পুষ্টিহীনতাকে
এর মূল কারণ হিসেবে
চিহ্নিত করা হয় ।
তবে কর্মব্যস্ততা, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনসহ আরও নানা কারণে
২৫-৪০ বছর বয়সিদের
শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিচ্ছে।
ফলে একদিকে যেমন শরীরের
কার্য ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে,
তেমনি চোখের দৃষ্টি শক্তি
কমে যাচ্ছে।
আমাদের
এ আয়োজনে এমন কিছু
খাদ্য দ্রব্য নিয়ে আলোচনা
করব যার মাধ্যমে দৃষ্টি
শক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
১. সবুজ পাতাবহুল শাক-সবজি
বর্তমান প্রজন্মের
অনেকেই শাক-সবজি খেতে তেমন একটা পছন্দ করেন না। কিন্তু শাক না খেলে চোখের স্বাস্থ্যের
উন্নতি ঘটা সম্ভব নয় ।আর চোখে যদি আলো না থাকে, তাহলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে
হয়। অনেক সময় অন্ধত্বও দেখা দিতে পারে। এ সমস্যা সমাধানে অনেকেই প্রথমে চশমা ব্যবহার
করে থাকেন। কিন্তু চশমা ব্যবহার করাটাই মূল সমাধান নয়।কেননা বয়স যত বাড়তে থাকবে চোখের দৃষ্টি শক্তি তত কমতে থাকবে। তাই তো প্রতিদিন
নিয়ম করে সবুজ শাক সবজি খেতে পারেন। কারণ এই ধরনের শাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
এবং জিয়াক্সেনথিন নামে বেশ কিছু উপকারি উপাদান থাকে। এ উপাদানগুলো ছানি ছাড়াও একাধিক
চোখের রোগ থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে।
২. গাজর
সেই ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে
আসছি গাজর আমাদের চোখের
জন্য বেশ উপকারী। আসলেও
তাই। গাজরে আছে প্রচুর
পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন যা
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা এবং
চোখের কার্যক্রম সচল রাখায় সহায়ক
ভুমিকা পালন করে। এছাড়া
চোখের কোনো ধরনের ক্ষয়ও
হতে দেয় না গাজর।
৩. পূর্ণ শস্য
পূর্ণ
শস্যজাতীয় খাদ্যে গ্লিকেমিক ইনডেক্স
কম থাকে। যা চোখের
পেশির ক্ষয় এবং বার্ধক্যজনিত
সমস্যা প্রতিরোধ করে। এই শস্য
রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসও প্রতিরোধ
করে যা দৃষ্টি ঝাপসা
হয়ে আসার প্রধান কারণ।
৪. সাইট্রাস ফল
লেবু এবং কমলার মতো
সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি-তে পূর্ণ। যা
খুবই শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই ফল চোখের
স্বাস্থ্য খুবই ভালো রাখে।
এবং চোখের পেশির ক্ষয়রোধ
করে। এছাড়া ভিটামিন সি
আমদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
৫. বাদাম
বাদামে
আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি
এসিড। যা চোখ সংক্রান্ত
রোগ কমায়। এতে থাকা
ভিটামিন ই চোখে ছানি
পড়া এবং ক্ষয় প্রতিরোধ
করে।
৬. মাছ এবং মাছের তেলের ক্যাপসুল
মাছেও
আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি
এসিড যা চোখে রক্ত
সরবরাহের শিরা-উপশিরাগুলোকে শক্তিশালী
করে। এছাড়া এটি ব্রেন
পাওয়ারও বাড়ায়। যার ফলে
দৃষ্টিশক্তিও উন্নত হয়। এছাড়া
চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়াও
প্রতিরোধ করে এটি।
৭. সূর্যমুখী ফুলের বীজ
এতে আছে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন ই এবং জিঙ্ক
যা আমাদের চোখের স্বাস্থ্য
ভালো রাখতে এবং রোগমুক্ত
রাখতে সহায়ক। এসব বীজ
থেকে পাওয়া তেলে আছে
ক্যারোটিনয়েড যা ছানি পড়া
রোধ করে।
৮. টমেটো
এতে আছে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন এ এবং সি।
প্রতিদিন টমেটো খেলে দৃষ্টিশক্তি
উন্নত হয় এবং দৃষ্টিশক্তি
হারায় না।
৯. কলাই
কিডনি
বিন, কালো-চোখ মটরশুটি
এবং ডালে আছে বায়োফ্ল্যাভোনয়েড
এবং জিঙ্ক। প্রতিদিনের খাদ্য
তালিকায় এসব খাবার রাখলে
রেটিনায় কোনো ক্ষয় এবং
ছানি পড়া প্রতিরোধ করে।
১০. ডিম
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা
গেছে, চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে
ডিমও বেশ কার্যকর। বিশেষ
করে ডিমের কুসুমে আছে
লিউটেইন, জিয়াক্সানথিন এবং জিঙ্ক যা
রেটিনায় কোনো ধরনের ক্ষয়
প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।
১১) লেবু জাতীয় ফল
মৌসম্বি
লেবু, কমলা লেবু এবং
পাতি লেবু বেশি করে
খাওয়া শুরু করুন। এই
সব ফলে প্রচুর মাত্রায়
ভিটামিন সি রয়েছে। এই
ভিটামিগুলো ছানি
প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সেই সঙ্গে দৃষ্টিশক্তিরও উন্নতি
ঘটায়।
0 Comments