বাহারি রংয়ের ঈদ স্পেশাল রান্না
একমাস রোজা রাখার পর আসছে খুশির ঈদ। দরজায়
কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর ।
উৎসবমুখর পরিবেশে মেতে উঠেছে চারপাশ। বাকি
আছে শুধু আনন্দ ভাগাভাগি
করে নেওয়া আর মজাদার
খাবার খাওয়ার । মজার
মজার খাবার দিয়ে আতিথি
আপ্যায়ন করতে না পারলে তো
মজাই থাকে না ঈদ
আনন্দে। তাই,
ঈদের দিন খাবার মেন্যুতে
যোগ করুন সহজ ও
সুস্বাদু কিছু রেসিপি।
রাসুই ঘর মাতিয়ে রাখুন
সুগন্ধে। ঈদে
পরিবার-আত্মীয়-পরিজন ও
অতিথি আপ্যায়নে কিছু মুখরোচক খাবারের
রন্ধন প্রণালি নিয়ে আমাদের এই
বিশেষ আয়োজন। আপনাদের
ভাল লাগাই আমাদের কাম্য।
চিকেন বিরিয়ানি:
উপকরণ:
o
বাসমতী
চাল ৭০০ গ্রাম ,
o
মুরগির
মাংস দেড় কেজি,
o
পেঁয়াজ
কুচি ৪টি বড় মতো,
o
রসুন
8 কোয়া,
o
কাঁচালঙ্কা,
o
আদাবাটা
২ টেবিল চামচ,
o
টক
দই ৪ টেবিল চামচ,
o
গোটা
মশলা যেমন- লবঙ্গ, দারচিনি,
এলাচ, জায়ফল, জয়িত্রী, ধনে,
আন্দাজ মতো,
o
দুধে
ভেজানো জাফরান অল্প।
o
কেওড়া
পানি আন্দাজ মতো।
o
দেশি
ঘি ২ টেবিল চামচ৷
o
আলু
ছোট- ৬/৭ টা
২ ভাগ করে নেয়া
(একটু লবণ দিয়ে তেলে
লাল করে ভেঁজে নেয়া)
o
পেঁয়াজ
বাটা- ১/২ কাপ
o
লাল
মরিচ গুঁড়া- ১ চা
চামচ
o
আলুবোখারা-
৮টা
o
গরুর
দুধ- ১/৩ কাপ
o
তেল
প্রয়োজনমতো
o
চিকেন
স্টক বা পানি প্রয়োজনমতো
নোটিস:
পেঁয়াজ কুচি করে দুধে
কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তেল
খুব গরম হলে পেঁয়াজ
কুচিগুলি তুলে নিয়ে ভাজুন। এতে
পেঁয়াজে তাড়াতাড়ি বাদামি রঙ ধরবে
এবং পেঁয়াজ কুচিগুলিও মুচমুচে হবে৷
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে গোটা মশলা
গুলো পাটাতে পিষে নিন। এবার
কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ, রসুন ও আদা
মিক্সিতে পেষ্ট করে রাখুন। টকদই-এ গুড়ো মশলাগুলো
দিয়ে ফেটিয়ে রাখুন।
এবার মাংসের মধ্যে
সব বাটা মশলা এবং
গুঁড়ো মশলা মেশানো টক
দই ও লবণ-চিনি
দিয়ে মাখিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন । পানি
দিতে হবেনা। বেশি
সময় ধরে মেরিনেট করলে
মাংস নরম হয়।
ফ্রিজেও রাখতে পারেন বেশ
কিছু সময়। এবার
মাখনো ও গোটা আলু
প্রেসার কুকারে দিয়ে ২/
৩ টি সিটি দিন। খেয়াল
রাখবেন রান্নার সময় আঁচ হালকা
করে নিতে হবে। চুলা হলে গোটা গরম মসলা দিয়ে মেরিনেট করা
