পাটিসাপটা খুব পরিচিত একটি পিঠার নাম । দুধ, চিনি, চালের গুড়া, আটা,সুজি, তেল, পাটিসাপটা পিঠার হরেক পদ রয়েছে।পাটিসাপটা পিঠা অনেকভাবেই তৈরি করা যায়। যেমন : ক্ষীর পাটিসাপটা, ঝাল পাটিসাপটা, মাওয়া পাটিসাপটা ইত্যাদি। প্রস্তুত প্রণালীতে বেশ ঝামেলা আছে বলে মনে করে অনেকেই পাটিসাপটা পিঠা বানাতে আগ্রহী থাকেন না ।
তো চলুন ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের পাটিসাপটা পিঠা তৈরির রেসিপিগুলো জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমেই আমরা জানবো ক্ষীর পাটিসাপটা তৈরির রেসিপি। ক্ষীর পাটিসাপটা বানানানো জন্য আমাদেরকে সর্বপ্রথম ক্ষীর তৈরি করে নিতে হবে।
1.
ক্ষীর পাটিসাপটা:
ক্ষীরের জন্য উপকরণ:
৩ লিটার দুধ
১ কাপ চিনি
১ টেবিল-চামচ চাউলের গুঁড়া
গোলা তৈরির জন্য
৭ কাপ চাউলের গুঁড়া
১/২ কাপ আটা বা ময়দা
৫ কাপ চিনি
ক্ষীর তৈরির প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমেই ৩ লিটার দুধ একটি পাত্রে নিয়ে ফুটাতে থাকুন। ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যেন নিচে লেগে না যায়। দুধ কমে দেড় লিটার হলে আধা কাপ থেকে একটু বেশি দুধ আলাদা করে রাখুন। এবার বাকি দুধ চিনি দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন।
মোটামুটি ঘন হয়ে আসলে চুলার আঁচ কমিয়ে রাখুন। এবার অন্য একটি পাত্রে আলাদা করে রাখা দুধ নিয়ে এর মধ্যে চাউলের গুঁড়া মিশিয়ে চুলায় রাখা ঘন দুধের সাথে মিশিয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। কয়েকবার ফুটে উঠলেই দেখবেন এটি একটি ঘন মিশ্রণে পরিণত হবে। এটিই পাটিসাপটা পিঠা তৈরির ক্ষীর।
গোলা তৈরি:
২ কাপ পানিতে চিনি গুলিয়ে নিন। চিনি মিশে গেলে এর মধ্যে চাউলের গুঁড়া আর সামান্য পরিমাণে আটা দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি যেন খুব বেশি ঘন বা খুব পাতলা না হয়।
পিঠা তৈরি:
একটি ননস্টিক ফ্রাইপ্যান চুলায় বসিয়ে গরম হতে দিন। গরম হয়ে গেলে ফ্রাইপ্যানে ১ টেবিল চামচ তেল মাখিয়ে নিন। এবার আধাকাপ পরিমাণ গোলা প্যানে দিয়ে গোল করে ঘুরিয়ে ছড়িয়ে দিন। পিঠার ওপরের দিক শুকনা হয়ে কড়াই থেকে আলাদা হয়ে না আসা পর্যন্ত তাপ দিতে থাকুন।
এবার আগে তৈরি করে রাখা ক্ষীর থেকে ১ টেবিল চামচ ক্ষীর নিয়ে পিঠার একপাশে লম্বা করে দিয়ে দিন। ক্ষীর ভেতরে রেখে পিঠা আস্তে আস্তে মুড়িয়ে ফেলুন। চামচ দিয়ে হালকা চাপ দিয়ে পিঠা চ্যাপ্টা করে দিন।
যে প্লেটে পরিবেশন করবেন সেই প্লেটে পিঠাগুলো নিয়ে উপরে কাঠবাদাম বা কাজুবাদাম কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম মজাদার স্বাদের ক্ষীর পাটিসাপটা পিঠা।
