আবহাওয়া শুরু
হয়েছে ঋতু পরিবর্তনের খেলা। এ সময় দিনের বেলা গরম ও রাতে ঠাণ্ডা আবহাওয়া পরিলক্ষিত
হয়। সূর্যের তাপ এবং ধুলাবালুর কারণে এ সময়ে ত্বকের প্রয়োজন বাড়তি। যাদের অফিস যেতে
হয় বা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে কাজ সারতে হয়, তাদের দূর্ভোগ আরো বেশি। ঘাম ঝরে
শরীরে আসে ক্লান্তিভাব। আর রোদে পুড়ে ত্বকে পড়ে ট্যান।অতিরিক্ত গরমে ত্বক আর্দ্রতা
হারায় এবং শুষ্ক হয়ে
পড়ে। জন্মগতভাবে
ত্বক তিন ধরনের হয়ে
থাকে। স্বাভাবিক
ত্বক, শুষ্ক ত্বক ও
তৈলাক্ত ত্বক। রোদ
ও ধুলোবালি স্নিগ্ধ ও সতেজ ত্বকের
বড় শত্রু। রোদের
পোড়াভাব ত্বকে খুব তাড়াতাড়ি
বসে যায়। লোমকূপে
ময়লা জমে মুখে ব্রণ
হয় এবং রোদের ছোপ
ছোপ দাগ পড়ে ত্বক
রুক্ষ হয়ে যায়।
শুধু তাই নয়, ঘাম
থেকে ঘামাচিসহ নানা সমস্যা দেখা
দিতে পারে। আবার
কখনও কখনও র্যাশ
হতেও দেখা যায়।
ত্বক শুষ্ক হলে ত্বকের
নমনীয়তা কমে যায়, আর
নমনীয়তা কমে গেলে ত্বকে
ফাটল ধরে এবং বার্ধক্যের
ছাপ ফুটে উঠে চেহারায়। মানুষ
মাত্রই সুন্দর, সুস্থ আর উজ্জ্বল ত্বক প্রত্যাশা করে। কিন্তু গরমে এ ত্বক হয়ে যায় তেলতেলে,
ঘামযুক্ত। এতে ত্বক তার ঔজ্জ্বল্য হারায়। একটুখানি পরিচর্যা গরমে আমাদের ত্বককে সমস্যামুক্ত
রাখতে পারে।
গরমে ত্বকের চর্চার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু টিপস
১। পানি
শুধু শরীরে আর্দ্রতা জোগায়
না, ত্বককে করে তোলে
সজীব। তাই
ত্বক সুন্দর রাখতে এ
সময়ে প্রচুর পানি পান
করুন।
২। টোনার
ত্বকের রোমকূপ বন্ধ ও
ত্বককে শীতল রাখতে সাহায্য
করে। বাজার
থেকে ভালো কোম্পানির টোনার
দেখে কিনুন। ঘরোয়া
টোনার হিসেবে গোলাপজল ভালো
কাজ করে।
৩। গরমের
সময়ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার বন্ধ করবেন না। কারণ
ময়েশ্চারাইজার ত্বকে আর্দ্রতা জোগানোর
পাশাপাশি ত্বককে নরম রাখে। তবে
গরমের সময় ওয়াটার বেজ
ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন ত্বকের
যত্নে।
৪। সকালে
ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার
আগে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার
করুন। যদি
এমন হয় সারা দিন
বাইরে বের হননি তবুও
রুটিন করে ত্বক পরিষ্কার
করতে ভুলবেন না।
৫। গরমের
সময় ত্বকের মরা কোষ
দূর করে রক্ত সঞ্চালন
বাড়ানোর জন্য ত্বককে এক্সফোলিয়েট
করা জরুরি। কারণ
এ সময় ধুলাময়লা জমে
ত্বক অপরিচ্ছন্ন হয় বেশি।
চার-পাঁচ চামচ বেসনের
সাথে এক চামচ হলুদ,
পাঁচ-ছয় ফোঁটা গোলাপজল
ও দুধ মিশিয়ে পেস্টের
মতো তৈরি করে ত্বকে