চিকেন দিয়ে দিন নেড়েচেড়ে কষিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। প্রয়োজনে অল্প পানি
দেয়া যায়। মুরগী রান্না হয়ে গেলে মাখা মাখা ঝোল থাকবে।
বিরিয়ানি ভাতের জন্য:
চাল অন্তত এক
ঘণ্টা মতো পানিতে ভিজিয়ে
রাখুন।
এবার একটিপাত্রে পানি
দিয়ে ফুটতে দিন। তেজপাতা
ও লবণ দিন।
পানির পরিমাণ চাল অনুযায়ী
দিতে হবে। তাতে
পানি ঝরিয়ে চালগুলো দিয়ে
দিন। ভাত
একটু শক্ত থাকতে নামিয়ে
নিন। মশারির
নেটে ঢেলে দিয়ে ভাত
ঝরঝরে করে নিন।এবার দুধে ভেজানো
জাফরান দিয়ে অথবা অতি
সামান্য জাফরান রঙ দিয়ে
ভাত সামান্য ঝাঁকিয়ে নিন।
এবার সাজানোর জন্য :
এবার একটা হাড়িতে প্রথমে কিছুটা পোলাও ছড়িয়ে
দিয়ে উপরে কিছু মাংস ছড়িয়ে দিয়ে অল্প ঘি, কেওড়া, বেরেস্তা, কাঁচামরিচ, আলুবোখারা, ভাঁজা
আলু এবং লেবুর রস ছড়িয়ে দিন। আবার কিছু পোলাও, মাংস, ঘি, কেওড়া, বেরেস্তা, কাঁচামরিচ,
ছড়িয়ে দিতে হবে। এইভাবে দুই স্তরে লেয়ার করতে হবে।
এইবার উনানে একটা
তাওয়া রেখে কিংবা একটি
ফুটন্ত পানির পাত্রের উপর
বিরিয়ানির পাত্রটি বসিয়ে রাখুন ২০-২৫ মিনিট মতো। বিরিয়ানির
পাত্রের ঢাকনা ভালভাবে বন্ধ
করতে হবে।দরকার
হলে মাখা ময়দার প্রলেপ
দিয়ে ফাঁক বন্ধ করলে
ভাল হয়।
টিপস- আলু ও
মুরগীর মাংসের সাইজ একই
সমান রাখবেন। আর
বিরিয়ানিকে যত বেশী সময়
স্ট্যান্ডবাই টাইম দিতে পারবেন,
বিরিয়ানি তত বেশী মজাদার
হবে। কেননা
ভেতরের ভাপেই বিরিয়ানির ফ্লেভার
ডেভেলপ করতে থাকবে।
পরিবেশনের ঠিক আগ মুহূর্তে
ঢাকনা খুলবেন আর কাঁটা
চামচ দিয়ে আলতো নেড়ে
দেবেন। এক
কেজি চালের পোলাও ৬
মানুষ খেতে পারেন।
সাথে ২ কেজি মাংস
ও ১/২ কেজি
আলু যোগ করায় এই
খাবার ৮ জন মানুষ
খেতে পারবেন।
চিকেন আখনি পোলাও
উপকরণ:
o
১.
পোলাও এর চাল-১
কেজি
o
২.
মুরগীর মাংস-২ কেজি
o
৩.
গোটা জিরা-১ টেবিল
চামচ
o
৪.
সাদা এলাচ-৮/১০টি
o
৫.
বড় এলাচ-২টি
o
৬.
তেজপাতা ৪টি ৭. দারুচিনি
৫/৬ টুকরা
o
৮.
লবঙ্গ-৭/৮টি
o
৯.
পরিমাণ জয়ত্রী
o
৯.
পেঁয়াজ কুচি এক কাপ
o
১০.
কাঁচামরিচ ৮/১০টি
o
১১.
আদা+রসুন বাটা-৩
টেবিল চামচ
o
১২.
গোল মরিচের গুড়া-১
টেবিল চামচ
o
১৩.
লবণ স্বাদ মতো
o
১৪.
ফুড কালার সামান্য পরিমাণ
o
১৫.
পরিমাণ অনুযায়ী পানি
o
১৬.
পুদিনাপাতা ১০/১৫টি
o
১৭.
