Dream Touch
Dream Touch
  • HOME
  • HEALTH
    • exercise
    • Health Tips
    • Food
      • Category 1
      • Category 2
      • Category 3
      • Category 4
      • Category 5
    • HEART HEALTH
    • POEM
  • MOM & CHILD
  • TRAVLE
  • KITCHEN & DINING
  • HOME REMEDIES
    • BEAUTY CARE
      • FACE PACKS AND MASKS
      • MANY CURE AND PEDICURE
      • MASSAGE FOR BODDY
      • MAKEUP
      • Beauty Tips
    • HAIR
      • Hair Packs and Masks
      • HAIR HEALTH TIPS
      • MASSAGE THERAPY
    • FOOD
    • Sub Menu 4

আজকাল লুক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে সকলেই ভালোবাসেন। আর তাই বেশিরভাগ মহিলাই পার্লারে ছোটেন পার্মানেন্ট হেয়ার স্ট্রেটনিং করানোর জন্য। কিন্তু শুধু দর্শনধারী হলেই তো আর হল না, চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখাও বিশেষভাবে দরকার। আর এই জন্যই প্রয়োজন কেরাটিন ট্রিটমেন্টের।চুলের স্টাইল স্টেটমেন্টে অনেকদিনই সংযোজিত হয়েছে স্ট্রেট হেয়ার। হেয়ার স্ট্রেট করার সহজ ও স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি হল কেরাটিন ট্রিটমেন্ট। এই ট্রিটমেন্ট কীভাবে হয় ।

কেরাটিন ট্রিটমেন্ট কী?

সোজা কথায়, চুল স্ট্রেট ও উজ্জ্বল করার পদ্ধতি হল কেরাটিন ট্রিটমেন্ট। এই হেয়ার ট্রিটমেন্টে ফরম্যালডিহাইড কেমিক্যাল্স, কন্ডিশনার ও কিছুটা কেরাটিন (চুলের প্রোটিন) মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়। কেরাটিন ট্রিটমেন্ট প্রতি চারমাস বাদে করা উচিত। তবেই চুলের টেক্সচার ঠিক থাকে। তবে যাদের কোনও রাসায়নিক পদার্থে অ্যালার্জি আছে, তাদের কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই আগে চেক করে নাও তোমার চুলে ফরম্যালডিহাইড ব্যবহার করা যাবে কিনা।

কেরাটিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট কেন করবেন?

কেরাটিন হল চুলের মধ্যেই থাকা একপ্রকার প্রাকৃতিক প্রোটিন।

দূষণ, চুলে বারবার কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করা, অতিরিক্ত মাত্রায় ড্রায়ার বা স্ট্রেটনার ব্যবহার করার ফলে চুলে একটু একটু করে এই প্রোটিনের অভাব দেখা দেয়।

যার ফলে চুল হারিয়ে ফেলতে পারে তার প্রাকৃতিক জৌলুস, সেইসঙ্গে অকালে চুল ঝরে যাওয়া, ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

আর এই কারণে বাইরে থেকে চুলের প্রোটিনের যোগান দেওয়া খুবই জরুরী।

এতে চুলের গোড়া মজবুত হওয়ার পাশাপাশি চুলের হারিয়ে যাওয়া জেল্লাও ফিরে আসে।

খসখসে অনুজ্জ্বল চুলে প্রাণ ফেরাতে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করানোটা খুবই দরকার।

কেরাটিন ট্রিটমেন্টে কী কী থাকে?

চুলে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করার জন্য ফরম্যালডিহাইড কেমিক্যাল (Formaldehyde) এর সঙ্গে কন্ডিশনার এবং কেরাটিন হেয়ার প্রোটিন মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়। এই ফর্মুলা চুলের ড্যামেজ কন্ট্রোলে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

 হেয়ার স্ট্রেটনিং ও কেরাটিন ট্রিটমেন্টের মধ্যে পার্থক্য:

হেয়ার স্ট্রেটনিং পারমানেন্ট, কিন্তু এতে চুলের সব কার্ল সরিয়ে পিন-স্ট্রেট করা হয় চুলকে। কিন্তু কেরাটিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট কার্ল বা চুলের ফ্রিজ় নরম করে আনে, চুলে কেরাটিন অ্যাড করায়, চুলের পুষ্টি জোগায়। ছ’মাস মতো কেরাটিন ট্রিটমেন্ট স্থায়ী হয়, কিন্তু চুলের ক্ষতি কম করে।

 কী করে করা হয় এই কেরাটিন ট্রিটমেন্ট?

