রণালি : 
একটি পাত্রে তেল
গরম করুন। গরম
তেলে পেঁয়াজ ভাজুন যতক্ষণ
পর্যন্ত না হালকা খয়েরি
রঙ ধারণ করে।
সব মসলা একে একে
পাত্রে ঢালুন। মাংস
ঢালুন এবং রান্না করুন। আরেকটি
পাত্র চুলায় দিন এবং
তাতে। ডাল,
চাল এবং সব উপকরণ
ঢেলে রান্না করুন।
রান্না হয়ে এলে মাংসটি
ডালের পাত্রে ঢেলে দিন।
গারনিশ করতে যা
যা লাগবে : পেঁয়াজ ভাজা, কাঁচা
আদা, সবুজ মরিচ, মিন্ট
পাতা, ধনেপাতা কুচি, জিরার গুঁড়া
ভাজা, লাল মরিচ ভাজা
গুঁড়া ও লেবু।
পাকোরা রেসিপি 
খুব সহজে তৈরি
করুন পুই চিংড়ির মজার
পাকোরা- 
উপকরণঃ
Ø 
চিংড়ি
মাছ কুঁচি-১.৫
কাপ,
Ø 
পুঁই
পাতা-১০ টি,
Ø 
পেঁয়াজ
কুঁচি-১ কাপ,
Ø 
কাঁচা
মরিচ কুঁচি-২ টি,
Ø 
গোল
মরিচ-১/৪ চা
চামচ
Ø 
ধনিয়া
গুঁড়া -১/২ চা
চামচ,
Ø 
আদা
রসুন বাটা-১ চা
চামচ,
Ø 
ময়দা-১.৫ কাপ,
Ø 
টুথপিক-১০ টি,
Ø 
লাল
মরিচ গুঁড়া-সামান্য
Ø 
পানি
ও লবন পরিমাণমত,
Ø 
চাট
মসলা-সামান্য,
Ø 
তেল
২ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে একটি পাত্রে
চিংড়ি মাছ, পেঁয়াজ কুঁচি,
কাঁচামরিচ কুঁচি, ধনিয়ার গুঁড়া,
গোল মরিচ গুঁড়া, অর্ধেক
আদা রসুন বাটা ও
লবন দিয়ে ভালো ভাবে
মেখে নিতে হবে।
টুথপিক গুলো মাঝখান
দিয়ে ভেঙ্গে নিতে হবে। তারপর
একটা পুঁই পাতা নিয়ে
তার মাঝখানে মিশ্রনটির কিছু অংশ নিয়ে
রাখতে হবে। এরপর
পাতাটি ভাজ করে অর্ধেক
করা দুইটি টুটপিক দিয়ে
গেঁথে দিতে হবে।
এভাবে সবগুলো পাতার
মধ্যে চিংড়ির মিশ্রণ দিয়ে
গেঁথে নিতে হবে।
এখন আরেকটি পাত্রের মধ্যে
ময়দা নিয়ে এতে লবন,
লাল মরিচের গুঁড়া, বাকি
আদা রসুন বাটা আর
পরিমান মত পানি দিয়ে
ব্যাটার বানাতে হবে।
এরপর চুলায় একটি কড়াই
গরম করে তাতে তেল
গরম করতে হবে।
এখন পুর ভরা পাতা
গুলো ব্যাটারে চুবিয়ে ডুবো তেলে
ভাঁজতে হবে। ভাঁজা
হলে এর ওপর সামান্য
চাট মাসালা ছিটিয়ে গরম
গরম পরিবেশন করতে হবে।
“মুরগির পাকোড়া”
উপকরণ:
Ø 
মুরগি
(ছোট টুকরা) ১ কেজি
Ø 
ময়দা
১ কাপ
Ø 
ধনেপাতা
৪ টেবিল-চামচ
Ø 
পেঁয়াজ
মোটা কুচি ১ কাপ
Ø 
কাঁচা
মরিচ কুচি ১ টেবিল-চামচ
Ø 
কর্নফ্লাওয়ার
২ টেবিল-চামচ
Ø 
লবণ
প্রয়োজনমতো
Ø 
সয়াসস
২ টেবিল-চামচ
Ø 
কালিজিরা
১ চা-চামচ
প্রণালিঃ
মুরগি লবণ, কাঁচা
মরিচ ও সয়াসস দিয়ে