লাগিয়ে রাখুন। আধঘণ্টা
পর ঘষে ঘষে তুলে
ফেলুন
৬। বেসন
ত্বকের রোদে পোড়া ভাব
দূর করতে খুব কার্যকর। বেসনের
সাথে টক দই ও
কয়েক ফোঁটা লেবুর রস
মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে
গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। রোদে
পোড়া দাগ দূর করতে
লেবুর রস ভালো কাজ
করে। পেঁপে
প্রাকৃতিক কিনজার হিসেবে ভালো
কাজ করে। তাই
ত্বক পরিষ্কার করতে দুই টেবিল
চামচ চটকানো পেঁপের সাথে
এক চা চামচ মধু
ও একটা ডিমের সাদা
অংশ মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে
ব্যবহার করতে পারেন।
৭। গরমে
ত্বক শীতল রাখা খুব
প্রয়োজন। এক
টেবিল চামচ কোরানো শসার
সাথে এক টেবিল চামচ
টক দই মিশিয়ে ত্বকে
লাগিয়ে রাখুন। ১৫/২০ মিনিট পর
ধুয়ে ফেলুন। খুবই
সতেজ অনুভব করবেন।
এ ছাড়া পুষ্টিকর খাবার,
ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুম
ত্বক ভালো রাখার জন্য
খুবই জরুরি।
৮। পাকা
কলা বা তরমুজ যেকোনো
একটি নিতে পারেন।
এবার তাতে মেশান এক
চামচ গুঁড়ো দুধ, ৪
থেকে ৫ ফোঁটা মধু
ও ২ ফোঁটা অরেঞ্জ
অ্যাসেন্সিয়াল অয়েল। ভালো
করে প্যাক বানিয়ে নিন। মুখের
ত্বক পরিষ্কার করে প্যাকটি লাগিয়ে
রাখুন ২০ মিনিট মতো। ঠান্ডা
পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে
নিন। যাদের
গায়ের রঙ শ্যামলা তাদের
জন্য গরমকালে এই প্যাকটি ভীষন
কার্যকরী। কারণ
গরমে তাদের মুখ সহজেই
বিবর্ণ বা কালচে হতে
শুরু করে। নষ্ট
হয় মুখের সৌন্দর্য।
৯। এক
চামচ ওটমিল পাউডার নিন। তাতে
টক দই মিশিয়ে পেস্ট
বানিয়ে নিন। এবার
ওই পেস্টে মেশান শশা
বা আঙুর ও ২
ফোঁটা গোলাপ জল।
প্যাকটি মুখে ম্যাসাজ করুন। রেখে
দিন আধঘণ্টা মতো। পরে
পানি দিয়ে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজ়ার
লাগিয়ে নিন। এতে
মুখের ত্বকের ট্যান একেবারে
দূর হয়ে যাবে।
আপনি পাবেন সতেজ ত্বক।
১০। ওটমিলের
সঙ্গে টমোটোর রস মিশিয়ে
পেস্ট বানিয়ে নিন। তাতে
এক ফোঁটা পিপারমেন্ট অ্যাসেন্সিয়াল
অয়েল যোগ করুন।
শরীরে যেসব জায়গায় ত্বকের
কোষ নির্জীব হয়ে এসেছে, সেখানে
এই প্যাকটি লাগান। চোখের
নীচে ও মুখে লাগাবেন
না। ১০
মিনিট রেখে ভেজা তুলা
দিয়ে মুছেনিন। অথবা
ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে
নিন। এতে
ত্বকের মৃত কোষ ঝরে
যাবে। আপনার
শরীরে আসবে সতেজভাব।
১১। গরমে
চোখেরও আরাম চাই।
তাই ফ্রিজ়ে রাখা ঠান্ডা দুধে
তুলা ভিজিয়ে নিন। তার
ওপর রাখুন মোটা ও
গোল করে কাটা শশা। এবার
এটি চোখের পাতার ওপর
রেখে ১০ মিনিট বিশ্রাম
করুন। এতে
আরাম পাবে চোখ।