2. “চিংড়ি মাছের নোনতা পাটিসাপটা”।
উপকরণঃ
১ কাপ ময়দা
১/২ কাপ চাউলের গুঁড়া
১ চা চামচ লবণ
১ টি ডিম
৬০০ মিলি দুধ
২৫ গ্রাম মাখন
৪০ গ্রাম পনির
৫০০ গ্রাম চিংড়ি মাছ (টুকরো করা)
১ টি পেঁয়াজ কুচি
১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
তেল ভাজার জন্য।
প্রণালী:
পুর তৈরি:
প্রথমে একটি প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচিগুলো ভেজে নিন। পেঁয়াজ সেদ্ধ হয়ে গেলে এতে ২৫ গ্রাম মাখন এবং ২৫ গ্রাম ময়দা মিশিয়ে মৃদু আঁচে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন।
এবার এতে ৩০০ মিলি দুধ দিয়ে ঘন না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। এর পর আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে তার মধ্যে পনিরের টুকরো, লবণ, ধনেপাতা কুচি এবং চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে দিন। ১০ মিনিট নেড়েচেড়ে রান্না করুন। এটিই পাটিসাপটা পিঠা তৈরির পুর।
গোলা তৈরি:
একটি পাত্রে ময়দা, চাউলের গুঁড়া ও লবণ নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে বাকি ৩০০ মিলি দুধ ও ডিম মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। খেয়াল রাখবেন, মিশ্রণটি যেন খুব বেশি পাতলা বা খুব বেশি ঘন না হয়।
পিঠা তৈরি:
একটি ননস্টিক ফ্রাইপ্যান চুলায় বসিয়ে গরম হতে দিন। গরম হয়ে গেলে ফ্রাইপ্যানে ১ টেবিল চামচ তেল মাখিয়ে নিন। এবার আধাকাপ সমপরিমাণ গোলা প্যানে দিয়ে গোল করে ঘুরিয়ে ছড়িয়ে দিন। পিঠার ওপরের দিক শুকনা হয়ে কড়াই থেকে আলাদা হয়ে না আসা পর্যন্ত তাপ দিতে থাকুন।
এবার আগে তৈরি করে রাখা চিংড়ি মাছের পুর থেকে ১ টেবিল চামচ পুর নিয়ে পিঠার একপাশে লম্বা করে দিয়ে দিন। পুর ভেতরে রেখে পিঠা আস্তে আস্তে করে মুড়িয়ে ফেলুন। চামচ দিয়ে হালকা চাপ দিয়ে পিঠা চ্যাপ্টা করে দিন।
এভাবে সবগুলো পিঠা বানিয়ে পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম চিংড়ি মাছের নোনতা পাটিসাপটা পিঠা।
শীতের নানা লোভনীয় পিঠার ভিড়ে রাখতে পারেন চমৎকার স্বাদের মালাই পাটিসাপটা। রেসিপি জানা থাকলে খুব সহজেই তৈরি করতে এবং সবাইকে চমকে দিতে পারবেন। চলুন তবে রেসিপি জেনে নেয়া যাক-
বাংলাদেশের একেক অঞ্চলে রয়েছে একেক রকম পিঠা। তবে একই পিঠা একেক এলাকায় এগুলো ভিন্ন নামে পরিচিত । বাংলাদেশে ১৫০ বা তার বেশি রকমের পিঠা থাকলেও মোটামোটি ৩০ ধরনের পিঠা প্রচলিত । সাধারনত পিঠা তৈরি হয় নতুন চালের গুঁড়া ও গুড় দিয়ে । সুস্বাদের জন্য এর সাথে দরকার হয় নারিকেল এবং ভাজার জন্য তেল । আবার, কিছু পিঠায় সবজি এবং মাংসের কুঁচি ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।এই পিঠার সমারোহে শীতকাল কে পিঠাকাল বললেও ভুল হবে না ।