৩০ মিনিট মেরিনেট করে
রাখতে হবে। এবার
বাকি সব উপকরণ দিয়ে
মাখিয়ে ডুবোতেলে এক টুকরা করে
সব মসলাসহ ভাজতে হবে
বাদামি করে।
সুজির
পাকোরা:
উপকরণ:
Ø 
সুজি
-১কাপ ,
Ø 
পেয়াজ
কুচি- আধা কাপ ,
Ø 
কাঁচা
মরিচ কুচি- ৩/৪
টা, 
Ø 
স্বাদ
লবন- আধা টেবিল চামচ
,
Ø 
বেকিং
পাওডার-আধা চা চামচ,
প্রণালিঃ
সব উপকরন একসাথে
মাখিয়ে পাকোড়ার আকারে ভেজে নিন
।
ক্যাপ
সিকাম পাকোরা:
উপকরণ:
Ø 
লাল
সবুজ ক্যাপসিকাম-কিউব করে কাটা
-১ কাপ
Ø 
ময়দা
-আধা কাপ ,
Ø 
তেঁতুলের
মাড় -১ টেবিল চামচ
, 
Ø 
বেসন
-আধা কাপ , 
Ø 
চিনি-আধা চা চামচ,
Ø 
ডিম
১ টা ,
Ø 
জিরা
গুড়া -১ চা চামচ
,
Ø 
পানি
৩ টেবিল চামচ ,
Ø 
শুকনা
মরিচ টেলে গুড়া করা
পরিমান মতো
প্রণালিঃ
ক্যাপ সিকাম ছাড়া
সব উপকরন একসাথে মাখিয়ে
নিন তারপর ভাজার আগে
ক্যাপসিকাম দিয়ে মাখিয়ে পাকোরা
আকারে ডুবু তেলে ভাজুন
।
চিরার
পোলাও:
উপকরণ:
Ø 
চিড়া
৫০০ গ্রাম, 
Ø 
আলু
কুচানো ১ কাপ, 
Ø 
মটরশুঁটি
১ কাপ, 
Ø 
পেঁয়াজ
আধা কাপ, 
Ø 
কাঁচামরিচ
২ টেবিল চামচ, 
Ø 
এলাচ
৩ থেকে ৪টি গোটা,
Ø 
দারুচিনি
টুকরো ৩ থেকে ৪টি,
Ø 
চিনাবাদাম
আধা কাপ, 
Ø 
আদা
কুচানো ২ টেবিল চামচ,
Ø 
ডিম
২টি, ঘি আধা কাপ,
Ø 
টমেটো
কুচি আধা কাপ, 
Ø 
লবণ
স্বাদমতো।
প্রণালি: 
প্রথমে আলু ভেজে
নিন। ডিম
ফেটিয়ে ঝুরি করে ভেজে
নিন। চিড়া
পরিষ্কার করে পানিতে ধুয়ে
নিন। কড়াইতে
ঘি দিন। ঘি
গরম হলে পেঁয়াজ কুচি,
আদা কুচি, এলাচ, দারুচিনি,
কাঁচামরিচ, টমেটো ও মটরশুঁটি
দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। ভাজা
আলু, বাদাম ও চিড়া
দিয়ে একটু নেড়ে লবণ
ও স্বাদ লবন দিন। একটু
নেড়ে ডিম ঝুরি দিয়ে
নামিয়ে নিন।
মুরগী
সবজির রোলঃ 
উপকরণ:
Ø 
মুরগীর
টুকরো – ১ কাপ ( একটু
চিকন লম্বা করে কাটা)
Ø 
রসুন
বাটা – ১ চা চামচ
Ø 
গোল
মরিচ গুড়া – ১ চা
চামচ
Ø 
সয়া
সস – ১ চা চামচ
Ø 
লবন
আন্দাজ মতো
Ø 
চিলি
সস -১ চা চামচ
Ø 
চিনি
– আধা চা চামচ
Ø 
ঝুরা
চীজ – ১ টেবিল চামচ
( যে কোন চীজ )
Ø 
বাধা
কপি কুচি – আধা কাপ
Ø 
পেয়াজ
কুচি -১ টেবিল চামচ
Ø 
পেয়াজ
কলি কুচি -১ টেবিল
চামচ ।
প্রণালি: 
প্যানে ১ টেবিল
চামচ তেল দিন ,মুরগীর
টুকরো গুলি দিয়ে দিন
একটু হাল্কা নেরে দিন
এর পর একে একে