দূর হবে চোখের নীচের
কালচে ভাব। আর
চোখে লালচে ভাব ওচুলকানি
হলে শশার পরিবর্তে আলু
ব্যবহার করুন। আলুর
গোল গোল ফালি ফ্রিজ়ে
কয়েক মিনিট রেখে ঠান্ডা
করে নিন। এবার
চোখের ওপর রেখে দিন।
১২। গরমে
ঘাম হওয়ায় অনেক সময়েই কাজে
এনার্জি পাওয়া যায় না। তাই
কাজের ফাঁকে বা কোথাও
বেরোনোর আগে টিস্যু পেপারে
মুড়িয়ে নিন আইস কিউব। সেটি
ঘষে নিন পালস্ পয়েন্টে। যেমন-
হাঁটুর নীচে, পায়ের গোড়ালির
কাছে, কবজির অংশে বুলিয়ে
নিন। দেখবেন,
এতে আপনিপাবেন ইনস্ট্যান্ট এনার্জি।
১৩। কনুইয়ের
কালো দাগ দূর করতে
চান? তাহলে এক চামচ
চিনি নিন। তাতে
অর্ধেক লেবুর রস মেশান। এবার
মিশ্রণটি কনুইয়ে হালকা করে ঘষতে
থাকুন। ১০
মিনিট রেখে পানি দিয়ে
ধুয়ে নিন।
১৪। গরমের
দিনে গোসলের পানিতে মিশিয়ে
নিন এক কাপ বাটারমিল্ক। এতে
ত্বকের উন্মুক্ত মুখ বন্ধ হবে। ত্বক
থাকবে টানটান। এছাড়া
পানিতে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা
জেসমিন অ্যাসেন্সিয়াল অয়েল। এর
ফলে সারাদিন আপনি ঝরঝরে সতেজ
থাকবেন।
১৫। সানবার্ন
থেকে রক্ষা পেতে গোসলের
আগে সারা গায়ে মেখে
নিতে পারেন টক দই। ১০
মিনিট পর পানি দিয়ে
ধুয়ে নিন। এতে
আপনি ট্যান থেকে দ্রুত
মুক্তি পাবেন।
১৬। পরিচ্ছন্নতার
ব্যাপারে বেশি যত্নশীল হতে
হয়। এজন্য
আপনি ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিন
সমৃদ্ধ সাবান অথবা ক্লিনজার
বা ফেসওয়াশ। তবে
গরমে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে
ময়েশ্চারাইজিং ক্লিনজার। তৈলাক্ত
ত্বকের অধিকারীদের গরমকালে কষ্ট। তেলগ্রন্থিগুলো
এ সময় সক্রিয় হয়ে
উঠার কারণে তেল বের
হয় বেশি। এজন্য
তারা মেডিকেটেড ফেইস ওয়াশ ব্যবহার
করলে উপকার পাবেন।
১৭। গরমের
দিনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন
হচ্ছে সানস্ক্রিনের। রোদ
থেকে রক্ষা পেতে বাইরে
বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন
লোশন ব্যবহার করবেন, বিশেষ করে
চোখের নীচের নমনীয় ত্বকের
জন্য মেডিকেটেড সানস্ক্রিন এবং তৈলাক্ত ত্বকের
জন্য তেলবিহীন সানস্ক্রিনই ব্যবহার করতে হবে।
সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করার
সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন
তাতে যেন সান প্রোটেকশন
ফ্যাক্টর এসপিএফ অন্তত ১৫
হয়। ওয়াটার
প্রুফ সানস্ক্রিনও ব্যবহার করতে পারেন।
১৮। শুষ্ক
ত্বকের খসখসে ভাব দূর
করার জন্য এবং বলিরেখা
পড়ার হাত থেকে রেহাই
পাওয়ার জন্য সবসময় ক্রিম
ব্যবহার করা উচিত।
অবশ্য ক্রিমের বদলে বেবি লোশনও
ব্যবহার করতে পারেন।
