শরীর ও মন সুস্থ রখে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম


শারীরিক ভাবে সুস্থ সবাই থাকতে চায় আর সর্বদা সুস্থ থাকতে হলে আমাদের ব্যায়াম করা খুবই প্রয়োজন প্রতিদিন যদি আমরা নিজ বাসাতেই ২৫-৩০ মিনিট ব্যায়াম করি তাহলে কিন্তু সহজেই আমরা ফিট থাকতে পারি ছোটদের বেলায় ব্যায়ামের গুরুত্ব আরও বেশি জন্য যে, এর মাধ্যমে তাদের শরীর গঠন ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে বিশেষ করে যে মহিলাদের পক্ষে সংসার সামলে জিমে যাওয়া সম্ভব না তারা খুব সহজেই বাসার কোন খোলা জায়গায় ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়ামের অনেক পদ্ধতি আছে হাটাঁ, দৌঁড়, ঝাঁপ এগুলোর ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকম খেলা এবং সাঁতার হচ্ছে এক ধরনের ব্যায়াম

এর জন্য আপনাদের দেয়া হল সহজ কিছু ব্যায়াম করার টিপস

উপযুক্ত ব্যায়াম খাদ্যাভ্যাস এবং প্রফুল্ল মনই হচ্ছে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি আসলে আমাদের জীবনে এত দুশ্চিন্তা থাকে যে, আমরা হাসিখুশী থাকতে পারি না অথচ কথায় আছে, ক্যান্সারে যত না কবর ভরেছে তার চেয়ে বেশী ভরেছে টেনশনে সুতরাং ভালভাবে বাঁচতে চাইলে মনকে প্রফুল্ল রাখতে হবে জন্য ভাল চিন্তা ভাল কাজের কোনো বিকল্প নেই সেই সাথে নিজেকে জড়াতে হবে কোনো না কোনো সৃজনশীল কাজের সাথে
২। চার বছর বয়স থেকেই ব্যায়াম শুরু করা উচিত। ব্যায়াম অনেক রকম। যেমন হাঁটা, সাঁতার কাটা দৌড়-ঝাঁপ ইত্যাদি ব্যায়াম, সাইকেল কিংবা অন্যান্য যন্ত্রপাতি চালিয়ে ভারি কিছু ওপরে তোলার মাধ্যমে ব্যায়াম, দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মালিশের দ্বারা ব্যায়াম এবং দেহকে বিশেষ ভঙ্গিমায় স্থির রেখে যোগ ব্যায়াম। সব ব্যায়ামেই উপকার হয়। তবে বয়স, শারীরিক অবস্থানুযায়ী প্রয়োজন, পরিবেশগত সুবিধা, সময়ের সীমাবদ্ধতা মানসিক প্রবণতার কথা ভেবে ব্যায়াম বেছে নেয়া ভাল
৩। প্রতিদিন ৪৫ মিনিট জোরে হাঁটুন। একবারে না পারলে কয়েকবারে। এতে দেহের সমস্তঅঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নমনীয় থাকে মগজে প্রচুর অক্সিজেন ঢোকায় দুশ্চিন্তা কমে
৪। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নড়াচড়া এবং মালিশ করা ভাল ব্যায়াম। কারণ এতে রক্ত সঞ্চালন সহজ হওয়ায় চর্বি জমতে পারে না। এখানে দেহের গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থানে মালিশের উল্লেখ করা হল যার দ্বারা কাছের তো বটেই, দূরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও উপকৃত হয়।যখনই সম্ভব পুরো মাথা মালিশ করলে মাথায় ভালোভাবে রক্ত চলাচল করে বলে মগজ তথা স্নায়ুকেন্দ্র ভাল থাকে সহজে চুল পড়ে না কিংবা পাকে না।
হয় না
৫। শুয়ে পেটের ওপরে দুহাত রেখে গভীরভাবে নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে পেট ফুলিয়ে মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়লে ফুসফুসের শক্তি বাড়ে এবং দিনে ২০ মিনিট এটি করলে ভাল ঘুম হয়। দেহের সার্বিক শক্তি বৃদ্ধি তারুণ্য ধরে রাখার জন্য একটানা যতক্ষণ পারা যায়
৭। মুখ ধোয়ার সময়ে চোখে ২৫ বার পানির ঝাপটা দিন। নাক দিয়ে পানি যতটা পারা যায় টানুন ছাড়ন। এতে সহজে সর্দি-কাশি হবে না। উপরন্তু এটি মাথাব্যথা, সাইনাসাইটিস মাইগ্রেইনে খুব উপকারী
এভাবে নিয়মিত শরীরচর্চা আপনাকে দেবে সুন্দর শক্তিশালী শরীর। যে কনো কাজে আপনি থাবেন সতেজ নির্মল। আপনার ভিতরে কাজ করবে অসাধারণ উদ্দীপনা। সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন

তাছাড়াও কিছু রুলস দেয়া আছে সেইটিও দেখতে পারেন:

প্রথমে ওয়ার্ম
আপওয়ার্মআপের উদ্দেশ্য হলো শরীরকে ব্যায়ামের উপযুক্ত করে তোলাওয়ার্ম আপ মোট -১০ মিনিট করবেনআর প্রতিটি ধাপ ২০-৩০ সেকেন্ড হবে
হাত প্রসারিত করুন
সাঁতারের ভঙ্গিতে দুই হাত শরীরের দুপাশে ঘোরান
কোমর দোলান গোড়ালি প্রসারিত করুন
দুপাশে শরীর বাঁকান, পা সামনে তুলুন ছোট ছোট লাফ দিন

দ্বিতীয় পর্যায়ের মূল ব্যায়াম
১০ মিনিট তিনটি ধাপে ১০ থেকে ২০ বার
ওঠা-বসা করুন
দু হাত মাটির সমান্তরালে নিয়ে বুক প্রসারিত করুন
সম্ভব হলে পুশ -আপ দিন
কোমরে হাত রেখে পেছনে ঝুঁকুন যতটা সম্ভব
মাটির সমান্তরালে পা তুলুন

তৃতীয় পর্যায়ের অ্যারোবিক্স
এই কাজটি করবেন ২০-২৫ মিনিট ধরে
জায়গায় দাঁড়িয়ে দৌড়ানোর ভঙ্গিমা
হাত প্রসারিত করে সাঁতার কাটা
সব শেষে ওয়ার্মআপ আবার মিনিট
প্রথম পর্যায়ের অনুশীলন গুলো আবার করুন

0 Comments