রসুন পেস্ট, গোল মরিচ
গুড়া , সয়া সস ,লবন
দিন কয়েক মিনিটেই সিদ্ধ
হয়ে যাবে এরপর এতে
যোগ করুন বাধা কপি
,পেয়াজ কলি ,পেয়াজ কুচি
দিয়ে ৫ মিনিট নাড়ুন
হাই পাওয়ারে ।নামিয়ে
নিন
পরোটার গোলা করে
রাখুন ১ ঘণ্টা আগে
,এরপর এ থেকে পরোটা
বানিয়ে পরোটার মাঝে এই
মুরগীর পুর দিয়ে সাথে
একটু করে চীজ ছরিয়ে
দিয়ে ভালো করে মুরিয়ে
নিন দুপাশ থেকে ভালো
করে বন্ধ করে দিন
এবং ডুবু তেলে ভাজুন
। হয়ে গেল
মজাদার চিকেন রোল , মাঝে
কেটে নিয়ে পরিবেশন করতে
পারেন ,বাজারে কিনতে পাওয়া
যায় সবজি রোল করার
পাতা সেগুলি দিয়েও করতে
পারেন ।
সমুসা:
উপকরণ:
Ø 
মুরগীর
টুকরা – ১ কাপ ( সিদ্ধ
করে ঝুরা করে ছারিয়ে
নেয়া )
Ø 
পেয়াজ
কুচি -আধা কাপ (হাল্কা
সিদ্ধ করে পানি ফেলে
দিতে হবে )
Ø 
কাচা
মরিচ কুচি – স্বাদ অনুযায়ী
Ø 
জিরা
গুড়া -আধা চা চামচ
Ø 
ধনে
পাতা কুচি -১ চা
চামচ
প্রণালি: 
ময়দা পরোটার মতো
তেল ,লবন ,পানি দিয়ে
মথে রাখুন,ছোট ছোট
ভাগ করে লম্বা পাতলা
রুটি বেলুন ,ছুরি দিয়ে
৮” লম্বা ৩” চওড়া
করে কাটুন ,গরম তাওয়াতে
রুটির দুপাশে হাল্কা করে
গরম করুন,এরপর এই
রুটিতে উপরের মুরগীর সিদ্ধ
ঝুরি, পেয়াজ কুচি,কাচা
মরিচ কুচি, ধনে পাতা
কুচি ,জিরা গুড়া,ধনে
পাতা কুচি দিয়ে ভর্তার
মতো মাখিয়ে সমুসার আকারে
ভাজ করে ভিতরে এই
পুর দিয়ে ডুবো তেলে
ভাজুন ।
লেবনাহ দিয়েও সমুসা
বানানো যায় , লেবনাহ সাথে
একটু কালি জিরা ছিটিয়ে
দিবেন ।
ফ্রুট
চাট :
উপকরণ:
Ø 
ফল
ছোট করে টুকরো করা
-১ বোল (আপনার পছন্দ
মতো যে কোন ফল
,তবে বিভিন্ন রঙের ফল হলে
দেখতে সুন্দর লাগে ।
Ø 
লেবু
-১ টা
Ø 
মালটা
বা কমলার রস -১
টেবিল চামচ
Ø 
গোল
মরিচ গুড়া -১ চা
চামচ
Ø 
লবন
-আধা চা চামচ
Ø 
চিনি
-২ টেবিল চামচ
Ø 
ফ্রেস
ক্রিম -২/৩ টেবিল
চামচ
প্রণালি: 
একটা লেবুর রসে
চিনি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে
সিরাপ করে রাখুন,সব
টুকরো করা ফলের মধ্যে
সেই সিরাপ ধালুন,লবন
,কমলার রস, গোল মরিচ
গুড়া দিয়ে এবং ক্রিম
দিয়ে মাখিয়ে নিন ,মজাদার
ফ্রুট চাট রেডি ।
চাউমিন/চাইনিজ
নুডলস:
উপকরণ:
Ø 
নুডুলস
সিদ্ধ -৪০০ গ্রাম (যে
কোন নুডুলস দিয়েই করা
যায় কিন্তু স্পেগেটি, ড্রাগন
নুডুলসেই চাইনিজ নুডুলস করা
হয়)