তবে গরমের দিনে ক্রিম
হতে হবে তেলবিহীন।
নতুবা ক্রিমের অতিরিক্ত তেল গরমে আরো
বেশি সমস্যা তৈরি করবে।
১৯। গোলাপের
পাপড়ি, খেঁজুর, দুধে ভিজিয়ে রাখুন,
২/৩ ঘণ্টা পর
পেস্ট করে চন্দনের গুঁড়া
মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। পরে
ঠান্ডা পানির সাহায্যে ধুয়ে
ফেলুন, ত্বক মসৃণ হবে। এ
ছাড়া কমলালেবুর রস ভালো ময়েশ্চারের
কাজ করে। এর
সঙ্গে দুধ ও ময়দা
মিশিয়ে মুখের ত্বক পরিষ্কার
করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন।
অতিরিক্ত খসখসে ভাব থাকলে
রাতে ঘুমানোর সময় ত্বক পরিষ্কার
করে পেট্রোলিয়াম জেলি ত্বকে লাগিয়ে
ম্যাসাজ করুন। সকালে
ধুয়ে ফেলুন উপকার পাবেন। লাউয়ের
রস, তরমুজের জুস বরফ করে
মুখে ঘষুন। এতে
রোদে পোড়াভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি
আপনার ত্বক হয়ে উঠবে
উজ্জ্বল মোলায়েম।
২০। গরমে
তৈলাক্ত ত্বক দ্রুত ঘেমে
যায় ও ময়লা দ্রুত
শুষে নেয়। এ
সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে
আপনি শশার রস পরিমাণমতো,
আধা চা চামচ লেবুর
রস, আধা চামচ গোলাপ
জলে মিশিয়ে লোশনের মতো
মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পরেধুয়ে
ফেলুন।
গরমে ত্বকের চর্চার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপকরন
ফেসওয়াশ
গরমের
দিনে ত্বকের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার
ব্যাপারে বেশি যত্নশীল হতে
হয়। এজন্য
আপনি ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিন-সমৃদ্ধ সাবান অথবা
ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ।
তবে গরমে সবচেয়ে ভাল
হচ্ছে ময়েশ্চারাইজিং ক্লিনজার। তৈলাক্ত
ত্বকের অধিকারীদের গরমকালে কষ্ট হয় বেশি। তেলগ্রন্থিগুলো
এ সময় সক্রিয় হয়ে
উঠার কারণে তেল বের
হয় বেশি তারা মেডিকেটেড
ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ভাল ফল
পেতে পারেন।
সানস্ক্রিন
গরমের
দিনে সবচেয়ে প্রয়োজন হচ্ছে
সানস্ক্রিন। রোদ
থেকে রক্ষা পেতে বাইরে
বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন
লোশন ব্যবহার করবেন, বিশেষ করে
চোখের নিচের নমনীয় ত্বকের
জন্য মেডিকেটেড সানস্ক্রিন এবং তৈলাক্ত ত্বকের
জন্য তেলবিহীন সানস্ক্রিনই ব্যবহার করতে হবে।
রোদে বাইরে বের হলে
অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করবেন। সানস্ক্রিন
লোশন ব্যবহার করার সময় অবশ্যই
খেয়াল রাখবেন তাতে যেন
সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর এসপিএফ অন্তত ১৫
হয়। ওয়াটার
