কাজের
ব্যস্ততায় পার্লারে বুকিং দেওয়া হয়নি?
কিংবা জ্যামের ভয়ে পার্লারে যাওয়ার
ইচ্ছা নেই? কিন্তু ঈদের
আগে তো একটা ফেসিয়াল
করতেই হবে। তবে
কী করার? ঘরে বসে
করে নিতে পারেন পার্লারে
মত পার্ল ফেসিয়াল। কোন
বিশেষ অনুষ্ঠানের আগে চেহারায় দ্রুত
উজ্জ্বলতা আনতে বেশ কার্যকর
এই ফেসিয়ালটি। নিয়মিত
এই ফেসিয়াল করলে ত্বকের দাগ
কমতে থাকে। আসুন
জেনে নেয়া যাক কীভাবে
বাড়িতে বসেই পার্ল ফেসিয়াল
করবেন।
পার্ল ফেসিয়ালের উপকারিতা
প্রথমটির
মতো মুক্তোর গুঁড়োর এই ফেসিয়ালের উপকারিতাও
অনেক! এই ধরনের ফেসিয়াল
বাড়িতে করার আগে জেনে
নিন তা সম্বন্ধে...
এটি ত্বকে কোষগুলিকে সজীব
করে তোলে, ফলে ত্বকে
নতুন প্রাণসঞ্চার হয়! ত্বকের ইলাস্টিসিটি
বাড়িয়ে দেয়, মেলানিন তৈরির
প্রক্রিয়াটিকে শ্লথ করে দিয়ে
ত্বককে নানা ধরনের দাগছোপ
কিংবা পিগমেন্টেশনের হাত থেকে রক্ষা
করে। • এটি ত্বক করে তোলে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত, বয়সের ছাপ দূর করে, ত্বক করে তোলে কোমল ও স্নিগ্ধ
কি কি রয়েছে :
পার্ল ফেসিয়াল কিটে মুক্তোর গুঁড়ো,
অ্যাপ্রিকট অয়েল, রোজ অয়েল,
হুইট জার্ম অয়েল, ক্যারট
অয়েল ও ভিটামিন ই
থাকে!
পার্ল
ফেসিয়াল কিটে যা-যা
আছে: এক বার ব্যবহারের
উপযোগী এই কিটটিতে আছে
স্কিন পিওর ক্লেনজার, টার্মারিক-অ্যাপ্রিকট জেন্টল স্ক্রাব, পার্ল
ক্রিম, পার্ল জেল, পার্ল
মাস্ক, ক্যামোমাইল ঊিটামিন ই সুদিং-ময়শ্চারাইজিং
লোশন।
কীভাবে বাড়িতেই করে নিতে পারবেন পার্ল
ফেসিয়াল:
পার্ল ফেসিয়াল
ত্বকে
নতুন প্রাণসঞ্চার আনার
জন্য পার্ল ফেসিয়ালের সমকক্ষ আর কোন ফেসিয়াল নেই । এটি ত্বকে কোষগুলিকে সজীব
করে তোলে, ফলে ত্বকে
নতুন প্রাণসঞ্চার হয়! ত্বকের ইলাস্টিসিটি
বাড়িয়ে দেয়, মেলানিন তৈরির
প্রক্রিয়াটিকে শ্লথ করে দিয়ে
ত্বককে নানা ধরনের দাগছোপ
কিংবা পিগমেন্টেশনের হাত থেকে রক্ষা
করে। তাহলে জেনে নিন আমাদের দেওয়া পার্ল ফেসিয়াল করার নিয়ম।
প্রস্তুতিপর্ব
সবার আগে ত্বককে পার্ল
ফেসিয়ালের জন্য প্রস্তুত করে নেওয়া দরকার। তার
জন্য ত্বকের গভীর থেকে
সমস্ত ধুলোময়লা আর দূষিত পদার্থ
বের করে দিতে হবে।
ধাপ 1: ক্লেনজ়িং
প্রথমে
সারা মুখে আর গলায়
ভালো করে সাধারণ ক্লেনজ়িং
মিল্ক লাগান। আঙুলের
ডগা দিয়ে হালকা চাপ
দিয়ে পাঁচ-সাত মিনিট
ম্যাসাজ করুন। তারপর
পরিষ্কার তুলো দিয়ে মুছে
নিন।
ধাপ 2: স্টিম
এবার স্টিম নেওয়ার পালা। মুখ
পরিষ্কার করার সময়ই পাত্রে
করে জল নিয়ে আঁচে
বসিয়ে রাখুন। ক্লেনজ়িং
শেষ হতে হতে জলটা
ফুটে যাবে। জল
ফুটে গেলে আঁচ থেকে
নামিয়ে নিন। এবার
মাথায় একটা তোয়ালে ঢাকা
দিয়ে মুখটা জলের ঠিক
উপরে রাখুন যাতে ধোঁয়াটা
মুখের উপর লাগে।
চার-পাঁচ মিনিট এভাবে
থাকুন। তারপর
মুখ সরিয়ে নিয়ে তুলো
দিয়ে মুখ আর গলা
মুছে নিন। সমস্ত
ধুলোময়লা সরে গিয়ে ত্বক
পরিষ্কার হয়ে যাবে।
মূল ফেসিয়াল পর্ব
এবার আমরা মূল ফেসিয়াল
পর্বে ঢুকব। তার
জন্য এমন একটা জায়গা
বেছে নিন যেখানে অন্তত
ঘণ্টা খানেক সময় আপনি একা
থাকতে পারবেন এবং কেউ
আপনাকে বিরক্ত করবে না!