তেল ৬ টেবিল চামচ
প্রস্তুতপ্রণালী
প্রথম ধাপ: প্রথমে
একটি পাত্রে মোটামুটি ৩
লিটার পরিমাণ পানি নিয়ে
চুলোতে বসাতে হবে।
এরপর একে একে গোটা
জিরা, সাদা এলাচ, বড়
এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, তেজপাতা,
জয়ত্রী, গোলমরিচ এবং একটি পেঁয়াজ
মাঝ বরাবর কেটে পানিতে
দিয়ে পানি মাঝারী আঁচে
ফুটিয়ে নিতে হবে প্রায়
১৫ মিনিট ধরে।
এরপর এই ফুটানো পানি
ছেঁকে নিয়ে গোটা মসলা
আলাদা করে ফেলতে হবে
এবং পানি ঢেকে রাখতে
হবে যাতে করে পানি
গরম থাকে।
দ্বিতীয় ধাপ: এবার একটি
পাত্র চুলায় বসিয়ে এতে
তেল দিয়ে দিতে হবে। এরপর
পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা
বাদামী করে ভাজা হয়ে
গেলে একে একে আদা,
রসুন বাটা, গোল মরিচের
গুড়া, কাঁচামরিচ দিয়ে একটু কসিয়ে
নিয়ে তাতে মাংস দিয়ে
দিতে হবে। কিছুক্ষণ
নাড়াচাড়া করে পরিমাণ মতো
লবণ দিয়ে ঢাকনা দিয়ে
ঢেকে দিতে হবে এবং
চুলার আঁচ অবশ্যই মাঝারি
রাখতে হবে। মাঝে
মাঝে ঢাকনা খুলে নেড়ে
দিতে হবে। ১০
মিনিট পর ঢাকনা খুলে
দেখা যাবে মোটামুটি পানি
বেরিয়েছে। এই
পানি শুকিয়ে ফেলার প্রয়োজন
নেই। এই
অবস্থায় ধুয়ে রাখা এবং
পানি ঝরিয়ে রাখা পোলাও
এর চাল এবং লবণ
দিতে হবে। এবার
মশলা দিয়ে ফুটিয়ে রাখা
পানি দিয়ে দিতে হবে। মনে
রাখবেন পানির পরিমাণ সবসময়
চালের দ্বিগুণ হবে। পানি
ফুটে একটু কমে এলে
ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে
হবে। খেয়াল
রাখতে হবে- চুলার তাপ
যেন অবশ্যই মাঝারি থাকে। ১০
মিনিট পর ঢাকনা খুলে
দেখে একটু নেড়ে দিতে
হবে। এই
অবস্থায় ৪-৬টি গোটা
কাঁচামরিচ ও পুদিনাপাতা এবং
সামান্য পরিমাণ হলুদ রঙের
ফুড কালার নেড়ে-চেড়ে
ঢেকে রাখতে হবে আরও
৫-৭ মিনিট।
এরপর অতিথি আপ্যায়নে ঈদ
আনন্দে মোহনীয় পরিবেশে ঢাকনা
খুলে একটি সুন্দর সার্ভিং
ডিশে পরিবেশন করুন মজাদার চিকেন
আখনি পোলাও।
কাশ্মীরি পোলাও
উপকরণ:
o
২
কাপ বাসমতী চাল ( ৩০মিনিট
পানিতে ভিজিয়ে রাখা )
o
১
ইঞ্চি দাড়চিনি
o
১
চা চামচ শাহ্জীরা
o
১
টি তেজপাতা
o
৩টি
লবঙ্গ
o
২/৩টি এলাচ
o
১/২ চা চামচ
শুকনো আদা গুঁড়ো অথবা
আদা বাটা
o
১
চা চামচ পাঁচফোড়ন
o
২
চিমটি জাফরান
o
২
টেবিল চামচ তেল অথবা
ঘি
o
৪
থেকে সাড়ে ৪ কাপ
পানি
o
লবণ
পরিমাণমত
পরিবেশনের জন্য:
o
১টি
মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ, চিকন
করে কাটা
o
১০/১২টি কাজুবাদাম
o
১০/১২ টি আমন্ড
o
১০/১২ টি আখরোট
o
২
টেবিল চামচ তেল
প্রস্তুত প্রণালি:
একটি ডিপ প্যানে
তেল অথবা ঘি নিয়ে
জাল দিন। মাঝারি
আঁচে ডালচিনি, শাহিজীরা, তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচ যোগ
করুন এবং ভেঁজে নিন। এবার
আঁচ কমিয়ে তাতে আদা
ও পাঁচফোড়ন গুঁড়া যোগ করে
নাড়ুন। এতে
