প্রতিটি নারীর
আকাঙ্খা থাকে সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক । বিশেষত বিশেষ বিশেষ দিন গুলোতে । কিন্তু বর্তমান
জীবন ধারায় যখন মানুষ এর নিজের জন্য সময়ের অভাব তখন ত্বক কে সুন্দর রাখা সম্ভব কোথায়?
কিন্তু চিন্তার কোন কারন নেই। সেই বিশেষ দিন গুলিতে আপনি হয়ে উথবেন রমনিও সকলের সেরা।
ভাবছেন তো কীভাবে তা সম্ভব? ফেসিয়াল নামটি সব নারীদের কাছে খুব পরিচিত । বাজারে বিভিন্ন
ধরনের ফেসিয়াল নাম শোনা যায় । ডায়মন্ড ফেসিয়াল, গোল্ড ফেসিয়াল, চকলেট ফেসিয়াল, ফ্রুট
ফেসিয়াল, হারবাল ফেসিয়াল, পার্ল ফেসিয়াল ইত্যাদি ।কিন্ত কথা হচ্ছে ফেসিয়াল আমরা যেটাই
করিনা কেন ফেসিয়াল করার পরও কিছু করনীয় থাকে আর তা না হলে এর বিপরীত কিছু হতে পারে
তাই জেনে নেয়া যাক কিছু নিয়ম
ফেশিয়ালের প্রথম দিন যা করা যাবে না
১) ত্বক চুলকানো
যে কোনো সময়েই মুখের ত্বকে হাত দেওয়া, চুলকানো বা খোঁচাখুঁচি করা খারাপ। ফেশিয়ালের পর এ কথা আরও বেশি প্রযোজ্য। ফেসিয়ালের সময়েই বেশিরভাগ ব্ল্যাকহেড বা হোয়াইটহেড তুলে ফেলা হয়। এরপরেও যদি ত্বকে এমন কিছু দেখেন তাতে হাত না দেওয়াই ভালো। ফেসিয়ালের পর ত্বক স্পর্শকাতর থাকে। এ সময়ে খোঁচাখুঁচি করলে স্থায়ী দাগ পড়ে যেতে পারে।
২) ভারী মেকআপ ব্যবহার
ফেসিয়ালের পর ত্বকে লালচেভাব দেখা দিতে পারে। অনেকেই এ সময়ে ত্বকের লালচেভাব ঢাকার জন্য অনেকেই ফাউন্ডেশন বা কনসিলার ব্যবহার করেন। কিন্তু তা না করাই ভালো। এক-দুই দিনের জন্য ত্বককে নিজের মতো থাকতে দিন। এ সময়টা অপেক্ষা করলে পরবর্তীতে মেকআপ ত্বকে বসবে সহজে। এ ছাড়া ফেসিয়ালের কয়েক দিন পর প্রথম মেকআপ করার সময়ে ব্রাশ এবং স্পঞ্জ সব ভালো করে পরিষ্কার করে নিন যাতে কোনো সংক্রমণের সম্ভাবনা না থাকে।
৩) স্পা করানো
ফেসিয়ালের আগেই স্পা বা সনা করিয়ে নিন। ফেসিয়ালের পর অন্তত একটি দিন মুখে গরম লাগতে পারে এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলুন। কারণ ফেসিয়ালের সময়েই ত্বক বেশি করে স্টিম দেওয়া হয়। ফেসিয়ালের পর আবারও স্টিম দেওয়া হলে ত্বকের নাজুক রক্তনালী ভেঙে ত্বক আরও লালচে হয়ে যেতে পারে।
৪) জিমে যাওয়া
ফেসিয়ালের পর পরই অনেকে জিমে চলে যান। কিন্তু এটাও ঠিক নয়। কারণ জিম করলে ত্বক গরম হয়ে যায়, ঘেমে যায় এবং এতে ত্বকে জ্বালাপোড়া দেখা দিতে পারে। ফেসিয়ালের পর অন্তত একদিন অপেক্ষা করুন জিমে যাবার আগে।
ফেসিয়ালের
পর মুখে
কিছুদিন ভারী
মেকআপ না
দেওয়াই ভালো।
ফেসিয়ালের পর ৩-৪ দিন পর্যন্ত যা করা যাবে না
৫) এক্সফলিয়েটর বা স্ক্রাব
বেশিরভাগ ফেস স্ক্রাবের প্যাকেটেই বলা হয় তা সপ্তাহে এক বা দুইবারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এসব স্ক্রাব অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বকের প্রাকৃতিক স্তর ক্ষয় হতে পারে। ফেসিয়ালের সময়ে যেহেতু মুখের ত্বক স্ক্রাব করাই হয়, তাই পরের কিছুদিন মুখে স্ক্রাব না দেওয়াই ভালো।
৬) ব্রণ দূর করার কোনো প্রসাধনী
ফেসিয়ালের পর ত্বকে তীব্র কোনো প্রসাধনী না দেওয়াই ভালো, বিশেষ করে ব্রণ দূর করার প্রসাধনী। যেমন রেটিনল, মাস্ক, পিল, এবং স্যালিসাইলিক এসিড আছে এমন কোনো ক্লিনজার ও টোনার। এতে ত্বকে জ্বালাপোড়া ও লালচেভাব দেখা দেবে। ফেসিয়াল করানোর পর বিউটিশিয়ানের থেকেই জেনে নিন কী ধরনের ফেস ওয়াশ ব্যবহার করতে পারবেন।
৭) বেশি রোদে যাওয়া
ফেসিয়ালের পর কড়া রোদে যাওয়া যাবে না। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা এবং সানগ্লাস নিয়ে বের হতে হবে। ৩-৪ দিন পর রোদে বের হতে পারেন, কিন্তু অবশ্যই এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি মাত্রার সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন।
ফেসিয়ালের পর এক সপ্তাহ পর্যন্ত যা করা যাবে না
৮) ওয়াক্স বা লেজার
মুখের ত্বকে যে কোনো ধরনের হেয়ার রিমুভাল যেমন ওয়াক্স বা হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহারের জন্য অন্তত এক সপ্তাহ ব্যবহার করুন। লেজার করানোর জন্যও একই কথা প্রযোজ্য।
এই কিছু টিপস
সতরক ভাবে মেনে চললে আশা করা যাচ্ছে যে ভাল থাকবে আমাদের ত্বক র্দীঘ দিন।
0 Comments