কেরাটিন ট্রিটমেন্টে চুল ভাল করে ধুয়ে কেরাটিন প্রডাক্ট লাগানো হয়। তার কুড়ি-পঁচিশ মিনিট পর ৪৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফ্ল্যাট আয়রন গরম করে চুলটা স্ট্রেট করা হয়।

কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করালে চুলের কী উপকার হবে?

প্রতিদিনের ধূলো-বালি-দূষণের পাশাপাশি অল্প সময়ে সুন্দর লুক পেতে আপনারা যেসব কৃত্রিম পদ্ধতির সাহায্য নেন, আর তার ফলে আপনার চুলের যা যা ক্ষতি হয় সেই সব ক্ষতি নিরাময় করে দেয় কেরাটিন ট্রিটমেন্ট। যেমন-

চুলের হারিয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করে।

চুলের ড্রাইনেস ও ফ্রিজিনেস এবং কোকড়ানোভাব দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।

কেরাটিন ট্রিটমেন্টে চুলের একটা প্রাকৃতিক স্ট্রেট লুক আসে, তার ফলে আপনাকে আলাদা করে চুলে স্ট্রেটনিং করার প্রয়োজন পড়ে না।

তবে যারা ইতিমধ্যেই হেয়ার স্ট্রেটনিং করিয়ে ফেলেছেন, তারা চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন।

যারা অনেকদিন আগেই হেয়ার স্ট্রেটনিং করিয়েছেন, এবং যাদের নতুন চুল গজাতে শুরু করে দিয়েছে তারা আবার হেয়ার স্ট্রেটনিং না করিয়ে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করুন।

এতে চুলের পুষ্টি ও সৌন্দর্য আরও বাড়বে।

কতদিন অন্তর করাবেন কেরাটিন ট্রিটমেন্ট?

চুলের টেক্সচার ঠিক রাখতে চার থেকে পাঁচ মাস অন্তর এই কেরাটিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট করানো উচিত। তবে এমনিতে কিন্তু ছয় মাস পর্যন্ত কেরাটিন ট্রিটমেন্টের এফেক্ট কার্যকর থাকে।

 কেরাটিন ট্রিটমেন্ট কি চুলের পক্ষে ক্ষতিকর?

আগেই বলেছি কেরাটিন ট্রিটমেন্টের সময়ে চুলে ফরম্যালডিহাইড কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, তবে যাদের কেমিকেল প্রোডাক্টে অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের কিন্তু এই কেমিকেল ব্যবহারে উল্টো ফল মিলতে পারে।

কারণ এই কেমিক্যাল ব্যবহারে অনেক সময়ে চোখ এবং নাকে চুলকানি অনুভব হতে পারে।

চোখের ক্ষেত্রে ইরিটেশনের ফলে চোখের সমস্যা হতে পারে।

এছাড়াও, কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এও বলেন যে, ফরম্যালডিহাইড কেমিকেল ক্যান্সারের কারণ। তবে এজন্য ভয় পাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আগে ডারমেটোলজিস্ট-এর কাছ থেকে ভাল করে পরীক্ষা করে নিতে হবে যে, আপনার চুলে ফরম্যালডিহাইড কেমিক্যাল ব্যবহার করা যাবে কি না।

শুধু তাই নয় পার্লারে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করানোর আগে ফরম্যালডিহাইড কেমিক্যালের পরিমাণ কম রয়েছে এমন প্রোডাক্ট দিয়ে ট্রিটমেন্ট করা উচিত।

গর্ভবতী মহিলারা এই ট্রিটমেন্ট থেকে দূরে থাকবেন। সন্তান প্রসবের পরেও এটি করাবেন না। যতদিন না আপনার সন্তান মাতৃ দুগ্ধ খাওয়া বন্ধ করছে।

 বাড়িতে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করবে কী করে?

কেরাটিন ট্রিটমেন্টের জন্য সঠিক প্রডাক্ট বাছাটাই আসল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করার কেমিক্যালে ফরম্যালডিহাইড থাকে, যা চুলের জন্য এবং শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই কম ফরম্যালডিহাইডযুক্ত বা ফরম্যালডিহাইডবিহীন প্রডাক্ট কিনব।

এবার পরপর তিনবার ভাল করে শ্যাম্পু করব, বিশেষত চুলে।

চুল ভাল করে মুছে চুলের জলটা চেপে তুলে নেবে। এবার পুরো চুল চারটে ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। প্রত্যেকটা ভাগে গোড়া থেকে ডগা অবধি ভাল করে কেরাটিন প্রডাক্ট লাগিয়ে নিতে হবে।