চাল ঢেলে নেড়ে দিন। এরপরে
জাফরান যোগ করুন এবং
আবারও নেড়ে দিন।
এবারে পানি ও লবণ
যোগ করে, নাড়ুন এবং
প্যানটি ভালো ভাবে ঢেকে
দিন। পুরো
পানি শোষিত না হওয়া
পর্যন্ত রান্না হতে দিন।
এরই ফাঁকে আপনি
প্রস্তুত করে ফেলুন পরিবেশনের
উপকরণসমূহ।
পরিবেশনের উপকরণ প্রস্তুত করতে,
একটি ফ্রাইং প্যানে ২
টেবিল চামচ তেল গরম
করে তাতে পেঁয়াজ ও
এক চিমটি লবণ দিয়ে
ভেঁজে নিন। পেঁয়াজ
বাদামি রঙের ও ক্রিস্পি
হয়ে আসলে টিস্যু পেপারে
উঠিয়ে নিন। এবারে
একে একে ঐ তেলেই
কাজুবাদাম, আমন্ড, আখরোট ক্রিস্পি
না হওয়া পর্যন্ত ভেঁজে
নিন।
পোলাও রান্না হয়ে
গেলে নামিয়ে ফেলুন এবং
বেরেস্তা ও ড্রাই ফ্রুটগুলো
দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম
কাশ্মীরি পোলাও।
মজাদার গার্লিক বিফ
উপকরণ :
o
গরুর
মাংস ১ কেজি,
o
পেঁয়াজ
কুচি ১ কাপ,
o
হলুদ
ও মরিচ গুঁড়া ১
কাপ,
o
আদা
ও রসুন বাটা আধা
চা চামচ,
o
রসুনের
কোয়া ৪/৫টি,
o
ধনে
ও জিরা গুঁড়া ১
চা চামচ,
o
টেস্টিং
সল্ট সামান্য,
o
তেল
আধা কাপ,
o
মাংসের
মসলা আধা চা চামচ,
o
টমেটো
সস আধা কাপ,
o
টক
দই ১ কাপ,
o
গরম
মসলা গুঁড়া আধা চা
চামচ,
o
লবণ
স্বাদ মতো।
প্রস্তুত প্রণালী :
মাংস ধুয়ে কেটে
নিন। একটি
পাত্রে মাংস, হলুদ, মরিচ,
টক দই, আদা, রসুন,
লবণ, ধনে, জিরা গুঁড়া
ভালো করে মিশিয়ে ২০
মিনিট মেরিনেট করে রাখুন।
কড়াইতে তেল গরম করে
পেঁয়াজ বাদামী করে ভেজে
মাংস দিয়ে নেড়ে কষাতে
হবে। কষানো
হলে সামান্য পানি দিয়ে নেড়ে
ঢেকে রাখতে হবে।
মাংস সিদ্ধ হয়ে আসলে
টমেটো সস, কাঁচামরিচ ফালি
ও রসুনের কোয়া দিয়ে
১০ মিনিট দমে রেখে
নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন
করুন।
খাসির শাহী রেজালা
উপকরণ:
o
খাসির
মাংস-১ কেজি
o
টক
দই-১ কাপ
o
ঘি
অথবা তেল পরিমাণ মতো
o
লবণ
পরিমাণ মতো
o
পেঁয়াজ
বেরেস্তা-১ কাপ
o
পোস্ত
বাটা-২ টেবিল চামচ
o
মিষ্টি
দই-১ কাপ
o
আদা
ও রসুন বাটা-২
টেবিল চামচ
o
ধনে
গুড়া-১ টেবিল চামচ
o
মরিচ
গুড়া-১ টেবিল চামচ
o
হলুদ
গুড়া-১ টেবিল চামচ
o
সাদা
এলাচ-৬টি
o
লবঙ্গ-৮টি
o
জয়ত্রী
গুড়া অর্ধেক চা-চামচ
o
গোল
মরিচ-৬/৮ টি
o
দারচিনি
৫ টুকরা
o
জয়ফল
অর্ধেক চা-চামচ
o
কাজু
বাদাম ও পেস্তা বাদাম
৪ টেবিল চামচ।
o
দুধ
১ কাপ।
o
কিসমিস-১০/১২টি
o
আলুবোখারা-৬টি
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে মিষ্টি দই
এর সাথে কাজু বাদাম
ও পেস্তা বাদাম দিয়ে
ব্লেন্ডারে খুব ভালোভাবে ব্লেন্ড
করে পেস্ট করে নিতে
হবে। এরপর
একটি পাত্রে মাংস নিয়ে
তাতে একে একে টক
দই, লবণ, মরিচ গুড়া,
হলুদ গুড়া, এলাচ, দারুচিনি,
গোলমরিচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা, আদা
রসুন বাটা, পোস্ত বাটা,
তেজপাতা, লবঙ্গ, জয়ত্রী, এবং