3. “মালাই পাটিসাপটা”।
ক্ষীরসা বানানোর উপকরণ:
দুধ এক লিটার
খেজুরের গুড় বা চিনি স্বাদমতো
সুজি দুই চামচ
নারিকেল বাটা তিন/চার চা চামচ।
পাটিসাপটার ক্ষীরসা তৈরির প্রণালি:
প্রথমে একটি কড়াই বা প্যানে দুধ নিন এবং দুধ জ্বাল দিয়ে খুব অল্প করে নিন। দুধ অবশ্যই ঘন ঘন নাড়তে হবে, নয়তো নিচে লেগে যাবে। এরপর এর মধ্যে সুজি ও খেজুরের গুড় বা চিনি, বাটা নারিকেল একসঙ্গে দিয়ে নাড়তে থাকুন। এরপর সব উপকরণ দিয়ে অবিরত নাড়তে থাকুন। নয়তো নিচে লেগে যাবে। এরপর ক্ষীরসা অনেক ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।
গোলা বানানোর উপকরণ:
চালের গুঁড়া পরিমাণমতো
খেজুরের গুড় বা চিনি দুই চা চামচ
ময়দা এক/দুই কাপ
লবণ সামান্য
গরম পানি প্রয়োজনমতো
পাটিসাপটার গোলা তৈরির পদ্ধতি:
প্রথমে একটি পাত্রে ওপরে উল্লিখিত সব উপকরণ গরম পানি দিয়ে খুব ভালোভাবে মেশান। খেয়াল রাখবেন, গোলা যেন খুব পাতলা বা ভারী না হয়। এরপর একটি ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে নিন। এরপর এর মধ্যে পরিমাণমতো মিশ্রণ দিন, এরপর রুটির আকৃতি গড়ে নিন। এরপর পাতলা রুটিতে তৈরি করে রাখা ক্ষীরসা দিন। একটি চামচের সাহায্যে পুরো রুটিতে ক্ষীরসা মিশিয়ে দিন এবং একই রকম সাইজে মোড়াতে থাকুন। মোড়ানো হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
মালাই বানানোর উপকরণ:
দুধ তিন কাপ (ছয় কাপ দুধ জ্বাল দিয়ে তিন কাপ করে নিন)
চিনি এক/চার কাপ
ফ্রেশ ক্রিম এক কাপ
মালাই তৈরির প্রণালি:
প্রথমে চুলায় একটি হাঁড়িতে দুধ নিয়ে নিন। এরপর এর মধ্যে দিয়ে দিন চিনি এবং ফ্রেশ ক্রিম। এরপর উপকরণগুলো ঘন ঘন নেড়ে বলক তুলে নিন। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে আগে থেকে তৈরি করে রাখা পাটিসাপটা পিঠার ওপর ঢেলে দিন। এরপর ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন মজাদার মালাই পাটিসাপটা।
4. গাজরের মালাই পাটিসাপটা
উপকরণ:
সেদ্ধ করে ম্যাশ করা গাজর ৪ টেবিল চামচ,
ঝুরি করা গাজর আধা কাপ,
কোরানো নারকেল ১/৩ কাপ,
ময়দা ৬ টেবিল চামচ,
পোলাওয়ের চালের গুঁড়া ৪ টেবিল চামচ,
সুজি ৪ টেবিল চামচ,
মাওয়া সিকি কাপ,
চিনি আধা কাপ,
দুধ ২ কাপ,
ক্রিম ২ টেবিল চামচ,
কাজুবাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ,
কিশমিশ ১ টেবিল চামচ,
এলাচ গুঁড়া সামান্য,
জাফরান এক চিমটি,
ঘি দেড় চা চামচ।
পুর তৈরির প্রণালী:
প্যানে ঘি গলিয়ে তাতে কোরানো নারকেল ও ঝুরি করা গাজর দিয়ে ভালো করে বেশ কিছুক্ষণ ভেজে নিন। মাওয়া মিশিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্না করুন। তারপর চিনি দিয়ে মিশিয়ে নেড়ে ক্রিম ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে হালকা নেড়ে চুলা বন্ধ করে দিন। বাটিতে এই মিশ্রণ ঢেলে ছড়িয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। এরপর তাতে কাজুবাদাম, কিশমিশ কুচি ও জাফরান দিয়ে মেখে রাখুন।
ক্ষিরসা তৈরির প্রনালী:
একটি বাটিতে সামান্য জাফরান, ম্যাশ করা গাজর, ময়দা, সুজি, চিনিও দুধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মসৃণ ব্যাটার না হওয়া পর্যন্ত মেশাতে থাকুন।
পিঠা তৈরির প্রনালী:
একটি ননস্টিক প্যান গরম করে সামান্য ঘি ব্রাশ করে নিন। গোল চামচের ২ চামচ ব্যাটার দিয়ে পুরো প্যান ঘুরিয়ে রুটির মতো তৈরি করে নিন। কাঁচাভাব গিয়ে সাদাটে হয়ে এলে তাতে লম্বালম্বি করে গাজরের পুর রাখুন। রোল করে পেঁচিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার গাজরের মালাই পাটিসাপটা।
5. জাফরানি ক্ষিরের পাটিসাপটা
উপকরন:
দুধ ২ কাপ।
ডাবল ক্রিম ১ কাপ (না দিলেও হবে)।
চিনি আধা কাপ।
জাফরান ১ চিমটি।
চালের গুঁড়া বা কর্নফ্লাওয়ার ১ চা-চামচ।
ক্ষীরসা তৈরির প্রণালি:
প্রথমে একটি কড়াই বা প্যানে দুধ নিন এবং দুধ জ্বাল দিয়ে খুব অল্প করে নিন। দুধ অবশ্যই ঘন ঘন নাড়তে হবে, নয়তো নিচে লেগে যাবে। এরপর এর মধ্যে চিনি, ক্রিম, জাফরান একসঙ্গে দিয়ে নাড়তে থাকুন।ক্ষির না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে।দুধ যখন খুব ঘন হয়ে আসবে তখন চালেরগুঁড়া বা কর্নফ্লাওয়ার একটু পানি দিয়ে গুলে নিয়ে দুধে মিশিয়ে নাড়তে হবে। এরপর সব উপকরণ দিয়ে অবিরত নাড়তে থাকুন। নয়তো নিচে লেগে যাবে। এরপর ক্ষীরসা অনেক ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।
গোলা বানানোর উপকরণ:
চালেরগুঁড়া ১ কাপ।
ময়দা ১ কাপ।
গুড় ১ কাপ বা স্বাদ অনুযায়ী চিনিও দিতে পারেন।
পানি ১ কাপ।
গোলা তৈরির পদ্ধতি:
গুড় পানি দিয়ে চুলার আগুনে গলিয়ে নিতে হবে।গুড় ঠান্ডা হলে চালের গুঁড়া আর ময়দা মিশিয়ে এক ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন।তারপর একটি ছড়ানো প্যানে সামান্য তেল দিয়ে ডালের বড় চামচের এক চামচ গোলা নিয়ে প্যান দিয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে।তারপর মাঝাখানে দেড় চা-চামচ ক্ষির দিয়ে পিঠা ভাজ করে নিতে হবে।
টিপস:
গোলা খুব ঘন বা পাতলা হবে না।গুড় গরম থাকতে কখনও ময়দা আর চালের গুঁড়ার সঙ্গে মেশাবেন না।তাই ঠাণ্ডা করে তারপর মেশাবেন।পিঠার গোলায় চালের গুঁড়া আর ময়দা একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।শুধু চালের গুঁড়া দিয়ে করলে পিঠা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর মাঝখানে থেকে ভেঙে যায়