পুরো প্রডাক্টটা ভাল করে চুলে লাগানো হয়ে গেলে একটা চিরুনি দিয়ে চুলটা আঁচড়ে নিতে হবে। চিরুনিতে যদি প্রডাক্ট লেগে থাকে, তা হলে আরও কয়েকবার ভাল করে আঁচড়ে নাও।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের উপর নির্ভর করে কোন প্রডাক্ট চুলে বসতে কতক্ষণ সময় নেবে। তবে সাধারণত ১০ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে। কিছুক্ষেত্রে হিট দিয়ে বসানো হয়, কখনও আবার জাস্ট ক্যাপ পরিয়ে মাথার স্বাভাবিক উত্তাপ কাজে লাগিয়ে প্রডাক্টটা চুলে বসানো হয়।

কুড়ি মিনিট পর ব্লো ড্রাই দিয়ে চুলটা শুকিয়ে নিতে হবে। মনে রাখবে, যতক্ষণই সময় লাগুক না কেন, ভাল করে চুলটা ব্লোয়ার দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।

এবার একটা সেরামিক আয়রন নিয়ে ৪৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গরম করে নিতে হবে। পুরো চুল চারভাগে ভাগ করবে। এবার এক-একটা ভাগ আবার চারভাগে ভাগ করে, ফ্ল্যাট আয়রন দিয়ে চুল আয়রন করবে, যতক্ষণ না চুলে লেগে থাকা প্রডাক্ট উবে যায়। এক-একটা চুলের ভাগে সাতবার মতো করলেই হয়ে যাবে।

 ট্রিটমেন্টের পরের যত্ন

কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করার পর তিনদিন চুলে জল বা শ্যাম্পু লাগাবে না।

ওই তিনদিন কোনও ক্লিপ বা ব্যান্ডও চুলে লাগাবে না।

তিনদিন পর শ্যাম্পু করতে পার, কিন্তু ড্রাই শ্যাম্পু লাগাবে না। সালফেট-মুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারই ব্যবহার করবে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি, যেখানে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করছ, সেখান থেকেই শ্যাম্পু কিনে নিতে পারো।

 ডিজনিল্যান্ড গিয়েছেন কখনো? যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিম ক্যালিফোর্নিয়ার অন্তর্গত ‘এনাহিম’ শহরে ডিজনিল্যান্ড থিম পার্কটির অবস্থান। ১৯৫৫ সালে প্রথমবারের মতো ডিজনিল্যান্ড দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত থিম পার্কের ইতিহাসে এটিই সর্বশ্রেষ্ঠ থিম পার্ক বলে বিবেচিত হয়ে আসছে।

বাংলাদেশেও ডিজনিল্যান্ডের আদলে সাম্প্রতিক সময়ে তৈরি করা হয়েছে একটি থিম পার্ক।

ম্যাজিক প্যারাডাইস নামের পার্কটি ঢাকার কাছেই কুমিল্লা জেলার কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত একটি বিনোদন কেন্দ্র।

শুরুটা কীভাবে? 

ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কের যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ এর এপ্রিলে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে ৫০০ মিটার দূরত্বে কোটবাড়ির সালমানপুরে পার্কটির অবস্থান। পার্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, এটিই বাংলাদেশের বৃহত্তম ফ্যামিলি এমিউজম্যান্ট পার্ক। পার্কটি নকশাও করা হয়েছে পরিবারের নিয়ে একসাথে ঘুরার পরিবেশ তৈরির ব্যাপারটি মাথায় রেখে। পার্কটি তৈরিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে প্রায় দুইশ কোটি টাকা৷

 

ডিজনিল্যান্ডের আদলে তৈরি করা হয়েছে ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এর বিশাল ফটক। ওয়াটার পার্ক, ২০টিরও বেশি বিভিন্ন ধরনের রাইড, ডাইনোসর পার্ক, পিকনিক স্পটসহ ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কটি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে বেশ জনপ্রিয় দর্শনার্থীদের কাছে।

কী আছে ম্যাজিক প্যারাডাইসে? 