প্রুফ সানস্ক্রিনও ব্যবহার করতে পারেন।
ক্রিম
শুষ্ক
ত্বকের খসখসে ভাব দূর
করার জন্য এবং বলিরেখা
পড়ার হাত থেকে রেহাই
পাওয়ার জন্য সবসময় ক্রিম
ব্যবহার করা উচিত।
অবশ্য ক্রিমের বদলে বেবি লোশনও
ব্যবহার করতে পারেন।
তবে গরমের দিনে ক্রিম
হতে হবে তেলবিহীন।
নতুবা ক্রিমের অতিরিক্ত তেল গরমে আরও
বেশি সমস্যা তৈরি করবে।
কিছু টিপস:
• শুধু
বাহ্যিক যত্ন করলেই হবে
না, প্রয়োজন অভ্যন্তরীণ যত্নেরও। গরমে সুস্থ থাকতে
প্রচুর শাক-সবজি, ফলমূল
এবং লেবুর রস এবং
খাবার স্যালাইনও পান করা যেতে
পারে। কমপক্ষে
১০-১২ গ্লাস পানি
পান করতে হবে।
• এ সময়ে আমাদের পরিপাকতন্ত্র
দুর্বল থাকে, এ জন্য
গুরুপাক খাবার এড়িয়ে চলুন। টক,
ভাজাপোড়া এবং খুব বেশি
গরম খাবার খাবেন না।
• পঁচাবাসি
খাবার এড়িয়ে চলুন।
• বাইরে
যেহেতু ঘন ঘন মুখ
ধোয়া সম্ভব নয় তাই
সঙ্গে ওয়েট টিস্যু রাখতে
পারেন। কাজের
ফাঁকে ওয়েট টিস্যু দিয়ে
মুখ মুছে নিলে নিজেকে
অনেক ফ্রেশ ও সতেজ
মনে হবে।
• গরমে
লেবুর শরবত হতে পারে
আপনার স্বাস্থ্যের জন্য এক চমৎকার
পানীয়। শরবতে
একটু লবণ ও চিনি
মিশিয়ে নিন। চিনি
শক্তি জোগাবে, আর লবণ পূরণ
করবে আপনার শরীর থেকে
ঘামের সাথে বেরিয়ে যাওয়া
লবণের অভাবটুকু। আর
লেবুতে থাকে ভিটামিন সি। এই
গরমে ভিটামিন সি ফিরিয়ে দেবে
আপনার লাবণ্যতা।
* সুষম
খাদ্য গ্রহণ * খাদ্য তালিকায় শর্করা
বেশি রেখে আমিষ আর
চর্বিজাতীয় খাবার কমালে ভালো।
* প্রচুর
সবুজ শাকসবজি, গাজর, লেটুস, সালাদ
খাওয়া যেতে পারে।
* প্রতিদিন
এক কাপ খাঁটি দুধ
পান শরীর থেকে তাপ
কমাতে সাহায্য করে।
* অতিরিক্ত
গরম এবং ঝালজাতীয় খাদ্য
বর্জন শ্রেয়।
* মৌসুমী
ফল গ্রহণ
* গরমের
সময় প্রচুর মৌসুমী ফল
খাওয়া যেতে পারে, যেমন-
তরমুজ, আম, বাঙ্গি, আঙ্গুর। এসব
সরাসরি ত্বকের পুষ্টি জোগায়
এবং ত্বকের ক্ষয় প্রতিরোধ
করে।
* রোদ বর্জন করুন * রোদে
যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন গায়ে
মাখতে পারেন।
* ছাতা
এবং ক্যাপ ব্যবহার করুন। * সানগ্লাস
ব্যবহার করুন।
* ত্বক
পরিষ্কার
* গরমে
সহনীয় মাত্রার ফেসওয়াশ অথবা হালকা সাবান
নিয়ে মুখ হাত ধোয়া
প্রয়োজন। এতে
ত্বক জীবাণুমুক্ত ও ঠাণ্ডা থাকে।
* বাহির থেকে আসার পর
পরই মুখ ধোয়ার অভ্যাস
করুন।
* হালকা
ময়শ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করা
যেতে পারে।
* কাজের
সময় টিসু্যু অথবা নরম রুমাল
দিয়ে অতিরিক্ত ঘাম এবং তেল
মুখ থেকে ঘন ঘন
মুছে ফেলতে হবে।
* অতিরিক্ত
প্রসাধনী বর্জন করুন।
* প্রসাধনী
ব্যবহারের পর ভালো করে
ত্বক পরিষ্কার করুন।