জয়ফল গুড়া দিয়ে খুব
ভালোভাবে হাত দিয়ে মাখিয়ে
মাখিয়ে ম্যারিনেট করতে হবে।
এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে
রাখতে হবে ৩০ মিনিট। পরে
চুলায় পাত্র বসিয়ে পরিমাণ
মতো তেল বা ঘি
দিয়ে হালকা গরম হলে
এতে ম্যারিনেট করে রাখা মাংস
ঢেলে দিতে হবে।
মাঝারি আঁচে রান্না করতে
হবে এবং অনবরত নাড়তে
হবে। কিছুক্ষণ
পর ঢেকে দিতে হবে
এবং মাঝেমাঝে ঢাকনা খুলে নেড়ে
দিতে হবে। এভাবে
প্রায় ২০ মিনিট রান্না
করতে হবে। এই
অবস্থায় ঢাকনা খুলে দেখা
যাবে তেল ভেসে উঠেছে। এখন
১ কাপ দুধ দিতে
হবে। আলাদাভাবে
কোন পানি দেওয়ার প্রয়োজন
নেই। ধীরে
ধীরে মাংস সেদ্ধ হয়ে
আসবে এবং ঝোল বেশ
ঘন হয়ে আসবে।
এরপর ৬টি আলুবোখারা দিয়ে
দিতে হবে। খুব
অল্প আঁচে রান্না করতে
হবে। এই
পর্যায়ে দই এবং বাদামের
পেস্ট দিয়ে দিতে হবে। আরও
১০ মিনিট রান্নার পর
দুই চামচ চিনি এবং
কিসমিস দিয়ে ঢাকনা দিয়ে
ঢেকে দিতে হবে।
চুলা বন্ধ করে কিছুসময়
রেখে দিতে হবে।
এরপর পছন্দমত সাজিয়ে ঈদে পরিবার-পরিজন-অতিথি আপ্যায়নে
পরিবেশন করুন মজাদার খাসির
শাহী রেজালা।
বিফ স্টেক সালাদ
যা যা লাগবে-
বিফ সলিড মাংস
বড় চ্যাপ্টা করে কেটে নেয়া
২০০ গ্রাম,
সয়া সস ১
টেবিল চামচ,
গোল মরিচের গুড়া
১ চা চামচ,
টেস্টিং সল্ট ১ চা
চামচ,
লেবুর রস ১
টেবিল চামচ,
লবন স্বাদমতো,
বাটার ১ টেবিল
চামচ,
ক্যাপসিকাম ২টা,
লেটুস ৫/৬টা,
বাঁধাকপি এক কাপ,
টমেটো ১টা,
গাজর,
বরবটি কুচি ১
কাপ করে,
ক্যাশিওনাট ১ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি:
বিফ এর টুকরা
ভালোভাবে ধুয়ে আধা টেবিল
চামচ লেবুর রস, সয়া
সস, লবন ও আধা
চা চামচ গোল মরিচের
গুড়া দিয়ে মাখিয়ে রাখুন
কিছুক্ষণ। একটি
প্যানে বাটার দিয়ে তাতে
খুব হালকা আঁচে বিফের
টুকরা ভাজতে থাকুন।
এক এক পাশ দশ
মিনিট করে ভাজুন।
এরপর বিফ নামিয়ে নিয়ে
লেবু, লেটুস ও টমেটো
ছাড়া প্যানে বাকি সব
উপকরণ দিয়ে হালকা আঁচে
পাঁচ মিনিট ভাজুন।
বিফ ছোট ছোট টুকরা
করে কেটে রাখুন।
এবারে একটি পাত্রে বাকি
উপকরণের সাথে বিফসহ সম্পূর্ণ
মিশ্রণ একসাথে মিশিয়ে নিন। তৈরি
হয়ে গেলো মজাদার পুষ্টিকর
বিফ শ্টেক সালাদ।
খোরমা সেমাই
উপকরণ :
চিকন সেমাই ১
কাপ, দুধ ১ লিটার,
ঘি ৪ চা চামচ,
খোরমা/শুকনা খেজুর ৬-৭টা, চিনি ১
কাপ, এলাচ ও দারুচিনি
২-৩টা, কিশমিশ ১/৪ কাপ, পেস্তাবাদাম
১/৪ কাপ, লবণ
১ চিমটি, জাফরান ১
চিমটি।
প্রস্তুত প্রণালি :
খোরমা পানিতে ভিজিয়ে
রাখুন কয়েক ঘণ্টা।
নরম হলে চিকন করে
কেটে নিন। সেমাই
ভেঙে ঘিয়ে ভেজে তুলে
নিন। বাদাম,
কিশমিশ, খোরমা আলাদাভাবে ঘিয়ে
ভাজুন। দুধ
ফুটিয়ে নিন। এতে
ভাজা সেমাই, চিনি, লবণ
দিয়ে জ্বাল দিন।
ঘন হয়ে এলে বাদাম,
কিশমিশ ও জাফরান দিয়ে
নামিয়ে নিন।
0 Comments