সবুজ প্রকৃতি আর কৃত্রিমের ছোঁয়া মিলে মিশে একাকার পার্কটি। ভিতরে ঢুকতেই চোখ চলে যাবে বিশাল এক নাগরদোলায়।

ম্যাজিক প্যারাডাইসকে সাজানো হয়েছে তিনটি অংশে। ড্রাই পার্ক, ওয়াটার প্যারাডাইস এবং ডায়নোসর ওয়ার্ল্ড।

ড্রাই পার্কে প্রায় ১৬ টি রাইড সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফেরিস হুইল, ক্যাঙ্গারু জাম্প, টুইন ড্রাগন, ট্রেন, রোলার কোস্টার, বাম্পার কার, ফ্লাইং জেট ইত্যাদি। এই অংশের প্রতিটি রাইড সুবিধা পাওয়া যাবে ১০০ টাকায়। ওয়াটার বোটের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা।

ওয়াটার প্যারাডাইসে পানিতে থাকে বা পানি সম্পর্কিত বেশ কয়েক ধরণের রাইড সুবিধা রেখেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ওয়েভ পোল, ফ্যামিলি পোল, ল্যাজি রিভার, স্প্ল্যাশ পোল ও রেইন ডান্স।

উচ্চ শব্দের গানে, ঢেউয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার আনন্দ বলে বুঝানো যাবে না। বাচ্চাদের জন্যও ওয়াটার পুলে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ছোট পাহাড়ের উপর তিনটি ওয়াটার রাইড আছে যা আপনার পছন্দ হতে বাধ্য।

এই সুবিধা গুলো পেতে সুইমিং কস্টিউম পাওয়া যায় সেখানে, মূল্য ১০০ – ২৫০ টাকা। ১০০ থেকে ২০০ টাকা মূল্যে পাওয়া যাবে টিউবও। রাইড সুবিধা নিতে একদিনের জন্য ভাড়া গুণতে হবে জনপ্রতি ১০০ টাকা। 

পার্কের তৃতীয় এবং সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয় ডায়নোসর ওয়ার্ল্ডকে। পাহাড়ের সিঁড়ি বেয়ে উপড়ে উঠতেই ডেকে উঠবে ডায়নোসর। ডায়নোসর? ঠিক ধরেছেন। ডায়নোসরই। তবে সেটা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা। কার্ভড পলিস্টিরিন ফোম দিয়ে পার্কের একটি অংশে ডায়নোসরের কৃত্রিম অবয়ব তৈরি করা হয়েছে। ফাইবার গ্লাসের আবরণের উপর আঁকা হয়েছে ডায়নোসরের অবয়ব।

হরেক রকমের ডাইনোসরদের দেখা মেলে এখানে। স্কিন টেক্সচার, চোখ, জিহবা, লেজ আর শরীরের মুভমেন্টের সাথে সাউন্ডবক্সের গর্জন- সব মিলিয়ে আসল ডায়নোসর থাকার বাস্তবিক এক পরিবেশই তৈরি হয়। ছোট বাচ্চারা দেখলে ভয় পেয়ে যাবে নির্ঘাত। খেয়াল না করে উপরে উঠলে আপনিও হাজার বছর পুরনো ডায়নোসরের যুগে চলে গেছেন ভেবে ভয় পেতে পারেন। ডায়নোসর আছে বলে এই পার্ককে জুরাসিক পার্কের সাথেও তুলনা দিতে পারেন।

অন্যান্য সুবিধা আছে তো?

একটা পার্কে শুধু যে রাইড কিংবা দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ থাকলেই দর্শনার্থীদের আনাগোনা বাড়ে এমন ধারণা বদলেছে অনেক আগেই৷ পার্কে থাকতে হয় আনুষাঙ্গিক সকল সুবিধা৷ ম্যাজিক প্যারাডাইস কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করেছে সেসব সুবিধা দিতে। পার্কে আছে খাওয়া-দাওয়াসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আছে নামাজের স্থান ও মহিলা-পুরুষদের জন্য আলাদা স্যানিটেশন ব্যবস্হা। তাই নির্দ্বিধায় পরিবারসহ একটা দিন কাটিয়ে আসতে পারেন এই পার্কে।

কীভাবে যাবেন ম্যাজিক প্যারাডাইস?

ঢাকা থেকে সড়ক পথে অর্থাৎ বাসে করে কুমিল্লা যেতে এখন মাত্র ২ ঘন্টারও কম সময় লাগে। তাই বাসে স্বাচ্ছন্দ্যে চলে যেতে পারেন পার্কটিতে। ম্যাজিক প্যারাডাইস যাওয়ার সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে ঢাকা থেকে কুমিল্লা টমছমব্রীজ গামী এশিয়া ট্রান্সপোর্ট, তিশা প্লাস অথবা এশিয়া এয়ার কন/রয়েল কোচ/প্রিন্স দিয়ে সরাসরি কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোড নেমে সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে যেতে পারবেন। কুমিল্লা যাওয়ার বাস গুলো কমলাপুর ও সায়দাবাদ থেকে ছেড়ে যায়।