ত্বকের যত্নের পাশাপাশি মানসিকভাবে
চাঙ্গা হয়ে ওঠারও এটাই
সময়!
ধাপ 1
স্কিন
পিওর ক্লেনজ়ারটি বের করুন।
সামান্য স্কিন পিওর ক্লেনজার
নিয়ে মুখে আর গলায় লাগিয়ে
বৃত্তাকারে মাসাজ করুন।
পাঁচ মিনিট মাসাজ করার
পর জল দিয়ে ধুয়ে
নিন। তুলো
দিয়ে মুছেও নেওয়া যায়।
ধাপ 2
এবার পার্ল ফেসিয়াল কিট থেকে টার্মারিক-অ্যাপ্রিকট জেন্টল স্ক্রাব বের করুন। আগের
মতোই অল্প স্ক্রাব নিয়ে
আঙুলের ডগা দিয়ে সারা
মুখে বৃত্তাকারে ঘষতে থাকুন।
চোখের চারপাশের অংশে স্ক্রাব লাগাবেন
না। মিনিট
পাঁচেক স্ক্রাব করার পর পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সিলভার আ্যাশ আর ওয়ালনাট
সমৃদ্ধ স্ক্রাব ব্ল্যাক হেডসকে নরম করে আর
মৃত কোষ দূর করে।
ধাপ 3
এবার ১০-১৫
মিনিট ধরে পার্ল ক্রিম দিয়ে মুখ
ম্যাসাজ করুন।
ধাপ 4
কিট থেকে পার্ল জেলটি
বের করুন। মুখে
আর গলায় লাগান।
মিনিট পাঁচেক মাসাজ ।
সিলভার জেল দিয়ে ৪-৫ মিনিট অপেক্ষা
করুন। তারপর
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন।
ধাপ 5
এটা একদম শেষ ধাপ। এবার
পার্ল প্যাক লাগিয়ে ১৫
মিনিট অপেক্ষা করুন আপনাকে নতুনভাবে
আবিষ্কার করার জন্য।
এবার চোখ বন্ধ করে
চুপচাপ শুয়ে থাকুন।
আর অপেক্ষা করুন মাস্ক শুকানো
পর্যন্ত । তারপর
ভেজা কটন প্যাড দিয়ে
মাস্ক তুলে ফেলুন ।
ফেসিয়াল-পরবর্তী যত্ন
ঊিটামিন
ই সুদিং-ময়শ্চারাইজিং লোশনটি
সারা
মুখে আর গলায় ভালো
করে মেখে নিন।
ত্বক কোমল আর সতেজ
হয়ে উঠবে নিমেষে! গোটা ফেসিয়াল পর্ব
শেষ করতে আপনার সময়
লাগবে এক ঘণ্টা!
তাহলে
আর অপেক্ষা কেন? পার্ল ফেসিয়াল
করার মাধ্যমে পুরনো সব জীর্ণ
মলিনতা ভুলে আবার নিজেকে
মেলে ধরুন নতুন আঙ্গিকে।
0 Comments