Ø 
সবজি
কুচি (গাজর ,বাধাকপি ,বিন
স্প্রা উট ,ক্যাপসিকাম পেয়াজ
, বিন , স্প্রিং অনিয়ন ) ৩ কাপ
Ø 
চিংড়ি
– ১ কাপ
Ø 
মুরগীর
ছোট ছোট করে কাটা
-১ কাপ
Ø 
জলপাই
তেল – ২ টেবিল চামচ
Ø 
সয়া
সস -২ টেবিল চামচ
Ø 
কেচাপ
-১ টেবিল চামচ
Ø 
গোলমরিচ
গুড়া -১ টেবিল চামচ
Ø 
চিনি
– ১ চা চামচ
Ø 
লবন
পরিমানমত
Ø 
স্বাদ
লবন -১ চা চামচ
প্রণালি: 
নুডলস কে সিদ্ধ
করে পানি ঝরিয়ে ঠান্ডা
পানিতে ধুয়ে নিন এরপর
একটু তেল মাখিয়ে রাখুন
।সবজি গুলোকে
২/৩ মিনিট সিদ্ধ
করুন। একটি
প্যানে জলপাই তেল দিয়ে
আগে চিংড়ি ,মুরগীর টুকরো
গুলি ভেজে নিন।
ভাজা হয়ে গেলে তুলে
রাখুন। ঐ
তেলেই আধা সিদ্ধ সবজি
গুলি ২ মিনিট নাড়ুন,নুডুলস গুলি দিয়ে
দিন সব উপকরন দিয়ে
বেশি আঁচে আরও ৩/৪ মিনিট ভাজুন
, স্বাদ লবন দিন,এবার
লবন দেখে প্রয়োজন হলে
আরেকটু দিয়ে এইবার গরম
গরম পরিবেশন করুন মজাদার চাউমিন
!!!
চাইনিজ
প্রন বল:
উপকরণ:
Ø 
চিংড়ি
-১ কাপ (উপরের খোসা
ছারিয়ে ২ টুকরো করে
কাটা )
Ø 
মুরগী
ছোট টুকরো করা – ১
কাপ
Ø 
পেয়াজ
কুচি -আধা কাপ
Ø 
কাচা
মরিচ কুচি -স্বাদ মতো
Ø 
স্বাদ
লবন -১ চা চামচ
প্রণালি: 
চিংড়ি ও মুরগীর
টুকরোগুলি ২০ মিনিট ১
চা চামচ সয়া সসে
ভিজিয়ে রাখুন এরপর এতে
পেয়াজ কুচি ,কাচা মরিচ
কুচি ,লবন ,স্বাদ লবন
,পাওরুটি পানিতে ভিজিয়ে চিপে
নিয়ে মথে নিন।
এসব উপকরণ গুলোর সাথে
মিশিয়ে নিয়ে গোল গোল
করে বলের আকারে ডুবো
তেলে ভেজে নিন ।
গরম গরম ইফতারির অন্য
সব খাবারের সাথে পরিবেশন করুন
।
মিনি
কোফতা কাবাব:
উপকরণ:
Ø 
মুরগির
বুকের মাংস -৪০০ গ্রাম
(ছোট ছোট কিউব করে
কাটা )
Ø 
পেয়াজ
-১ টা একটু বড়
কুচি করে কাটা
Ø 
রসুন
বাটা -২ চা চামচ
Ø 
লেবুর
রস -১ টেবিল চামচ
Ø 
গরম
মসলা -১ টেবিল চামচ
Ø 
ধনে
পাতা কুচি -২ টেবিল
চামচ
প্রণালি: 
লবন পরিমান মতো
দিয়ে ফুডপ্রসেসারে দিয়ে সব কিছু
এক সাথে মিক্স করে
নিন তবে খেয়াল রাখবেন
শুধু মুরগির মাংসতা যখন
দেখবেন কিমা হয়ে গেছে
তখনই নামিয়ে নিন ,এবং
নিজের পছন্দ মতো সেপ
দিয়ে অল্প আঁচে সেলো
ফ্রাই করে নিন ।হয়ে গেল খুব
সহজে মিনি কোফতা কাবাব
।
নুডুলস
বল উইথ চিজ:
উপকরণ:
Ø 
আলু
-৫/৬ টা সিদ্ধ
করা
Ø 
চিজ
(চাদ্দার চিজ,মজিরলা চিজ
বা আপনার পছন্দ মতো