এছাড়া ঢাকা থেকে ট্রেনে করে সহজেই কুমিল্লা আসতে পারবেন। চট্টগ্রামগামী (সুবর্ণা ও সোনার বাংলা বাদে) প্রায় সকল ট্রেনই কুমিল্লা স্টেশনে থামে। তবে ট্রেনে আসলে আপনাকে নামতে হবে কুমিল্লা স্টেশনে। সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে কোটবাড়ি যেতে পারবেন। ট্রেনে পৌঁছাতে অবশ্য বাস থেকে দ্বিগুণেরও বেশি সময় লাগবে।

চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা আসতে প্রিন্স কিংবা সৌদিয়া বাস বেছে নিতে পারেন। অথবা যে কোন ঢাকাগামী বাসে করেই আসতে পারবেন, আপনাকে কুমিল্লায় নেমে যেতে হবে। আবার ঢাকা গামী ট্রেনে করে বাসের চেয়ে দ্রুত কুমিল্লা পৌঁছাতে পারবেন। অথবা দেশের অন্য কোন জায়গা থেকে আপনার সুবিধামত বাহনে কুমিল্লায় আসতে হবে।

কুমিল্লা থেকে ম্যাজিক প্যারাডাইসে যেতে যদি বাসে আসেন আর বাস কুমিল্লা কোটবাড়ি বিশ্বরোড হয়ে যায় তাহলে কোটবাড়ি বাস স্ট্যান্ড মোড়ে নেমে পড়ুন। আর যদি অন্য কোথাও নামেন তাহলে যে জায়গাতেই আসেন সেখান থেকে অটো রিক্সা বা সিএনজি দিয়ে কোটবাড়ি মোড় চলে আসতে পারেন। কোটবাড়ি মোড় থেকে ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক যাওয়ার অটো রিক্সা বা সিএনজি পেয়ে যাবেন।

খরচ কেমন ম্যাজিক প্যারাডাইসে?

ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক প্রতিদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত খোলা থাকে। পার্ক এর প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০০ টাকা। প্রবেশ মূল্য দিয়ে আপনি ডায়নোসর ওয়ার্ল্ড এবং চা খাওয়ার সুবিধা পাবেন। ওয়াটার পার্ক এর প্রবেশ মূল্য ৩০০ টাকা, বিভিন্ন রাইডের টিকেট ৫০-১০০ টাকা করে। একসাথে কয়েক রাইড মিলিয়ে বিভিন্ন ধরণের প্যাকেজ আছে।

আপনি চাইলে আলাদা আলাদা ভাবে না টিকেট কিনে একসাথে প্যাকেজের টিকেট ও কিনতে পারবেন। ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকায় পাওয়া যাবে প্যাকেজগুলো। ছয় বছরের নিচে বাচ্চাদের কোনো প্রবেশ মূল্য প্রয়োজন হবে না। এছাড়া পিকনিক বা অনেকজন মিলিয়ে গেট-টুগেদার করতে চাইলে আগে থেকে যোগাযোগ করে যেতে হবে।

আশেপাশে দর্শনীয় স্থান

যদি আপনি অনেক দূর থেকে ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কে যান, তাহলে হয়তো খরচ ও সময়ের হিসেবে আপনার জন্যে ব্যয়বহুল হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে এই পার্কের আশেপাশের বা কুমিল্লা শহরে দেখার মতো দর্শনীয় কিছু স্হানে ঢুঁ মেরে আসতে পারেন। ম্যাজিক প্যারাডাইসের কাছেই রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর।

কুমিল্লা শহরে রয়েছে ধর্মসাগর দিঘি অথবা যেতে পারেন কুমিল্লা সিলেট রোডের পাশের ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে। তাই ম্যাজিক প্যারাডাইস যাওয়ার সুবাধে ঘুরে আসতে পারেন আশেপাশের এসব দর্শনীয় স্হান থেকেও।

Newer Posts Older Posts Home

Labels

  • beauty tips
  • exercise
  • Face Packs and Masks
  • health
  • health tips
  • Poems
  • recipe
  • travel

POPULAR POSTS

  • সোনারগাঁও: ইতিহাস, দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ তথ্য
  • ফেসিয়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা
  • গোলাপ ফুলের কার্যাবলী
  • হয়ত একদিন আমি ও এমনই হব
  • গোল্ড ফেসিয়ালের উপকারিতা ও বাসায় বসে করার নিয়ম

Sidebar Ads

Tasty Treats
Travel Journal

Thank YOU For Visit My site

Random Products

Designed by SK Ishita | Distributed by Dream Touch BD