6. নুডুলস পাটিসাপটা
উপকরণ:
নুডুলস- ১ প্যাকেট
মুরগীর হাড় ছাড়া মাংস – আধা কাপ
গাজর কুচি সামান্য
পাতা কপি সামান্য
ডিম- ৫/৬ টি
কুচানো কাঁচা মরিচ -৫/৬ টি
কুচানো ক্যাপসিকাম-১ টি
কুচানো পেঁয়াজ – ২/৩ টি
নুন পরিমান মত
সয়াসস- ১ টেবিল চামচ
তেল পরিমাণ মত
প্রণালি:
প্রথমে নুডুলস সেদ্ধ করে নিন। কড়াইতে সামান্য তেল গরম তেল করে একে একে মুরগীর মাংস,গাজর, পেঁয়াজ,পাতা কপি, কাঁচা মরিচ, সয়াসস, নুন দিয়ে হালকা ভেজে নিন। এবার নুডলস সব উপকরণের মধ্যে দিয়ে দিন। নামানোর আগে ক্যাপসিকাম দিন, সামান্য ভাজা হলে নামান। ফ্রাই প্যানে সামান্য তেল দিয়ে ডিম গুলো ফেটে পাটি সাপটার মত ভেজে নিন। তার ভেতর নুডলসের পুর দিন, পাটি সাপটার মত করে ভাঁজ দিন। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন চিলি সস দিয়ে।
7. ডিমের পাটিসাপটা
উপকরণ:
দুধ দেড় লিটার
পোলাওর চালের গুঁড়ো ২ কাপ
ডিম ১টি
ময়দা সিকি কাপ
চিনি আধাকাপ
চালের গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ
মালাই আধাকাপ
কুসুম গরম জল পরিমাণমতো
প্রণালী:
দুধ ঘন করে অল্প অল্প চিনি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে ঘন করতে হবে। সামান্য দুধ তুলে ঠান্ডা করে ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো গুলিয়ে দুধ ঢেলে দিতে হবে। ওভেন থেকে নামিয়ে মালাই মিশিয়ে আবার ওভেনে দিয়ে একটু শুকনা শুকনা করে নামাতে হবে। ময়দা, চালের গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ, চিনি, ডিম ও জল দিয়ে গুলিয়ে ২ ঘণ্টা রাখতে হবে। ফ্রাইপ্যানে সামান্য তেল লাগিয়ে বড় গোল চামচ দিয়ে এক থেকে দেড় চামচ গোলা ঢেলে প্যানে ঘুরিয়ে বড় রুটির মতো করে গোল করতে হবে। রুটি সেকা শুকিয়ে এলে ২ টেবিল চামচ দুধের ক্ষীর রুটির ওপর লম্বাভাবে দিয়ে রুটি ভাঁজ করে মুড়িয়ে নিতে হবে।
8. পাটিসাপটা পিঠা
উপকরণ:
দুধ ২ লিটার,
চিনি ৫০০ গ্রাম
সুজি দুই টেবিল চামচ
মিহি নারিকেল কোরা আধা কাপ
চালের গুঁড়া ১ কেজি,
ময়দা আধা কাপ,
তেল ভাজার জন্য,
পানি পরিমাণ মতোলবণ স্বাদমতো
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে অর্ধেক চিনি আর দুধ ঘন করে জ্বাল দিতে হবে। এবার তার ভেতর সুজি আর নারিকেল কোরা ছেড়ে ক্ষীর তৈরি করে নিতে হবে। ক্ষীর ঘন হলে নামিয়ে রাখুন। চালের গুঁড়া, বাকি চিনি, পানি আর লবণ দিয়ে পাতলা গোলা করে নিন। ফ্রাই প্যানে সামান্য তেল নিয়ে গরম করে নিতে হবে। এবার আধা কাপ গোলা দিয়ে একটা পাতলা রুটির মতো বানিয়ে নিন। রুটির ওপরের দিকে শুকিয়ে এলে এক টেবিল চামচ পরিমাণ ক্ষীর দিয়ে মুড়িয়ে পাটিসাপটার আকার দিয়ে আরেকবার ভেজে নিন। এভাবে একটি একটি করে পিঠা বানিয়ে নামিয়ে আনুন। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন মজার পাটিসাপটা পিঠা।
