সুস্বাস্থ্য
ও রোগমুক্ত জীবন সবারই কাম্য।
তার জন্য ব্যায়ামের বিকল্প
অন্য কিছু হতে পারে
না। কিন্তু ব্যস্ততা আমাদের
জীবনে এমনভাবে জড়িয়ে আছে, ব্যায়াম
করার সুযোগ পাওয়া যায়
না। শরীর সুস্থ রাখতে
ব্যায়ামের জন্য সময় বের
করতে হবে। এক্সারসাইজের জন্য
শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে এনার্জি
থাকাও প্রয়োজন। তাই ঘুম থেকে
ওঠার আধা ঘণ্টা পর
হালকা জগিং বা মর্নিং
ওয়াক করা যেতে পারে।
খালি পেটে কখনো ব্যায়াম
করা যাবে না। তাই
নাস্তার কয়েক ঘণ্টা পর
ব্যায়াম করতে হবে।
ব্যায়ামের
জন্য বিকাল সব চেয়ে
উপযুক্ত সময়। যারা ভারী
এক্সারসাইজ করতে চায় তারা
ঘুম থেকে ওঠার ৬
ঘণ্টা পর এবং ১২
ঘণ্টার মধ্যে যে কোনো
সময় বেছে নিতে পারেন।
অনেকে সন্ধ্যার পর ব্যায়ামের সময়
পান। সেক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে
যাতে শরীরে ক্লান্তিবোধ না
থাকে।
যোগ ব্যায়ামের জন্য সন্ধ্যা সবচেয়ে
উপযুক্ত সময়। এ সময়
ট্রেডমিল বা সাইক্লিংও করা
যেতে পারে। শারীরিক ক্ষমতা
ও বয়স অনুযায়ী ব্যায়াম
করা উচিত। ব্যাক পেইন
বা শ্বাসকষ্ট থাকলে এসব ধরনের
ব্যায়াম করা যাবে না।
তাই ব্যায়াম শুরু করার সিদ্ধান্ত
নেয়ার পর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
মতো খাবার ও জীবন
যাপনের সঠিক পদ্ধতিগুলো মেনে
চলতে হবে।
প্রতি
সপ্তাহে কমপক্ষে ৫ দিন ব্যায়াম
করা উচিত। প্রতিবার অন্তত
৩০ মিনিট থেকে ১
ঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে।
কোন সময়ে ব্যায়াম করা ভালো, আর কখন ব্যায়াম করা ঠিক নয় সে বিষয়ে
কোন সময়ে ব্যায়াম করা ভালো, আর কখন ব্যায়াম করা ঠিক নয় সে বিষয়ে
1. সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়াম করা যেতে পারে। দীর্ঘ সময় ঘুমের পর সকালে ব্যায়াম সারা দিন ফুরফুরে রাখতে পারে।
2. এ ছাড়া সন্ধ্যার আগে বিকেলটাও ব্যায়াম করার জন্য উপযুক্ত সময়। যেহেতু ব্যায়াম করলে শরীরের ঘাম ঝরে, তাই নরম আবহাওয়াতেই ব্যায়াম করা ভালো।
3. দুপুরবেলা বা বেশি গরমে ব্যায়াম করলে সহজেই ক্লান্ত মনে হতে পারে। তাই এ সময়ে ব্যায়াম না করাই ভালো।
4. অনেকে ব্যস্ততার জন্য সারা দিন সময় করে উঠতে পারেন না, তাঁরা রাতে ব্যায়াম করেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।
5. যাঁরা সারা দিন বাসায় থাকেন, তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় ব্যায়াম করতে পারেন।
6. ব্যায়ামের সময় অনেক বেশি খাবার খাওয়া ঠিক নয়। হালকা খাবার যেমন, একটা কলা বা বিস্কুট খেয়ে ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া যাবে।
7. সকালে ব্যায়াম করতে গিয়ে অনেকে ব্যায়াম শেষে ভরপেট খেয়ে বাসায় ফেরেন। এতে ব্যায়ামের কোনো উপকারিতা থাকে না।
8. যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁরা বেশি দিনের অবসর কাটালে বা কোথাও ঘুরতে গেলে খাবারের দিকে নজর রাখা উচিত। ঘুরতে গিয়ে বেশি দিন থাকার পরিকল্পনা করলে সুযোগ থাকলে টুকটাক ব্যায়াম করা যেতে পারে।
9. ব্যায়াম করার আগে বা পরপরই বেশি পরিমাণে পানি খাওয়া ঠিক নয়। ব্যায়ামের পর একটু বিশ্রাম নিয়ে তারপর পানি খেতে পারেন।
10. খাবারের মেন্যু থেকে যতটা সম্ভব মিষ্টি, কোমলপানীয়, ফাস্টফুড ইত্যাদি খাবার বাদ রাখাই ভালো। কারণ, এসব খাবার খেলে আপনার ব্যায়াম করা বৃথা হয়ে পড়বে।
11. নিজে অসুস্থ থাকলে ব্যায়াম করার দরকার নেই। বিশেষ করে গর্ভকালীন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যায়াম করা উচিত নয়।
12. যেকোনো ধরনের ব্যায়াম বা ডায়েট পরিকল্পনার জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া উচিত।
0 Comments