এছাড়াও
নিয়মিত পরিমিত খাদ্যগ্রহণ, প্রয়োজনীয়
ঘুম, নিয়মিত গোসল, সুস্থ মানসিক
অবস্থা ইত্যাদিও ত্বকের পরিচর্যায় বিভিন্নভাবে
সাহায্য করে থাকে।
কিছু সমস্যার সমাধান
–গরমে
যাদের ত্বকে ঘামাচি হয়,
তারা নিমপাতার রস লাগালে উপকার
পাবেন। তেঁতো
জাতীয় খাবার খান।
ঘাম বেশি হলে ট্যালকম
পাউডারের সঙ্গে একচিমটি খাবার
সোডা ব্যবহার করুন।
–গরমে
ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই
রূপচর্চা করা জরুরী।
ত্বক তৈলাক্ত হলে বার বার
মুখ পরিষ্কার করতে হবে।
শশা বাটা এবং মসুরির
ডাল বাটা দুটো পেস্ট
করে মুখে লাগিয়ে ১৫
মিনিট পর মুখ ধুয়ে
ফেলুন। আপনার
মুখের তেলতেলে ভাব কেটে যাবে।
-গোলাপের
পাপড়ি, খেজুর, দুধে ভিজিয়ে
রাখুন, ২-৩ ঘণ্টা
পেস্ট করে চন্দনের গুঁড়া
মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। পরে
ঠা া পানির সাহায্যে
ধুয়ে ফেলুন, ত্বক মসৃণ
হবে। এছাড়া
কমলালেবুর রস ভাল ময়েশ্চারের
কাজ করে। এর
সঙ্গে দুধ ও ময়দা
মিশিয়ে মুখের ত্বক পরিষ্কার
করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন।
অতিরিক্ত খসখসে ভাব থাকলে
রাতে ঘুমানোর সময় ত্বক পরিষ্কার
করে পেট্রোলিয়াম জেলি ত্বকে লাগিয়ে
ম্যাসাজ করুন। সকালে
ধুয়ে ফেলুন উপকার পাবেন। সারা
বছরই ব্যবহার করতে পারেন।
-লাউয়ের
রস, তরমুজের জুস বরফ করে
মুখে লাগান। এতে
রোদে পোড়াভাব দূর হয়ে সঙ্গে
সঙ্গে আপনার ত্বক হয়ে
উঠবে উজ্জ্বল মোলায়েম।
-গরমে
তৈলাক্ত ত্বক দ্রুত ঘেমে
যায় ও ময়লা দ্রুত
শুষে নেয়। এ
সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে
আপনি শশার রস পরিমাণমতো,
আধা চা চামচ লেবুর
রস, আধা চামচ গোলাপ
জলে মিশিয়ে লোশনের মতো
মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পরে
ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে
অন্তত চার-পাঁচ দিন
করুন।
-গরমে
অনেকের ত্বকে হিট র্যাশ বের হয়। হিট
র্যাশ এড়াতে দইয়ের
সঙ্গে হলুদ বা নিমপাতা
বাটা মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে
পারেন। এছাড়া
খানিকটা লাউ থেঁতো করে
এর সঙ্গে তুলসীপাতা এবং
চালের গুঁড়া মিশিয়ে লাগাতে
পারেন। এতে
র্যাশ হবে না
আবার ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে।
-এ ভ্যাপসা গরমে ত্বকে তেলের
পরিমাণটা একটু বেশিই থাকে। ত্বকের
অতিরিক্ত তৈলাক্ততা দূর করতে সিদ্ধ
ওটস্, ডিমের সাদা অংশ,
লেবুর রস এবং থেঁতো
করা আপেল একসঙ্গে মিশিয়ে
মুখে লাগান। ১৫
মিনিট পর ঠা-া
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
0 Comments