9. গাজর ও ফুলকপির পাটিসাপটা
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১ কাপ চাউলের গুঁড়া
১ কাপ ময়দা
১ কাপ খেজুরের রস
১/২ কাপ গাজরকুচি
১/২ কাপ ফুলকপি কুচি
১ কাপ নারকেল কোড়ানো
১ কাপ চিনি
পুর তৈরি:
একটি পাত্রে নারকেল কোড়ানো, গাজর কুচি, ফুলকপি কুচি ও চিনি দিয়ে মৃদু আঁচে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। প্রয়োজনমতো সামান্য পরিমাণে পানি দিয়ে নাড়তে থাকুন। চিনে গলে গেলে এবং সব উপকরণগুলো সেদ্ধ হয়ে আঠালো একটি মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এটিই পিঠা তৈরির পুর।
গোলা তৈরি:
খেজুরের রস, চাউলের গুঁড়া এবং ময়দা একসাথে মিশিয়ে খুব বেশি ঘন ও না আবার খুব বেশি পাতলাও না এমন একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এটি পিঠা তৈরির গোলা।
পিঠা তৈরি:
একটি ননস্টিক ফ্রাইপ্যান চুলায় বসিয়ে গরম হতে দিন। গরম হয়ে গেলে ফ্রাইপ্যানে ১ টেবিল চামচ তেল মাখিয়ে নিন। এবার আধাকাপ পরিমাণ গোলা প্যানে দিয়ে গোল করে ঘুরিয়ে ছড়িয়ে দিন। পিঠার ওপরের দিক শুকনা হয়ে কড়াই থেকে আলাদা হয়ে না আসা পর্যন্ত তাপ দিতে থাকুন।
এবার আগে তৈরি করে রাখা পুর থেকে ১ টেবিল চামচ পুর নিয়ে পিঠার একপাশে লম্বা করে দিয়ে দিন। পুর ভেতরে রেখে পিঠা আস্তে আস্তে করে মুড়িয়ে ফেলুন। চামচ দিয়ে হালকা চাপ দিয়ে পিঠা চ্যাপ্টা করে দিন।
এভাবে সবগুলো পিঠা বানিয়ে সার্ভিং ডিশে রেখে জ্বাল দেয়া ঘন খেজুরের রস পিঠার ওপরে দিয়ে পরিবেশন করুন গাজর কপি পাটিসাপটা পিঠা। ক্ষীরের
10.
মাওয়া পাটিসাপটা
ক্ষীরের জন্য উপকরণ:
ময়দা 1কাপ
সুজি হাফ কাপ
চালের গুড়ো 4চামচ
চিনি হাফ কাপ
নুন এক চিমটে
দুধ 500গ্রাম
সন্দেশ 200গ্রাম
ক্ষোয়াক্ষীর 100গ্রাম
এলাচ গুঁড়ো 1চা চামচ
পিঠা তৈরি:
প্রথমে একটা বাটিতে ময়দা, সুজি, চালেরগুড়ো, নুন, চিনি আর দুধ দিয়ে গুলে রাখতে হবে 45মিনিট।
এরপর কড়াতে সন্দেশ আর ক্ষোয়াক্ষীর দিয়ে ভালো করে পাক দিয়ে এলাচ গুঁড়ো ছরিয়ে একটা শুকনো মন্ড বানিয়ে নিতে হবে।
এবার এই সন্দেশের মন্ড থেকে ছোট ছোট লম্বা সেপে গড়ে নিতে হবে।
এবার ওই ময়দা গোলাটা আর একবার নেড়ে নিতে হবে। তারপর গ্যাসে চাটু বসিয়ে গরম করে তাতে অল্প করে তেল মাখিয়ে এক হাতা করে গোলা দিয়ে সাইড থেকে সামান্য করে তেল ছরিয়ে দিতে হবে।
এবার তার ওপর একটা করে সন্দেশের মন্ড দিয়ে রোল করে মুড়ে ভালো করে ভেজে তুলতে হবে।
0 Comments