যে কোন চিজ দিতে
পারেন )
Ø 
চাট
মসলা – ২ চা চামচ
Ø 
কাঁচা
মরিচ কুচি আপনার রুচি
অনুযায়ী
Ø 
নুডুলস
সিদ্ধ করে কুচি কুচি
করে কাটা ( কোকোলা বা
ইস্পেগেটি টাইপের নুডুলস )
প্রণালি: 
আলুগুলিকে মেস করে নিন
তাতে চাট মসলা,কাচা
মরিচ কুছি,লবন মিশিয়ে
ভর্তার মতো বানিয়ে গোল
গোল বলের বলের মতো
করে মাঝে একটু গর্ত
করে চিজ দিন এবং
এবার গোল সেপ দিন
।এবার নুডুলসের
মধ্যে গরিয়ে নিন চেপে
চেপে নুডুলস গুলি আলুর
বলটাতে মাখিয়ে নিন ।এবার ডুবু তেলে
ভেজে নিন মচমচা করে
।
এটা আপনারা চিজ
না দিয়ে কিমা দিয়েও
করতে পারেন , সিদ্ধ ডিমের কুচি
দিয়েও করতে পারেন,নুডুলসে
না গড়িয়ে ডিম ভেঙ্গে
তাতে চুবিয়ে বিস্কুটের গুড়াতে
গড়িয়েও ভাজতে পারেন ।
গ্রিন
সালাড উইথ চিকেন:
উপকরণ:
Ø 
মুরগির
মাংস কিউব – ২০০/৩০০
গ্রাম
Ø 
মরিচ
ফ্লাকস -১ চা চামচ
Ø 
গরম
মসলা – দেড় চা চামচ
Ø 
মরিচ
গুড়া -১ চা চামচ
Ø 
রসুন
বাটা -আধা চা চামচ
Ø 
টক
দই -১ টেবিল চামচ
প্রণালি: 
ফ্রাই পেনে ১
টেবিল চামচ তেল দিন
তাতে মুরগির টুকরা গুলি
দিন এবং পর পর
সব মসলা গুলি দিন
,একটু পর পর নাড়ুরা,সিদ্ধ হয়ে একটু
ভাজা ভাজা হলে নামিয়ে
নিন ।
অন্য দিকে শসা
টুকরো ,টমেটু টুকরো ,পেয়াজ
টুকরো ,সেলারি পাতা টুকরো
,গাজর টুকরো ,অলিভ স্লাইস
এ সব টুকরো করা
সবজি একটা বোলে নিন
সাথে তাতে অলিভ অয়েল
,একটু গোল মরিচ গুড়া,
বীট লবন ,লেবুর রস
,পুদিনা পাতা দিয়ে হাল্কে
করে মাখিয়ে নিন এরপর
এতে মুরগির মাংস টা
মিশিয়ে নিন এবং সারভিং
ডিসে সাজিয়ে পরিবেশন করুন
।
বিশেষ পরামর্শ: রেসিপি
বানানোর ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন
তাসবীহ, দুয়া ও জিকিরগুলো
পাঠ করতে ভুলবেন না। পাঁচ
ওয়াক্ত সালাত যথা সময়ে
পড়বেন। আল্লাহ
আমাদের সহায় হোন।
আমীন।
সব শেষে বলব
সারা দিন রোজা রেখে
ভাজা পুরি যত কম
খাওয়া যায় ততই ভালো
তবে মাঝে মাঝে খেতে
পারেন। অবশ্যই
ইফতারী পর থেকে সেহেরীর
শেষ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত
প্রচুর পানি খাবেন ।
সবাইকে
শুভেচ্ছা। রান্না
একটা ভালবাসা, একদিন রান্না করেই
ফেলুন না! দেখুন কেমন
ভালবাসা পান! অভিজ্ঞতা আপনাকে
আরো অনেক উপরে নিয়ে
যাবে। সুস্থ
থাকুন ।


 
 
 
 
0 Comments